সপ্তম অধ্যায়
ফাগুন মাসে প্রকৃতি সাজে সবুজের গয়নায়। আমগাছে থোকা থোকা মুকুল, বাতাবি গাছের শাখায় কচি পাতা আর সাদা ফুলের মেলা। মন পাগল করা গন্ধ সে ফুলের। পিটালি গাছে এসেছে ছোট ছোট গুটি। কুল গাছে টসটসে পাকা কুল। কাঠ বিড়ালি আর পাখিদের আনাগোনা। বসন্তের স্বচ্ছ বাতাস ধোয়া শুভদিনে সবেদ আলির ঘর আলো করে এল ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। বংশের প্রদীপ। বেড়ে গেছে হুরমতির কদর। ছমিরন বিবি ভয়ে ভয়ে থাকে কখন কোন অপরাধ ধরা পড়ে।
সদ্যজাত বংশধরকে নিয়েও আহ্লাদের অন্ত নেই সবেদ আর হুরমতির। ছেলেটা একটু চোখ ফুলিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সমিরন। পিঁপড়েয় কামড়াল, মাছিতে জ্বালাতন করছেথ-- ছমিরনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সামান্য শব্দে কেঁপে ওঠে ছোট্ট বুকটা-- সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয় ছমিরনকে, ঠোঁট ফোলানোর আগেই বুকে থাবা দিয়ে নিবৃত করতে হয়।
নীল সবুজ কম্বিনেশনের সালোয়ার কামিজে অপর্ণাকে খুব সুন্দর লাগছে। মিষ্টি করে সেজেছে অপর্ণা। হালকা মেকআপের সাথে কানের ম্যাচিং নীল পাথরের দুল দুটিতে বেশ জমকালোও লাগছে ওকে। অপর্ণা নীলচে আই লাইনার আর কাজলের আড়াল দিয়ে ওর চোখের বিষণ্নতা ঢাকবার খুব চেষ্টা করেছে। অথচ আমি দেখেছি লাল-গোলাপি রঙেও ওকে বিষণ্ন লাগে। আর নীল হলে তো কথাই নেই। কাল রাতে চ্যাট করার সময় আমাকে ওর চোখের এই সাজের বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের ছবি পাঠ
[justify]Stephen Hawking এক জায়গায় বলছেন - “… to me philosophy is dead".
১
নেপাল থেকে ফিরে এসে একটা চিঠি পেলাম। এয়ার মেইলের খামে হৃষ্টপুষ্ট পেট মোটা চিঠি। প্রেরকের ঠিকানার জায়গায় লেখা রয়েছে- আব্দুল বাতেন মিয়া। বাতেন ভিলা। পুটকি বাড়ি। ঠাকুরগাঁও। পুটকি বাড়ি বলে যে কোন জায়গার নাম থাকতে পারে তা আমার জানা ছিল না। আর আব্দুল বাতেন মিয়া নামেও কাওকে আমি চিনি না।
আমি টিভির জন্য প্যাকেজ নাটক বানাই। মধ্যবিত্ত জীবনের টান পোড়েন নিয়ে কিছু নাটক বানিয়ে বেশ সনাম কুড়িয়েছি। লোকজন আমাকে চিনতে শুরু করেছে। মিথ্যা ঠিকানা সম্বলিত উড়ো চিঠি পাঠিয়ে কেউ রসিকতা করতে চাইলে আমি অবাক হব না। অনেক কিসিমের মানুষ আজকাল আমার দুয়ারে এসে ধর্ণা দেয়। নাটকে সুযোগ দেয়ার জন্য চ্যাংরা ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে খালাম্মা গোছের মহিলারা এসেও ব্যাপক কচলা কচলি শুরু করেন। খ্যাতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খ্যাতির বিড়ম্বনা। নেপালে স্যুটিং থেকে ফিরে এসে বেশ ক্লান্ত আমি। পরে পড়ব বলে ডেস্কের উপর রেখে দিয়েও কি মনে করে চিঠিটা খুললাম।
কদিন আগেই মনে হয় গেলো ডাকবাবা আফ্রিদির জন্মদিন। আর তার সাথে চলছে এখন বিশ্বকাপ, মাঝে মাঝেই হয়ে যায় পাকি শুয়োরের বাচ্চাদের খেলা। এই খেলায় তাদের মাঠের যা পারফর্মেন্স থাকে, তার থেকে ভাল পারফর্মেন্স দেখায় পরদিন এদেশের মিডিয়া, বিশেষ করে মইত্যা আলুর উটপোদ শুভ্র। এর সাথে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর পাকি ডান্ডু চোষন। পাকিপ্রেম এরা আর ধরে রাখতে না পেরে উগরে দিচ্ছে এক্কেবারে।
(১)
শিকারের শখ অনেকের, কিন্তু সাহস হাতে গোণা কয়েকজনের। যদিও শিকারের আত্মরক্ষার তেমন কোন উপায় নেই, তবুও বন্দুকের রিকয়েল কিংবা গুলির আলগা ফুলকি ছুটে পেলব ত্বকে দাগ বসিয়ে দিতে পারে। কিংবা কোমল মনের কেউ নিষ্ঠুর বলে ভর্ৎসনা করতে পারে। ইত্যাদি নানা ভয়ে বেশিরভাগ শিকারপিয়াসু দূরে দাঁড়িয়ে অন্যের শিকার দেখে ভিকারিয়াস আনন্দ পায়। তবে কেউ কেউ শিকারের দেহ নিথর হয়ে এলে লোকলজ্জা ও অস্ত্রের ভয় কাটিয়ে উঠে। তারাও অংশ নি
প্রথম পর্ব এখানে
দ্বিতীয় পর্ব এখানে
[justify]মেসের জীবন আমার কখনই ভালো লাগতো না।
কিন্তু আমাকে যে কতবার মেস বদলাতে হয়েছে তার ঠিক নেই। প্রায়ই দেখা যায় আমাকে কেউ বলছে, “আরে তানিম! কি খবর?”
( প্রথম পর্ব এখানে )
[justify]
আমি প্রথম ঢাকায় আসি ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার পর।
বিন্তী তখন খুবই ছোট, আব্বা কি একটা কাজে ঢাকা আসায় আমরা সবাই এসেছিলাম। আব্বা আমাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। ওখানে একটা রাস্তার পাশের দোকানে খেলনা পিস্তল দেখেছিলাম, গুলি করলে সাদা ছোট ছোট পুঁথির মত বল বের হয়। ওটা দেখে আব্বাকে নিয়ে এসেছিলাম কেনার জন্য, দেখি ততক্ষণে বিক্রি হয়ে গেছে। ওটা নাকি একটাই ছিল! আমার এত খারাপ লেগেছিল! আমার প্রথম ঢাকা স্মৃতি ছিল খেলনা পিস্তল না পাওয়ার আক্ষেপটাই।
এতক্ষণে একটু দম ফেলবার সময় পেল শাঁওলী। মা গো! কাল সেই সকাল থেকে শুরু করে আজ এই ঘণ্টাখানেক আগে অব্দি যা ঝড়টা গেল! প্রথমে তো হলুদ, তারপর এক এক করে আশির্বাদ, বিয়ে থেকে আজ সকালে বাসি বিয়ে। ইস! বিয়ে করে নাকি কেউ?