নিজস্ব গেঁয়ো ভাবের কারণে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যাবহার করিনা। তাই ফেসবুকিং এর সময় পাওয়া যায় কেবল রাতে, বাড়ি ফিরে। গতকাল রাতে হোমপেইজ ঘাটতে গিয়ে নিজের প্রাক্তন স্কুলের এক খবর দেখে মাথা আউলে গেলো। স্কুলে প্রথম শ্রেণীর একজন আর পঞ্চম শ্রেণীর একজন ছাত্রী উপরে নির্যাতন হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার আর হাসপাতালে ভর্তি। (পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, এই গুজব রাটিয়েছে কারা তা এখনও জানিনা, তবে অভিভাবকদের মাথা গরম করিয়ে দেবার জন্য এটা যথেষ্ট ছিলো!)
নারী দিবস। মাতৃ দিবস। আমার মা-এর কাছে এই দিবসগুলি কোন বিশেষ বার্তা আনে না। তা বলে বার্তাগুলি থেকে তিনি দূরে থাকেন না। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। খবরের সাথে নিজেকে সংপৃক্ত রাখেন। বস্তুতঃ সেই পাঠ-ই তাঁকে সচল রেখেছে। কিন্তু তাঁর চারপাশের দুনিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মানসিক আর শারীরিক সক্ষমতার যতটা অবশিষ্ট আছে, তাতে উন্নত দেশের বাসিন্দা হলে তিনি এখন-ও সক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কিন্তু নিজের দেশে, সন্তানের সংসারে শিশুপালনের ভূমিকা পার হয়ে গেলে নিজের জনেদের মধ্যে থেকেও অনেক কাল-ই তিনি তাঁদের চলমান, ঘটমান জীবন প্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন। তাঁর মত, তাঁর বয়সীরা আরও অনেকই। সেখানে সেটাই রীতি।
শিরোনামটা বলে দিচ্ছে আমি একজন পুরুষ, অন্তত: নিরানব্বুই ক্ষেত্রে। বাংলায় লিখছি, কাজেই এবার অনুমিতি নিরানব্বুই দশমিক নয় নয়ে অথবা একশতে গিয়ে ঠেকা উচিত। নিপীড়নে বাঙালি পুরুষের জুড়ি মেলা ভার। সেটা যৌন হলে তো কথাই নেই। আমি ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা বলব, পাঠক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপাতত: মাথা ঘামাচ্ছি না। ব্যক্তি আমাকে নিয়ে কে কি ভাবলো সেটাতে আসলে আমি ছাড়া ম্যাস পপুলেশনের কিছু যায় আসে না। ঘটনাগুলো বাস্
যোগ্যতা...
==============
রেজা সাহেব আজ খুব খুশি।
একটি প্রথম সারির কর্পোরেট অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। মানুষ হিসাবে তিনি বেশ হাসিখুশি- অধীনস্থদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। সবাই জানে মধ্যবয়স পার হয়ে যাওয়া এই লোকটি কাজপাগল- নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন এই শাখাটা। অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে এই শাখাটি গিয়েছে। কিন্তু গত এক বছরে এই শাখাটি যেভাবে পারফর্ম করেছে সেটা অবিশ্বাস্য। এর পেছনে যেমন সবার পরিশ্রম আছে তেমনি আছে একটি মেয়ের অসাধারণ ডেডিকেশন, অক্লান্ত খাটুনি, আর বুদ্ধিদীপ্ত কিছু ডিসিশন।
আমি বিশ্বাস করি না বাংলাদেশের এমন কোন নারী আছেন যিনি ঘরে বা রাস্তায় যৌন নিপীড়নের শিকার হন নাই। কেউ হয়তো আমার সাথে দ্বিমত জানাবেন। কিন্তু আমার কথা হলো, নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমাকে উত্তর দেয়া জরুরী না।
একদিন খবর পেলাম ছোট ফুপা মৌলবাদী হয়ে গেছেন। খবরটা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। কারণ আমার সেই সুদূর অতীতের কথা মনে পড়ে গেল।
নগরপাল নির্বাচন নিয়ে একখানা কিছুমিছু ছড়া। পুরোটাই নীড়পাতায় চলে আসে বলে শুরুতে একটু ভূমিকা জুড়ে দিলাম। এই ভূমিকার ভূমিকা নিতান্তই মাহীবিচৌধ্রির মতো, কোনো কাজের কাজে আসবে না, কিন্তু রাখতে হয় বলে রাখা।
(আগের পর্ব- লিংক)
কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে সবচেয়ে অসাধারন যে বিষয়টি ঘটেছিল সেটি হলো- রান্নার উদ্ভাবন।