যে দেশে বসবাস করেন সে দেশের আইন, সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, ভালবাসা-খারাপবাসাকে গুরুত্ব দেবেন না, তা কি হয়? জার্মানিতে বসে হেইল হিটলার আপনি বলতে পারেননা। ভুল বললাম, পারবেন না কেন?
সাতসকালে ডাক্তার নূঢ়া চৌধুরী যত্ন করে গোঁফটা ছাঁটছিলেন। গোঁফ ছাঁটা কঠিন কাজ। দুইদিকেই খেয়াল রাখতে হয়। একদিকে ছোট করলেন তো আরেকদিকে বড় হয়ে গেল! খুব যত্ন নিয়ে দুইদিকেই সমান রাখতে হয়।
নূঢ়া সেটা ভালোই পারেন। দুইদিক সমান রাখার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নাই।
গোঁফটা ছেঁটে নিজের চেহারাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছোট্ট আয়নার মধ্যে দেখছিলেন।
১.
মন্ত্রী বলেছেন-“পরিস্থিতি ভালো, অবশ্যই ভালো।”
প্রথমে দেখে রেগেমেগে দুই চার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলাম। একটু পর মাথা একটু ঠান্ডা হলে ভেবে দেখলাম- নাহ্, ঠিকই তো, পরিস্থিতি আর খারাপ কি হয়েছে? দুই পক্ষের মারামারি নাই। একদল স্বসস্ত্র খুনি এসে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে চলে গেছে। তাও আবার তারা ব্লগার! কোন ট্যা ফো নেই, আওয়াজ নেই, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাহলে পরিস্থিতিটা আসলে খারাপ হলো কোথায়?
শত ব্যাস্ততার মাঝেও, দিনে-দুদিনে নিয়ম করে একবার হলেও আসি। ঘুরি ফিরি, মনে মনে মন্তব্য লিখি, দেয়া হয় না। মাঝে মাঝেই মনে করি এমন করে ফাটায় একটা লেখা লিখব যে আর কেউ ঠ্যাকাতে পারবে না; দুই খান সচলত্ব একসাথে এসে জমা হবে ইনবক্সে। প্রথমটায় এই হাচলত্বের অবসান, দ্বিতীয়টা বোনাস একাউন্ট – বেছে নাও চরমপ্রকাশ বা ত্রিমাত্রিকববি বা মিথ্যাপীর বা ঢিমু বা এইরকম কিছু। কত কিছু মনে পড়ে, আঙ্গুল নিশপিশ করে, পেটটা যেন ফুল
আমি আমার মর্দে মুজাহিদ ভাইদের পক্ষ থেকে এই সব মডারেট মুসলিম নামক জালেমেদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুইড়া দিলাম । পারলে হ্যাশট্যাগ আর স্ট্যাটাস দিয়া সিধা স্বীকার করেন, “ইসলামের শুরু থেকে যত মুর্তি ভাঙ্গা হইছে সব ভুল এবং অন্যায় । আর যারা ভাঙ্গছে তারা অন্যায় করছে” । পারবেন ? না পারলে স্ট্যাটাস আর হ্যাশট্যাগানি বন্ধ কইরা সাইডলাইনে বইসা তামাশা দেখেন আর মর্দে মুজাহিদ ভাইদের নির্বিঘ্নে মুর্তি ভাঙতে দেন । মুর্তি ভাঙাই সহী ইসলামের অংশ । “মুর্তিভাঙা সহী ইসলাম নহে” টাইপ ভ্রান্তিমুলক স্ট্যাটাস দিয়া মুসলিমদের বিভ্রান্ত করবেন না ।
[justify]
চাপা মাথা ধরা নিয়ে বিছানা ছেড়েছিলাম, সেটা ক্রমশই বাড়ছে।
বাবা যখন খোকার সাথে রাস্তা হবেন পার,
হঠাৎ করেই পথের কোনায় নজর গেল তার।
"নাউজুবিল্লা" বলেই তিনি বসেন কেটে জিব,
দিনের আলোয় করছে এ কী নাপাক দুটি জীব?
সাধেই কি লোক কুত্তা বলে? করছেটা কী! শিট!
একটা পেতে, আরেকটা তার পেছন থেকে ফিট!
দেখলে খোকা ভাববেটা কী, ভাবতে বাবার কান
টুকটুকে লাল হতেই মারেন খোকার হাতে টান!
ঝকঝকে রোদে হেসে উঠল নাটোরের জলজ মাঠ। সবুজের উজ্জ্বলতা বাড়ল। আকাশে নীল-সাদার এক অপুর্ব সম্মিলন। নাটোরের মেঠোপথে অন্য এক অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ল তনুমনে। চারপাশে ইতিউতি করে পাখি খুঁজে চলেছি। কিন্তু আকাশে ঝাঁক ঝাঁক শামুকখোল ছাড়া অন্যপাখি তেমন চোখে পড়ল না। অবশ্য দোয়েল আর শালিকের অভাব নেই। আমাদের এলাকায় এই বর্ষাতেও হরেকরকম পাখির দেখা মেলে। এদিকে নেই, তার কারণ বোধহয় জলবদ্ধতা। ভূচর পাখিদের খাবারের অভাব। বলতে আপত্তি নেই আরও একটা জিনিস খুঁজে চলেছি-- পাখির নীড়ের মতো দুটি চোখ।