মুখো
চলো, আমরা মুখোশ বানাই সবাই মিলে একজোটে ---
মুখ-মুখোশের ভীড় জমে
আর কারখানাতে চাঁদ নামে
ঐ রাত্রি গভীর তিন যামে।
ঐ দেখা যায় কর্পোরেটের...
না কারখানার বন্ধ গেটের
স্বয়ম্বরা ফাঁক,---
(চিমনি থেকে চমকিয়ে চোখ মারলো দাঁড়কাক)
হাড়হারামির লেবেল সেঁটে
চল্ সব্বাই মুখোশ বানাই একজোটে।
মুখোশ গড়ায় মৃত্তিকা চাই খুব দামি
দেখতে হবে কোন রাস্তায় বদনামী
খুঁড়বো মাটি গড় ...
শিল্প-মাধ্যমে নাম সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কি না জানি না। আমার নিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। নাম দিয়ে চেনা যায় সেই চরিত্রকে, চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডকে। কেন না, নামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই চরিত্রের সাথে একটা যোগাযোগ সূত্র তৈরি করি। স্বাগতা-সামীর নাম সমাজের যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, সামাদ-সেতারা সেই শ্রেণীর নিশ্চয় না! ডুবসাঁতারের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেনু। রেনু নামটা শোনার সাথে সা ...
ইদানিংকালে যানজট নিরসনে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের বেশ কিছু বক্তব্য আমাকে বিষ্মিত করেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, উনি অর্থমন্ত্রী - যোগাযোগ মন্ত্রী নন!
এর মধ্যে একটি হল প্রাইভেট কারে ৫ জন ছাড়া চলা যাবে না। আহা ... ... এতে সঙ্গিযাত্রী হিসাবে কিছু বেকারের নিশ্চিত কর্মসংস্থান হবে। বাসা থেকে ৫ জন বের হল। বাচ্চা স্কুলে নামার পর ৫ জনের কোটা পূরণ করার জন্য সেখান থেকে একজন সঙ্গিযাত্রী উঠবে ...
২৯
বাড়িতে ফিরে নিশিতবাবু একটা নতুন কেইস ফাইল ওপেন করলেন। কাজটা তিনি করছেন দীর্ঘদিন পর। ...
পৃথিবীর যাবতীয় অনাচারের অধিকাংশ হয়েছে আত্মগরিমা ও নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। অনেকে মনে করেছে তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন জাতি নেই তাই তাদেরই দেশ দখল করে বিশ্ব শাসন করা উচিত। আবার অনেকে মনে করেছে তাদের মত মানবতাবাদী (?) বিশ্বে বিরল তাই তারা তাদের মানবতাবাদ বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বে। কেউ কেউ মনে করে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মের ধারণকারী, কাজেই অন্যদের নীচু করে দেখে তাদের দাব ...
মোল্লা, ডিসেম্বর ২০১০।
১৯৮৯ সালের দিকের কথা। তরুণ আসান্জ্ ও তার সহ-হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা সমন্বয়-কেন্দ্রের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে গোপনে প্রবেশে সক্ষম হয়। একটি গুপ্ত চোরাছিদ্রের ( back door ) মাধ্যমে তারা অনায়াসে এই সামরিক ইন্টারনেটে ঢুকতে পারতো। আবিষ্কারের পর প্রায় দুবছর যাবৎ এইসব সামরিক কম্পিউটারে তাদের অবাধ বিচরণ ছিল। আসান্জ্ তখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ ...
ফেসবুকে যারা ঢোকে, তাদের কি কাজকাম নাই?
প্রশ্নটা মাঝে মাঝে সশব্দে করে ফেলি, বউ অন্য ঘর থেকে তখন ইস্রাফিলের শিঙার মতো সুরে কী যেন বলে। পুরোটা বুঝতে পারি না, মনে হয় সায় দেয়।
ফেসবুকে লোকজনকে ফালতু কাজে ব্যস্ত রাখার জন্য চতুর লোকজন কত কারিকুরি বার করেছে, দেখে মাঝে মাঝে তাজ্জব হয়ে যাই। একটা কম্পিউটারের সামনে বসে কোনো নিরস চেহারার ছেলে, হয়তো সাতদিন ধরে গোসল করে না, দাঁত মাজে না ...
নারী মাত্রই শিল্পী।
অনাগতের কামনায় যে জঠর যাতনা
তাহা কেবল শিল্পী ভিন্ন নারীরাই বুঝিতে পারে।
নারী মাত্রই রঙ্গিন।
হইতে পারে মমতার রং
কামনা অথবা কান্নার রং।
নারী ত্রাতা, নারী বারবণিতা।
এহেন বৈচিত্র পুরুষ্য মাঝে মেলা ভার।
নারী দূর্বল।
কিন্তু বলশালী যেন বলহীন তাহার বিহনে।
আপনারে চেনেনারে নারী
নিজের মূল্য বোঝেনারে নারী
প্রকৃতির মত দশভূজা হয়ে
দশদিক আগলাইয়াছে সে।
সে নারী ...
আমার স্মৃতির শহরটা বড়ই সুন্দর। সেখানের বিকেলগুলো লম্বা আর নরম, মোলায়েম রোদের আলোতে স্নান করে রাস্তার পাশের বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ, তাতে বসে থাকে হলুদ রঙের কুটুম পাখি। শব্দ আছে হরেক রকমের, গাড়ির হর্ণ থেকে ঝালমুড়িওয়ালার হাঁকডাক, আছে সুরের মত রিকশার টুংটাং আওয়াজ। দূর থেকে কান পাতলে মনে হবে যেন সঙ্গীত শুনছি। সেই শহরে হেমন্তের সকালগুলো ঘুম ঘুম কুয়াশা মাখা, বসন্ত হাজির হয় সংগোপনে; গ্রী ...
১,৩৬৭,৪৪০ টি মৃত চড়ুই
১৯৫৮ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও জেদং কৃষকদের কথা ভেবে চারটা ক্ষতিকারক প্রাণীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। চালু করা হয় চার বছরব্যাপী ফোর পেস্ট ক্যাম্পেইন। ইঁদুর, মাছি, মশা আর চড়ুই চীন থেকে তাড়াতে শুরু হয় ব্যাপক প্রচারণা। চড়ুই খারাপ কারণ তারা বীজ খায়। ঢোল, বাসনপত্র বাজিয়ে বাজিয়ে চীনের লোকজন চড়ুইদের ওড়াতে ওড়াতে ক্লান্ত করে। বাচ্চারা বুড়োরা তখন কানটা গুলতি দিয়ে ...