আমি অবশ্য অশ্রুত ছিলাম না কোনদিন। কেউ থাকেও কি তা, বিশেষত ‘হিয়ারিং’ আর ‘লিসেনিং’ এর বাংলা যদি হয় একই। আশ্চর্যজনকভাবে আমার পক্ষপাত ছিলো প্রথমটার প্রতি। তীক্ষন দৃষ্টি সবার হজম হয় না, আমার হতো না। আমার স্বর মৃদু থেকে মৃদুতর হয়ে আড়াল দিতে থাকে আমাকে আর আমি, আরো অনেকের মতো, আস্তে আস্তে নির্বিঘ্ন হয়ে উঠতে থাকি। আমার কন্ঠস্বর একসময় উড়ে যায় কিন্তু তার সূতা রেখে যায় আমার বাম হাতের কনিষ্ঠ ...
ভাবনাগুলো বেজায় হুলো
রাখ ভরে রাখ সিন্দুকে
চিত্তকে তোর বৃত্তে সেঁটে
আটকা বিষাদ-সিন্ধুকে
স্মৃতির কুলো উড়ায় ধুলো
ভীতির দিনেও যুদ্ধসাজ
কার্ফু মেরে মুন্ডু ফেঁড়ে
মগজ ধোলাই দিচ্ছি আজ
কেন রে তোর মনটা পুড়ে
ঘূর্ণিঝড় আর আইলাতে
বাউলা কোকিল চ্যাঁচাস কেন
লাভটি কোন নেই তাতে
আউলা কবি তোর কি সাজে
উথলে উঠা দেশপ্রেম
একটি চালেই কিস্তি গেলে
বুঝবি কি ঘোর দাবার গেম
ফের বাবাজী ফেরেব্বাজী
...
রুলটানা ধবধবে সাদা কাগজে বাংলায় হাতে লেখা অপ্রত্যাশিত এই চিঠিটা; নাকি ‘কল্যাণবরেষু’ - এই সম্বোধনটা আমাকে বেশি অভিভূত করল ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে চমৎকার ঝরঝরে হাতের লেখায় বিশাল এই চিঠিটা অনেকবার পড়লাম, ফিরে গেলাম যেন শৈশবের এবং কৈশোরের সেই দিনগুলোতে।
নাভিদ আহমেদ চৌধুরীর সাথে আমার যোগাযোগটা কিছুটা নাটকীয়ই বলা যায়। শৈশবে কিংবা কৈশোরে জনাব চৌধুরীর নাম শুনেছি – বাবার একসময়ের ...
এই সময়; এই মুহূর্ত ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাই না—
এই ঘাসের চাঁদরে অথবা জানালার পাশে এই বিছানা
তোমাকে আমাকে আবার নতুন করে ভালবাসতে শেখায়;
এখানে; এই মুহুর্তে দু'জনে আমরা বৈশাখের ঝড়,
অথবা প্রিয় কোন চলচিত্রের রোমাঞ্চকর দৃশ্য।
এই সময়; এই মুহুর্তে তুমি গ্রীক পৌরাণিকীর দেবী অ্যাফরোডাইটি—
সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আঁছড়ে পড় আমার সৈকতে;
সৈন্দর্য, প্রেম, আকর্ষণ, কামনা সবই তোমায় ঘিরে।
এ ...
সবার মাঝেই প্রসব বেদনা অনুভূত হয়। হয় না? হয়।
প্রসবের একটি বেদনা আছে, আছে আনন্দ। বেদনা শব্দটা আগে বললাম কারণ, শুরুতেই শুরু হয় বেদনা, আনন্দ আসে তারপর। অবশ্য আরো খানিক পিছনে ফিরে গেলে সেখানেও ‘আনন্দ’কে দেখা যায়। সেটি নিষিক্ত হওয়া মুহুর্তের আনন্দ। সেই থেকে যদি ধরি তাহলে বেশ ছন্দময় একটি বাক্য পাওয়া যায়; আনন্দ-বেদনা-আনন্দ।
সৃষ্টির আনন্দ, পাওয়ার আনন্দ। সামনে পিছে দু’দিকেই সৌখিক একট ...
গ্রামের নাম নৈঋত। গ্রামে প্রচুর গাছগাছালি, বেশ কয়েকটি এঁদোপুকুর, অনেক অনেক ঘরবাড়ি, একটা বাজার, একটা প্রাইমারি স্কুল, তিনটা মসজিদ, অনেক পুরানো একটা জাগ্রত কালিমন্দির। একটা প্রবীণ বটগাছ। গ্রামের বুড়োরা বলে এই গাছের বয়স কমসে কম দেড়শো বছর। কালি মন্দিরের কাছাকাছি এই গাছে বছর তিনেক আগে গ্রামের চৌদ্দ বছরের মেয়ে রাশেদা গলায় দড়ি দেয়। রাশেদার মৃত্যু নিয়ে গল্পে কিছু বলার নেই কারণ পাঠক চ ...
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
।। চতুর্থ পর্ব শুরু ।।
বৃষ্টির শেষে পৃথিবী নতুন হয়ে ওঠে, পাতাগুলো ঝকমকিয়ে ওঠে নরম রোদে। ভূটানের রাস্তাগুলো দারুণ, শান্ত নদীর মতো... দুপাশে রঙিন সব ফুল, বুনো ফুল... দেখতে বেশ লাগে। এখন যেমন লাগছিলো। পৃথিবীটা একটা দারুণ অদ্ভুত জায়গা। চারদিকে ছড়িয়ে আছে হাজারটা সুন্দর। এই যে রাস্তা ...
[এর আগের লেখা পড়ে নেয়া যেতে পারে।
এটিকে গল্প বলার ইচ্ছা নেই তা না, কিন্তু গত লেখার মন্তব্যের ভিত্তিতে গল্প লেখার ক্ষমতা আমার এখনো আছে বলে মনে হয় না। সেদিকে একটু পড়াশুনা করি, এদিকে এ কাহিনীধারা এগিয়ে যাক পাঠক/পাঠিকার অনুমতিক্রমে?
স্থান-কাল-পাত্র সংক্রান্ত বিস্তারিত ধীরে খোলাসা করার ইচ্ছা রাখি; এ পর্বে স্থান আর পাত্র বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত পাবেনও।
এ পর্ব ...
মেজাজটা সকাল থেকেই খারাপ হিং এর। এইদেশে মানুষ আসে? প্রফেসর আর কোন জায়গা পেল না আসার। স্পেসশিপ ল্যান্ড করার মত খোলা জায়গাই পাওয়া ভার এই দেশে। সুখ নিয়ে রিসার্চ করবি তো কোন ভালো জায়গার যা, তা-না শেষ পর্যন্ত আসলি এই দেশে। প্রফেসর টিং-কে একটা ভেংচি কেটে কম্যুনিকেশন মডিউলটা খুলে বসল তিয়েনটান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট হিং। কাজ শুরু হতে বাকি আছে আরেকটু সময়। হিং-এর পাতলা ছিপ ...
“বারে ঢুকে একটা ড্রিঙ্কস ওর্ডার করে বসতেই আমার প্যান্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিলো পাশের জন”, ঠিক এভাবেই গল্প শুরু করলো ফিলিপ। “এরপর ছিটকে সরে আসলাম পরে সে জিজ্ঞেস করলো আমি তাঁর বাসায় যেতে চাই কিনা- আমি বললাম- দেখো- আমি ঠিক এমন না! এরপর সে জিজ্ঞেস করলো কেন তুমি জানতে না এটা পুরুষ সমকামীদের বার? বাইরে কিছু লেখা নেই, আমি কি করে জানবো! তবে ভিতরে ঢুকে প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলাম যখন দেখলাম শ-খ ...