চাঁদমালার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphoides indica, যা আবার Nymphoides brevipedicellata আর Nymphoides thunbergiana, এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বর্ণণাটি Nymphoides thunbergiana অবলম্বনে।
ফুলটি জলজ, Nymphoides গণের সব ফুলের সাথেই শাপলার গাঠনিক সাদৃশ্য রয়েছে। চাঁদমালা সাদা ফুল, তারামাছের মতো এর পাঁচটি পাঁপড়ি রয়েছে, কেন্দ্র হলুদ। পাঁপড়ির কিনারাগুলি রোমশ। অক্টোবর থেকে মে-র মধ্যে ফুল ফোটে। এর সবুজ ভাসমান পাতা হৃদয়াকৃত...
এটা একটা অনিয়মিত ছড়ার সিরিজ। চরিত্র দু'টি, মকবুল আর জগলুল। এদের ভূমিকা পাল্টাবে। বাস্তবের সাথে মিল কাকতালীয়, ছড়াকার বা আর কেউ দায়ী নন।
মকবুল স্মাগলার, জগলুল ঠোলা
দুইজনে একসাথে বড় হওয়া পোলা।
মকবুল বর্ডারে, জগলুল ঢাকা
দুইজনে দুই হাতে খাবলায় টাকা।
মকবুল আলহাজ্জ্ব, জগলুল হাজী
দুইজনে বদমাশ হাড়ে হাড়ে পাজি।
মকবুল বিবাহিত, জগলুলও স্বামী
তাহাদের বউগুলি গাড়ি চড়ে দামী।
মকবুল মদ খায়, ...
উহুঁ, আলাদা ফিস-টিস নেই
চাইলে, হাতে লেখা সাদা কাগজের একটা
ফরম দিতে পারি।
সেখানে নাম-ধাম লিখে-
সাথে পিতার বৈষয়িক বৃত্তান্ত,
এবং নীল না পেলে নাহয় সাদা খামে পুরেই
আমার বুক পকেটে ফেলে যেও মেয়ে।
শুধু তোমার জন্যই, জেনো,
শুধু তোমাকে ভেবেই আমি
কাগজে বিজ্ঞাপন দেইনি কোনও।
নইলে দু"কলামে রঙীন হরফে
ছেপে দেয়াই তো যেতো-
"কবি-র প্রেমিকা পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে।"
হাওয়া শুঁকে শুঁকে আমি টের পেয়ে গেছি,...
কাঁঠালিচাঁপার বৈজ্ঞানিক নাম Artabotrys hexapetalus, Artabotrys odoratissimus, Artabotrys uncinatus, Annonaceae পরিবারভুক্ত। হেক্সাপেটালাস থেকেই বোঝা যায়, ফুলটির ছয়টি পাঁপড়ি। শনাক্ত করা মোটেও কষ্টকর নয়, কাঁঠালের মতো এর তীব্র গন্ধ দূর থেকেই পাওয়া যায়। ফুলটি পানির সংস্পর্শে থাকলে দীর্ঘদিন বড় জায়গা জুড়ে গন্ধ ছড়াতে পারে। ফুলের রং হলদে, কখনো কখনো হালকা সবুজের ছোঁয়া থাকে। গাছ ঝোপ আকারের হয়, তবে লতা...
কাঠগোলাপের বৈজ্ঞানিক নাম Plumeria obtusa। এর গণের নামকরণ করা হয়েছে ফরাসী উদ্ভিদবিদ শার্ল প্লুমিয়ে-র নামানুসারে। প্লুমেরিয়া গণের ফুলগুলিকে ইংরেজিতে সাধারণভাবে Frangipani ডাকা হয়। এর নিকটাত্মীয় করবী বা ওলেয়ান্ডার। কাঠগোলাপ মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা ও দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় ফুল। কাঠগোলাপের রং হতে পারে সাদা, হলুদ বা গোলাপী। বর...
কলমির বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea aquatica। এটি সিক্ত মাটিতে জন্মায়। কলমির পাতা শাক হিসেবে বহুলপরিচিত। কলমির ফুল সাধারণত সাদা হয়, ভেতরে বেগুনীর ছোপ থাকে। এর আকার ঘন্টার মতো। পাতার আকার তীরের ফলার মতো, লম্বায় ৫-১৫ সেমি, চওড়ায় ২-৮ সেমি। কলমির গাছ ২-৩ মিটার উচ্চতার। এদের গোড়া ফাঁপা বলে তা পানিতে ভাসে।
কলমির মতো আরো বেশ কয়েকটি ফুলকে "মর্নিং গ্লোরি" সাধারণ ...
কল্কে ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Thevetia Peruviana। এটি করবী ফুলের নিকটাত্মীয় (Apocynaceae পরিবারের)। কল্কে ফুলের মূল নিবাস মধ্য ও দক্ষিণামেরিকা। ফরাসী পাদ্রী ও অভিযাত্রী আঁদ্রে দ্য থেভে-র নামানুসারে ফুলটির গণ এবং প্রাপ্তিস্থল পেরুর নামানুসারে এর প্রজাতির নামকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
কল্কে ফুলের গাছ তিন থেকে পাঁচ মিটার উ...
করবীর বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে আমি কিছুটা দ্বিধায় আছি। একে Indian Oleander বা Nerium indicum বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়, কিন্তু Nerium oleander এর সাথে এর ফেনোটাইপের বৈসাদৃশ্য অতি ক্ষীণ বলে জানাচ্ছে জার্মান উইকিপিডিয়া। উদ্যানবিদদের সহায়তায় করবীর তিনটি ছবি তুললে একে শনাক্ত করে সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য যোগ করা সহজ হবে বলে মনে করছি।
করবী লাল, গোলাপী বা সাদা হতে পারে। ফুল ফোটে গুচ্ছবদ্ধ হয়ে। ফুলের আকৃতি ক্...
অশোক ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Saraca asoca বা Saraca indica। এটি হলদে-কমলা বর্ণের গুচ্ছে ফোটা ফুল যা পরবর্তীতে লাল বর্ণ ধারণ করে। গাছ চিরহরিৎ, মাঝারি আকৃতির। ফুল গাছের কান্ড থেকেও ফোটে। ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র, মৃদু গন্ধযুক্ত। অশোক ফোটে বসন্তকালে।
রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। সিদ্ধ...
অপরাজিতা বা নীলকণ্ঠের বৈজ্ঞানিক নাম Clitoria ternatea। ভগাঙ্কুরের সাথে এর সাদৃশ্যের কারণে এর গণের নাম Clitoria, এবং ইন্দোনেশিয়ার মালাক্কা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ Ternate এর নামানুসারে এর প্রজাতির নাম ternatea।
অপরাজিতা ফুলের বর্ণ বহিরাংশে নীল, ভেতরে সাদা ও ঈষৎ হলুদ। গাছ ঝোপ আকারের হয়। গাছের পাতা উপবৃত্তাকার। অপরাজিতা শনাক্ত করার আরেকটি উপায় হচ্ছে, এ ফুলটি গুচ্ছে ফ...