ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভ...
আগের দিন সুমেরু দা’র ফোন পেলাম। যদিও তারও আগেরদিন পান্থ’র মোবাইল ওয়েভেই জেনে গেছি যে ১৪ মার্চ ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস’, সুমেরু মুখোপাধ্যায়ের বইটার প্রকাশনা উৎসবের কথা। অনুষ্ঠানের আরেকটা চমৎকার আকর্ষণের বিষয় ছিলো প্রিয় শিল্পী কফিল আহমেদের ‘একটা ঘাড়ভাঙা ঘোড়ার ওঠে দাঁড়ানো’র আয়োজন। তবে অনিবার্য সমস্যা না থাকলে যে কারণে অনুষ্ঠানটা মিস করার কোন উপায় ছিলো না, বাদাইম্যা ...
(লেখাটা স্বামীনাথন আয়ারের স্বামীনমিক্স সিরিজের একটা প্রবন্ধ। স্বামীনাথন আয়ার টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার এক জনপ্রিয় কলামিস্ট। তার স্বামীনমিক্স সিরিজের প্রবন্ধগুলো ব্যতিক্রমী চিন্তাধারায় লেখা। এগুলো পড়তে পারেন এখানে বা এখানে। )
১৯৩০ সালের গ্রেট ডিপ্রেশনের পরে আবার এক পৃথিবীব্যাপি মন্দা সারা পৃথিবীর অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে। মন্...
১।
এবার রেজিনায় দীর্ঘ শীতকাল। মার্চের শুরুতেও রীতিমতো ভয়াবহ ঠান্ডা। মাঝে একদিন সকালে যখন ইউনিভার্সিটিতে যাই, তখন উইন্ড চিল সহ তাপমাত্রা মাইনাস সাতচল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ইউনিভার্সিটিতে যাবার পথে বরফে আছাড় খেলাম, তবে ভাগ্য ভালো ব্যাথ্যা তেমন পাইনি। ওয়ালমার্ট থেকে সস্তায় কেনা স্নো-বুট এক শীতেই কাবু। সেদিন সন্ধ্যায় দেশে এক মামার কাছে ফোন দিলাম। কথাপ্রসঙ্গে ঠান্ডা, বরফে আছা...
‘বললাম তো যাবো না, তবু এত গুঁতানোর কী হল?’ বয়সভারে ন্যুব্জ বিছরুখের গরম জবাব। বিছনাজ তাই বলে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী না। এই লেজভোঁতা সঙ্গীটার আস্ফালন দেখছে বহু বছর ধরে। বছরে কিছুদিন থাকে এমন। এই দিনগুলোয় বুড়োকে একা ছেড়ে দেওয়া যায় না। আকাজ করে বসে কিছু না কিছু একটা।
গেলবার এই দিনে রাগের মাথায় জামার বুকের কাছটা খেয়ে ফেলেছিল বিছরুখ। পাশের বাড়ির বিচ্ছুকে বিশেষ ভাবে খুশি করে সে-কেলেংকা...
[justify]নদীতে তেষ্টা মেটাতে যেয়ে এক হাতির সাধ হলো, সে-ও জলহস্তীদের মতো ওরকম সারাদিন নদীর মাঝে ডুবে ডুবে জল খাবে।
যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। নেমে পড়লো সে নদীতে।
কিছুদূর যেতেই হাজির হলো গাঁট্টাগোট্টা এক জলহস্তী। খ্যাঁক করে উঠলো সে, "এইখানে কী চাস ড়্যা?"
হাতি শুঁড় বাড়িয়ে জলহস্তীর বোঁচা নাকের সাথে নাসিকামর্দন করে বললো, "আজ থেকে আমিও এখানে তোমাদের সাথে মিলেমিশে নদীতে থাকবো।"
জলহস্তী বললো, "বটে? ...
এই তোর নাম কি, আর এখানে এলি কি করে?
আমার নাম জামাল প্রশ্নের বাকিটা শেষ না করে এবার জামাল জিজ্ঞেস করে, তোমার বাড়ীই বা কোথায় আর তুমিই বা কি করে এখানে এলে ?
আমার বাড়ী পাঞ্জাবে, লেকিন ওহ হিন্দুস্থানওয়ালা পাঞ্জাব নেহী, পাকিস্থানওয়ালা পাঞ্জাব, সমঝা। আর আমি কি করে এখানে এসেছি তা জানি না, তবে এক চাচাজী আমাকে রোজ স্কুল থেকে ফেরার সময় আমার সাথে গল্প করত আর মাঝে মাঝে চকলেট ...
আমরা নানাদিক থেকে আক্রান্ত একটি দুর্ভাগা জাতি। একটা সময় ছিলো যখন আমরা কম্বোডিয়া থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলাম। একটা সময় ছিলো যখন আমাদের জাহাজগুলো আবিসিনিয়া পর্যন্ত বাণিজ্যে ব্যস্ত ছিলো। সেসব সময় গত হয়েছে। আমরা পরের গোলায় ধান আর পরের ঝাঁকায় মাছ তুলতে তুলতে, কামলা খাটতে খাটতে পরিপূর্ণ একটি কামলা জাতিতে পরিণত হয়েছি। সেদিন বোধহয় আর বেশি দ...
নীল
-------------------------------------------------------------------------
ঘুমন্ত শহর রেখে হেঁটে যায় রাত্রির পা
অন্ধকারের ভাষা টুটকা করে
অবলা নারী। তাদের আঁচলে বেঁধে নেয়
মন্ত্রের কৌশল-
ঘুড়ির মতো একটি চাঁদ ঝুলে আছে
বিধবা মেঘের ঠোঁটে!
অনেকগুলো বোবা হাসি শিস হয়ে
মিশে যাচ্ছে বাতাসে।
তাদের গন্তব্য অজানা
তারা জানে না
ঘুম থেকে জাগানোর মন্ত্র অজানা হলেও
জেগে থাকে দুটি স্তন আর অনেকগুলো
অশ্ব দৌড়ে যায় স্বপ্নের ধূ...
সেদিন একটা জরুরি কাজে আমার এক আত্নীয়ের বাসায় গিয়েছি। উনারা খুবই ধর্মপ্রাণ(??)। কথায় কথায় আল্লাহর দুনিয়া, দুই দিনের দুনিয়া ইত্যাদি বলতে খুবই পছন্দ করেন। মুখে বলেন বটে দুই দিনের দুনিয়া কিন্তু কাজে দুনিয়াদারীর কোন সুখ ছাড়তে নারাজ। সেখানে একজন বিশিষট ধার্মিক ব্যাক্তি আছেন, সম্পর্কে আমার বড় ভাই টাইপ হন। খুবই শিক্ষিত জন। বি এস সি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)। ঘুষ খাওয়া লাগবে বলে সরকারী চাকুরী ...