উইন্ডোজে খেলার জন্য নিড ফর স্পীড বলে একটা গেম আছে। কঠিন লড়াই করে গাড়ীর দৌড় প্রতিযোগীতায় জিততে হয়। ওটা খেলতে কঠিন মজা পেতাম। প্রতিটা চ্যালেঞ্জ জিততে দারুন মজা। কয়েকদিন পরেই কম্পিউটারের প্রতিযোগীগুলো কোনক্রমেই পেরে উঠতো না। বন্ধু বান্ধবের যারা খেলতো তারা তো কম্পিউটারের সাথেই পারে না। আমার সাথে পেরে ওঠার প্রশ্নই ওঠে না ... ... তাই ওদের সাথে খেললে মজা নষ্ট হয়ে যায়। আমার ছোট দুই ভাইও ...
যাঁরা বিদেশের ক্যাম্পাসে থেকেছেন তাঁরাই জানেন লম্বা ছুটি পড়লে ক্যাম্পাস অঞ্চল মোটামুটি একরাতেই ভৌতিক চেহারা ধারণ করে। আমেরিকান ছেলেমেয়েরা শেষ পরীক্ষাটা দিয়েই হয় বাড়ি চলে যায় কিংবা আর কোথাও, পড়ে থাকে শুধু যত বিদেশিরা যাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা ভয়ানক লম্বা, তাদেরও অনেকে আত্মীয়বন্ধুর বাড়িটাড়ি চলে যায় সম্ভব হলে। ফলে গরমের ছুটিটা যখন পড়লো তখন খুশি হওয়ার বদলে ...
[justify]কলিমুদ্দির চায়ের দোকানে বসে বসে মাছি তাড়াচ্ছিলাম৷ খুব যে কষ্ট করতে হচ্ছিলো, তা নয়, কারণ মাছিগুলো ল্যান্ড করার মতো উত্কৃষ্ট সিঙ্গারা বা আলুপুরি খুঁজে পাচ্ছিলো না, আপনা থেকেই ভেগে যাচ্ছিলো তারা৷ তবে খাসলত বলে কথা, আমার উদাস গালটাকে তেলেভাজা ভেবে যাতে তারা হামলা না করে, সেজন্যেই হাত পা নাড়ছিলাম আর কি৷
প্রোডাকশন আপাতত বন্ধ, কলিমুদ্দি ঝিমুচ্ছে, জুম্মনটা একটা বেঞ্চে লম্বা হয়ে...
আজ মারলং কাকার গল্প বলি, উনার নাম মারলং না অন্য কিছু আমি জানি না, উচ্চারণটা কেমন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করিনি। মানুষটা লম্বায় ছ’ফুট বা তার চেয়েও বেশি হবেন। খুব ছোট্টবেলার কথা, যখন সবকিছু দেখতে বিশাল মনে হতো। মারলং কাকার গায়ের রং “পাটনাই গমের” মতোন; আমাদের ওদিকে কেউ ফর্সা হলে তাকে গমের মতো ফর্সা বলে তুলনা করা হয়। চোখে সুর্মা টানা, লম্বা আলখাল্লা পরনে, কোঁকড়া চুল, পায়ে চামড়ার চটি, স...
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে আসামের গেরিলাবাহিনী উলফার জন্যে ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের ঘটনার তদন্ত চলছে, চুনোপুঁটি থেকে শুরু করে রাঘব বোয়াল সবাইকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এখন।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এনএসআই-এর তৎকালীন প্রধান ব্রিগেডিয়ার (অব) রহিম আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, তিনি এনএসআইয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সস্ত্রীক দুবাই গিয়ে এআরওয়াই নামে একটি দুব...
[justify]১.
আমি ভোজনরসিক নই। খাওয়াকে আমার একটা রুটিন ঝামেলা বলেই মনে হয়। তারিয়ে তারিয়ে, রসিয়ে রসিয়ে, উপভোগ করে খাওয়ার ব্যাপারটা আমি রপ্ত করতে পারিনি। নেহায়েত হাগতে হবে বলেই খাই।
কিন্তু তারপরও দেখলাম, আমি আসলে ভোজনবেরসিকও নই। যেমন, একটা কিছু হলেই আমার চলে না। খেতে বসে এটা দেখি, সেটা নাড়ি, ওটা শুঁকি। যা খুশি তাই আমাকে খেতে দিয়ে হাগতে বলা হলে, আমি আপত্তি জানাবো। নো স্যার!
খেতে বসে নানা খ...
(এ অংশে রইলো বইটার নামকরণের কথা আর চরিত্রগুলো কোত্থেকে আর কিভাবে এলো সেই গল্প )
তবে বলতেই হবে,বিজ্ঞাপন আমায় নিয়মানুবর্তিতা শিখিয়েছে,আর শিখতে বাধ্য করেছে আলসেমি ছুঁড়ে ফেলে আরব্ধ কজের জন্য গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে। সেদিন থেকে নিজেকে অন্যান্য সব (মানে,প্রায় সব) রকমের শৈল্পিক বিনোদন থেকে আত্মবঞ্চিত করে আমার লেখালেখিকে স্রেফ একটা কাজ হিসেবে ধরে নিয়েছি,যা করতেই হবে। মনে পড়ছে ওগিলভ...
(এ অংশটি পড়ার আগে আগের অংশটি পড়ে নিলে সুবিধা হবে। আপনাদের সুবিধার্থে একেবারে হঠাৎ কাট-অফ পয়েন্ট থেকে শুরু করার বদলে আগের অংশের সাথে একটু ওভারল্যাপ রেখেছি।
পড়া শুরু করার আগে আবারও মনে করিয়ে দেই যে এটি দুই বন্ধুর মধ্যে উড়াধুড়া চ্যাট বই কিছু নয়। হাতি-ঘোড়া মারা হয়েছে, তবে কল্পনার হাতি-ঘোড়া, সুতরাং দুঃখ-বেদনা-শোক-হতাশা-রাগ শুরু করার আগেই ফেলে আসুন।
[si...
[লেখককে কবিতার ব্যাখ্যা দিতে নেই। আপাত দৃষ্টিতে এটাকে প্রেমের কবিতা মনে হলেও বুদ্ধিমান পাঠক কি ধরতে পারছেন, কবিতাটার বিষয়বস্তু আসলে কী ? নির্দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারেন। ]
আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
আমাকে উন্মুক্ত করে
তোমার অবাধ্য তর্জনীটা আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
বুকের নিপুলে আমার ! অথচ কী নির্বিকার তুমি
আমার চোখে রাখো চোখ, আর
আশ্চর্য মগ্নতায় চেয়ে থাকো অন্য কারো স্পর্শাতীত চোখে-
মুখের...
মেয়েটির হাতে ঝিমায়মান একগুচ্ছ ফুল ছিল, হলুদ বিবর্ণ হলে চোখ তাকে সইতে পারে না, তার ঠোঁটে ক্ষীণ সুরও ছিল, কথাহীন সুরও মানুষ নিতে পারে না বেশিক্ষণ, সাধারণ মানুষ কথা আর সুরের মিল চায়, মানুষ গান খোঁজে; মেয়েটির জীবন ছিল, যৌবন নয়, জলের তলায় ওঁৎ পেতে থাকা কুমিরের মতো, আনাকোন্ডাও হতে পারে; তবে ভালোবাসা সবুজ পাতার আভরণে আশ্রয় নেয়া গেছো ব্যাঙের মতো মেয়েটির জীবনে সামান্য সবুজ এনেছিল, একটু নড়াচড়...