সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেদিকেই তাকাই বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবাই নাকি হতভম্ব, শেল শকড, বিস্মিত । এ ঘটনা কল্পনাতীত ।
আমার মৌলিক প্রশ্ন ঃ আপনারা কি এতটাই নির্বোধ নাকি এটা আপনাদের ভন্ডামি ?
গত ২/৩ বছর ধরে দেশের ছেলেমেয়েদের কখনো নাস্তিক, কখনো ব্লগার, কখনো হিন্দু, কখনো খ্রিস্টান হবার অপরাধে দিনে দুপুরে রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয়েছে । তখন আপনি নিশ্চুপ ছিলেন । তাদের রক্তমাখা নিথর দেহ, সহধর্মিনীর সাহায্যের আকুতি কিছুই আপনাদের নীরবতার দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি । অনলাইনে মৃত ব্যক্তির চরিত্র সনদ খুজেছেন । বিভিন্ন নোংরা আস্তাকুড় ঘেটে বের করেছিলেন একেকবার একেক রকম অজুহাত । সেই সস্তা অজুহাতের কাছে নিজের বিবেক বিক্রী করে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল যখন পরিনতির দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই খবর পাওয়া যাচ্ছিল ইউরোপের জামার্নি অধিকৃত এলাকা গুলোয় অসংখ্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বহু ক্ষুধার্ত, বুভুক্ষু মানুষ বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর দিন গুনছে, অনাহারে তখনই মৃত্যুর কোলে যারা ঢলে পড়েছে সেই সংখ্যাটিও কম নয়। নেদারল্যাণ্ডস, গ্রিস, পূর্ব ইউরোপ, সোভিয়েত রাশিয়ায় অসংখ্য মানুষ অনহারে মৃত্যু বরন করছিল। ড.
হালের গরু বিকিয়ে গেছে, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে ধান ফলাবার এক টুকরো জমিটাও। শত্রুসৈন্যের হাতে পড়বে এই ভয়ে জেলেদের নৌকা গুলো পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে কাজ নেই, ভাতও নেই। ভিটে মাটিটা পর্যন্ত বিক্রি করেও চাল জোটানো দুস্কর। গেরস্থালীর বিগ্রহ গুলো পর্যন্ত অভুক্ত, দেবতার ভোগে দেবার মতও কিছু নেই। বাজারে চালের দাম চড়ে যাচ্ছে। উধাও হয়ে যাচ্ছে ধানের সঞ্চয়। কেউ বলছে সরকার সরিয়ে নিয়েছে জাপানীদের হাতে পড়বে
দুর্গন্ধে মা’র কাছে যাওয়া যায় না। দাঁত মুখ খিঁচে দরজায় দাঁড়িয়ে শফিক জিজ্ঞাস করল, “আমি বাইরে যাইতাছি। তোমার কিছু লাগব?”
সফুরা বেগমের গলার নীচ থেকে পুরো শরীর প্যারালাইজড। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে তার সব কিছু করে দিতে হয়। পেশাপ-পায়খানা তার বিছানাতেই হয়ে যায়। প্রচুর টাকা দিয়ে বয়স্ক মত এক কাজের মহিলা রাখা হয়েছে। সেও একদিন আসেতো দুইদিন আসে না। এ ব্যাপারে তাকে কিছু বলাও যায় না। কিছু বললেই কাজ ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়। চেঁচিয়ে বলে,”বুইড়া মাইনষের গু-মুত আমি পরিষ্কার করমু না। আল্লাগো আল্লা কি গন্নের গন্ন…ওয়াক থুঃ!”
সোনালী জলধারার নীচে শুয়ে আনিস চোখ মুদল। সুতীব্র উত্তেজনা নিম্নাঙ্গ থেকে তলপেটের উপর দিয়ে পেশীবহুল এক অজগরের মত ধীরালয়ে উপরের দিকে উঠতে লাগল। তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হল। শীর্ষ অনুভূতির চরমে পৌঁছাতেই গোঙাতে লাগল সে। একসময় হাত পা এলিয়ে দিয়ে ফোঁসফোঁস করতে লাগল আনিস।
ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখেই আমরা উঠে যাই আসলাম ভাইয়ের সেই ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি ফুল ফার্নিস্ড। তবে তাই বলে ভাবার কারণ নেই যে বাড়িটি ভর্তি আধুনিক সব আসবাব। পুরনো আমলের সোফা, রং চটা কার্পেট, খাট, ড্রেসিং টেবিল এই নিয়ে তিন রুমের ফ্ল্যাট। তৃতীয় রুমটি এক চিলতে, সেটিকে ভাড়ার ঘর বিসেবেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আছে আসলাম ভাইয়ের রেখে যাওয়া বেশ কিছু জিনিশ, যার ভেতরে একখানা ছোট টেলিভিশনও আছে। এই
(১)
গোলাম আজমের সংক্ষেপ যা, পৃথিবীর তাই পাকিস্তান,
গোলাম আজমকে সংক্ষেপ করে, নিজেই মারছে নিজের খান,
গোলাম আজমকে নিয়ে টানাটানি -
তুর্কিরা বলে সংক্ষেপ জানি -
আমরাই খাঁটি সংক্ষেপ করা, গোলাম আজমের সুসন্তান।
(২)
পাকিদের ভাই হতে যদি চাও, তাই হয়ে যাও, তুর্কি!
গণহত্যায় তোমাদের মিল, গানে তাই একই সুর কি?
হাতে লেগে আছে আর্মেনিয়ান রক্ত,
তাইতো তোমরা পাকিদের এত ভক্ত।
[justify]বাড়িওয়ালার নাম কেইন, ছ ফুটের উপর লম্বা, টিকালো নাক, মাথার চুলে পাক ধরলেও শরীরের বাঁধন এখনও মজবুত। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ হলেন মার্কিন মুল্লুকে আমার প্রথম বাড়িওয়ালা। কেইনই সর্বপ্রথম কোন মার্কিনী যার সাথে আমার এ দেশে আসবার পরে পরিচয় হয়। সে অর্থে মার্কিনীদের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা গড়ে তুলতেও কেইন আমাকে সাহায্য করে। আমি এদেশে আসবার আগে শুনেছিলাম এ দেশটি নাকি চলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে। কিন