১
আমি ইংরেজি ভাষায় 'লিটারারি নভেল' খুব একটা পড়িনি। বাংলায় বাধ্য হয়ে শরৎচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ কিছু পড়েছি, তারপর যখনই অন্য কিছু পেয়েছি লাফিয়ে সরে গেছি। তার থেকে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক উপন্যাস আমার অনেক ভাল লাগতো, যদিও তাঁর মতেই এগুলো তার দূর্বলতম প্রচেষ্টা।
মাসাই পল্লী থেকে যখন ফিরছি, রাত্রি তখন নিগ্রো যুবতীর মতো পূর্ণযৌবনা। বয়ঃসন্ধির দেয়াল পেরিয়ে ফিকে অন্ধকারের সাঁঝ শলমা আঁকা ঘন কালো শাড়ি পড়ে হঠাৎ যে কখন মোহিনীর বেশে অভিসারিণী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। পথের ধারে অফুরন্ত নাম না জানা ঝোপের সারি, সেখানে ফুটে থাকা কত নাম না জানা বুনো ফুল। ঝোপের ঝাঁঝালো গন্ধ, অল্পজলে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ, রঙিন ধুলোর গন্ধ, বুনো ফুলের মাতাল করা গন্ধ, সবমিলিয়ে জঙ্গলের একটা নিজস
গ্রিক পুরাণ অনুসারে, হার্মোস ও আফ্রোদিতির সুদর্শন পুত্র হার্মাফ্রোদিতাসের প্রেমে পড়ে ঝরনার দেবী সালমাসিস। সালমাসিস ইশ্বরের কাছে প্রর্থনা করে , সে যেন হার্মাফ্রোদিতাসের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। ইশ্বর সালমাসিসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেন; সৃষ্টি হয় তৃতীয় লিঙ্গ।
১.
আজকাল আমার ভীষণ মাথাব্যথা করছে। চিনচিন করে ব্যথা। দুটো, তিনটে, চারটে প্যারাসিটামল খেলেও কোন কাজ হচ্ছে না। ডাক্তার দেখালাম, দেখে বললেন, “কই, তেমন কোন সমস্যা তো দেখছি না...।” দুটো ওষুধ লিখে দিলেন। “এগুলো পেইন কিলার, ব্যথা হলে খাবেন।” আজ দু-সপ্তাহ হয়ে গেল, ওষুধ খাওয়াই সার...ব্যথায় কাতর হয়ে আমি যেন নরকবাস করছি।
‘এই সুমন তোমার মোবাইল নম্বরটা দাও তো’
[justify]
হুজুর হুজুর, চানাচুর
হুজুরের পোলায় পড়া-চুর
হুজুর গেলে ফতুল্লায়
হুজুরের বউ ঢোল বাজায়
[justify]
ইলিয়াস ও বিপ্লবী
বেক্সিমকোর একটা বিশাল আকৃতির ক্রিকেট ব্যাট দেখলাম জিয়া কলোনির সামনে। ব্যাটটা আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টীমের খেলোয়ারদের জন্য শুভকামনা জানানোর জন্য রাখা হয়েছে। ব্যস্ততার জন্য আমি যেতে পারছিনা, তবে ইচ্ছে ছিল যাবার।
[justify]
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর আসর বাংলাদেশে, সারা জাতিকে ক্রিকেটজ্বরে আচ্ছন্ন করে শুরু হতে যাচ্ছে আর তিনদিন পর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তাসহ নানা আয়োজনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করে এনেছে। দেশ থেকে দূরে বসে সব ধরনের ঝামেলামুক্ত নির্ভেজাল ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্যে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি।
মুখবন্ধ:
ডিটেকটিভ গল্প/উপন্যাসের দিক দিয়ে বাংলা সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ হলেও স্পাই থ্রিলারের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য রীতিমত দুঃখজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। সেই উনিশশো ছেষট্টি সাল থেকে মেজর মাসুদ রানা একাই দুহাতে সামলাচ্ছে বাংলার স্পাই থ্রিলার জগত।
মাসুদ রানার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে জেমস হ্যাডলি চেজ, ফ্রেডেরিক ফোরসিথ, অ্যালিস্টেয়ার ম্যাকলীন, উইলবার স্মিথ প্রমুখ খ্যাতনামা লেখকেরা মাসুদ রানার গল্পগুলোকে নিজেদের গল্প হিসাবে চালিয়ে দিয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করে। মাসুদ রানা রয়ে যায় বাংলার ঘরে ঘরে।
প্রায় চুয়াল্লিশ বছর পর দুই হাজার দশ সালে এসে মেজর মাহমুদ খুদাপেটে মাসুদ রানার কাজের ভার খানিকটা লাঘবের দায়িত্ব নিলেন।
২০১১ সালে এসেও আমাদের অবস্থা “সমগ্র বাংলাদেশ দুই স্পাই”।