পুলিশ যে আমাকে কেন এত ভালোবাসে তা আমি আজ অব্দি বুঝতে পারলামনা। কারণে অকারণে আমাকেই ধরে। আরে ব্যাটা চোর ধর। মানে বড় চোর ধর। আমিতো খালি চুরি করে সিগারেট খেতাম, তাও আজকাল ছেড়ে দিয়েছি। আরে ভাই, আপনারাই বলুন, আমার চেহারাটা একটু খারাপ বলে কি আমাকে অযথাই ধরতে হবে??!! এটা কোন কথা হল? দেশে কি আইন বলে কিছু নাই?
…
[ স্বীকারোক্তি : পাঠক বন্ধুদের অবগতির জন্য প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, এটাকে বিজ্ঞাপনী-পোস্ট ভাবার কারণ নেই। কেননা, প্রদত্ত প্রচ্ছদের ছবিটা সংশ্লিষ্ট গ্রন্থের পরিচয়কারী বিজ্ঞাপনী-সুলভ মনে হলেও বস্তুত এটি এখনো অপ্রকাশিত মৌলিক পোস্ট, যা চার্বাক-দর্শন ও বর্তমান গ্রন্থের আলোকে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও জানি না সচলায়তনের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে কিনা ! সেরকম হলে মডু ভায়েরা অবশ্যই প্রথম পাতা থেকে পোস্টটি নির্দ্বিধায় সরিয়ে দিতে পারেন। সবাইকে স্বাগতম ! ]
একটা পর্যায় থেকে, মানব সভ্যতার ইতিহাস আসলে ধর্মেরই ইতিহাস। সম্ভবত কথাটা বলেছিলেন দার্শনিক ম্যাক্স মুলার, যিনি প্রাচীন ভারতীয় দর্শন তথা বৈদিক সাহিত্য বা সংস্কৃতিরও একজন অনুসন্ধিৎসু বিদ্বান হিসেবে খ্যাতিমান। তবে যে-ই বলে থাকুন না কেন, সভ্যতার এক দুর্দান্ত বিন্দুতে দাঁড়িয়েও উক্তিটির রেশ এখনো যেভাবে আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুব দৃশ্যমানভাবেই বহমান, তাতে করে এর সত্যতা একবিন্দ্ওু হ্রাস পায় নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা অনেক বেশিই প্রকট থেকে প্রকটতরই হচ্ছে বলে মনে হয়।
নোটন নোটন কোবিগুলো
ঝোটন বেধেছে
সবাই মিলে কাগজ কালি'র
গুষ্ঠি মেরেছে।
দেশে কাকের চেয়ে কোবি বেশি। কোবি শব্দটার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যারা কবি নয়, কিন্তু কবিতাকে আশ্রয় করে কী যেন একটা করতে চায়, তারাই কোবি। যেমন, দৈনিক কোবি। কোবতে লিখতে গিয়ে চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার নিয়ে দুইদিনের বৈরাগী কোবিদের কথাবার্তা-কারবারে বিরক্ত হয়ে একটা কোবতে লিখলাম। সিস্টেমকে ধ্বংস করতে গেলে নাকি সিস্টেমের অংশ হতে হয়। যদিও কোবতের ভেতরে বর্ণিত কোবিদের একজন হতে পাল্লাম্না এখনও। বড় হয়ে হবো আশঙ্কা করি।
একটা কোবি ছায়ায় বসে, একটা কোবি রোদে
বৃষ্টিমনে খুপরির ফাঁকে উঁকি মেরে সামনের হাওরে ছোঁ ছোঁ দৃষ্টি দেয় আপন ।বছরের হাতেখড়ি বৃষ্টি , কিন্তু এতটা আনাড়ি নয়,-একেবারে আষাঢ় আষাঢ় মুরোদ নিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।কচুপাতায় টাপুরটুপুর নৃত্য , অযাচিত উপঢৌকনে অসহায় নোয়ানো পাতাগুলো।
আমাকে দেখে মিতুলের মা এগিয়ে আসে। ভদ্রমহিলার হাতে একটা চাদর। স্কুলের উল্টোদিকে মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে চাদর বিছিয়ে অভিভাবকরা বসে থাকে। আমাদের বাসা থেকে আস্থার স্কুল হাঁটার দূরত্বে। আস্থাকে প্লে'তে ভর্তি করার পর আমিও দিন কয়েক এভাবে বসেছিলাম। পরে আস্থাই আমাকে বলেছে, 'মা আমি থাকতে পারবো। তুমি অফিসে চলে যাও। আমি কিচ্ছুতেই গেটের বাইরে যাবো না।' আমার মেয়েটা বড় লক্ষ্ণী। ও খুব দ্রুত স্কুলের সাথ
বনের কোলে একটি বেঞ্চি ফাঁকা
তুষার জমে আটকে আছে তাতে
নিকষ কালো রাতে।
লাউপেটু ছেলেটার পরনে কিছুই নেই। শুধুমাত্র কোমরের ঘুনচিতে দুটো ঘুঙুর বাঁধা। বয়স পাঁচ হবে হয়তো। গোল নায়ের মতো পেটখানা সামনে পেছনের দিকে হাত দুটো নবাবি কায়দায় যেন ওর গতরের বৈঠা ধরল।অচেনা কাউকে দেখলে চাঁদ চিলতে হেসে চার আঙুলে কপাল মেপে জানাবে- আত্তালামু আলাইকুম।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে জনৈক নারী মামলাটি দায়ের করেন। সেদিনই বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং পরদিন সবগুলো দৈনিক পত্রিকায় খবরটি ফলাও করে ছাপা হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও নিয়মিত সংবাদ পরিবেশিত হতে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতেও খবরটি ব্যাপক প্রচার পায়।
প্রোফেসর মোতালেবের ডায়েরীটা আমার হাতে কিভাবে আসে সে এক লম্বা কাহিনী। সে গল্প না হয় আরেকদিন বলা যাবে। শুরুতেই বলে রাখি তার ডায়েরী লেখার স্টাইল অনেকটা প্রোফেসর শঙ্কুর মতো হলেও প্রোফেসর মোতালেব মোটেও প্রোফেসর শঙ্কুর মতো নন। তিনিও একজন বিজ্ঞানী তবে পরিপূর্ণ হালাল বিজ্ঞানী। তিনিই পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী যিনি ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে এক করে বিজ্ঞানকে পূর্ণতা দিয়েছেন। তার বড় বড় আবিষ্কারের মধ্যে খেজুর পিল (জেনেটিক্যালি মোডিফাইড খেজুর, একটি খেলে এক মাস না খেয়ে থাকা যায়), তাবিজ ওয়ার্মার (একই সাথে তাবিজ এবং বডি ওয়ার্মার। পরে থাকলে ভুত প্রেত শয়তান ও শীত দূর হয়ে যায়), এসিড পড়া (পানি পড়ার মত মত করে এসিড পড়া হয়। দুই চামুচ এসিড পড়া খেলে দাদ,খাঁজ-খুঁজলি, অর্শ, ভগন্দর, চর্মরোগ, ক্যান্সার, এইডস ও ইবোলা সহ সকল জানা অজানা রোগ বালাই দূর হয়ে যায়), ঢিলা কুলুখ বোমা (প্রচণ্ড শক্তি সম্পন্ন ঢিল আকারের আণবিক বোমা যেটা পকেটে নিয়ে ঘুরা যায়। মন্ত্র বলে ছুড়ে মারলে একই সাথে শয়তান ও দুষ্টু মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়), নাস্তিক বন্দুক (তাক করে গুলি করলে গুলি শুধু নাস্তিকদের গায়ে লাগবে। বিশ্বাসী হলে আঘাত না করে গুলি সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাবে), গেলমান রোবট (সেবা শুশ্রূষা করার জন্য রোবট। ঠিক কি কি সেবা করতে পারে তা প্রোফেসর মোতালেব গোপন রেখেছেন) অন্যতম।