কাজের লোড ঘাড়ে চাপতে পেরেছে আমারই ফাঁকিবাজির কারণে। মাঝখানে কিছুদিন ঢিল দেবার কারণে একটু একটু করে কাজের স্তুপ জমছে মাথার ওপর, সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে আবার অকাজে তনোমনোধনোনিবেশ করেছি। শেষমেশ ব্যাপারটা দাঁড়ালো খাটো কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমানোর মতো, মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যায়, আর পা ঢাকতে গেলে মাথা। সমাধান হচ্ছে কুন্ডলী পাকিয়ে শোয়া, তাই অবদমিত কাজের চাপে আমিও কুন্ডলী পাকিয়ে ছিলাম ...
শেষ হোটেল
“আরো জোরে!” টমি রিভিয়েরা বলে উঠলো। “আরো জোরে!”
“৮৫ তে আছি” কেলসো ব্ল্যাক বললো।
“পুলিশ আমাদের ঠিক পিছনে,” রিভিয়েরা বললো, “৯০ এ তোল।“ জানলা দিয়ে বাইরে তাকালো। পলায়নরত গাড়ীটার পিছনে একটা পুলিশের গাড়ী। সাইরেনের বিলাপধবনি আর লাল আলোর ঝলকানি দিয়ে যাচ্ছে।
“সামনের সাইড রোড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি, “ ঘোঁতঘোঁত করলো ব্ল্যাক। গাড়ীর চাকা ঘুরিয়ে কাঁকর বিছানো আঁকাবাকা পথটাতে মোড় ন...
ছড়মাণুতে অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন দেখে সত্যিই প্রীত বোধ করেছি। বাংলা ছড়ার এই ধারাটি, খুব সম্ভব, নতুন নয়। তবে এতো ব্যাপক চর্চা আগে কোথাও হয়েছে বলে মনে হয় না।
এই সিরিজের ছড়াগুলোর বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি দ্বিপদীর অন্ত্যশব্দ দু'টির উচ্চারণ হবে অভিন্ন, তবে সেগুলো বহন করবে ভিন্ন অর্থ। "গিয়ে আমি বইমেলা / কিনেছিনু বই মেলা" গোছের।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
২১.
শুনেছি, সে নাকি জুয়াচুরি করে
দিনরাত খ...
যদিও কোন উদ্দেশ্য ছিল না, কিন্তু "কস কী মমিন" দেয়ার পর সিরিজ নামানোর জন্য বিশ্ব থেকে চাপ আসা শুরু হইছে। এর মধ্যে মুরুব্বিরা তো আছেনই, বরফের দেশে গিয়া ধরা খাওয়া অর্বাচীন বালকেরাও বাদ নাই। ফাতরা কথা পড়তে যত আরাম লাগে, পাড়তে তত না। তারপরও নিলাম ঝুঁকি, দেখতে চাইলে মাউস টিপে, দিয়েন একটা উঁকি।
সতর্কতা: এ লেখায় স্থূল উপাদান আছে। পড়ার জন্য লগইন করতে হবে।
পড়ে যুত লাগলে বলতে পারেন "কস কী মমি...
১.
কী যে অসম্ভব উদ্বিগ্ন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গেলো ক'টা হপ্তা! আক্ষরিক অর্থেই নাওয়াখাওয়া ভুলে কাজে ডুবে ছিলাম, হাওয়াখাওয়া তো দূরের কথা।
ক্যালেন্ডারে কাজের ডেডলাইন টুকতে টুকতে খেয়াল হলো, এক বিশাল ইয়েমারার সামনে আমি জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে। লিডল থেকে প্রচুর খাবারদাবার কিনে এনে ফ্রিজ বোঝাই করে বসলাম কাজে। তারপর ডুব।
এরপর দাড়ি কামানো হয় না, গোসল করা হয় না। কাজ-খাওয়া-হাগা-ঘুম-কাজ। অ্...
“দেখা হয় তবু, এমনই কপাল!
মনের আড়াল যায় না।
দু’জনার মাঝে কাচের দেয়াল-
ব্যবধান এক আয়না!”
বেশ ছোট্টটি থাকতে, মনের চোখ-কান ঠিকমতো ফুটে ওঠার আগেই এই গীতিকাব্যের দেখা পেয়েছিল রাজন, একটা টিভি নাটকে। মানে না বুঝলেও, মনে থেকে গিয়েছিল সেই শব্দ-দৃশ্য আর সময়ের ঘ্রাণ, এক বিরল গভীর ভালোলাগার আবেশসমেত। তবে, এই দেখাটা যে কেন হ’তেই হয়- রাজন তা জানে না! জানেনি আজ পর্যন্ত, তিরিশ বছরের বুড়ো ধূসর চোখে যে...
পালাতে আমাকে হবেই
“এখানে কি করছি আমি?” হঠাৎ করেই অবাক হয় ভাবলাম। প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম। কিচ্ছু মনে করতে পারছিলাম না। একটা এটমিক ফ্যাক্টরির আসেম্বলি লাইনে কাজ করছি আমি। শুধু জানি আমার নাম ডেনি ফিলিপ্স। মনে হচ্ছিল এইমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। জায়গাটা পাহারাদার দিয়ে ঘেরা, প্রত্যেকেই সশস্ত্র। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে কেউই ছেড়ে কথা বলবে না। আরো কারা জানি কাজ করছে, দেখে মনে হয় যেন জিন...
চারটি ইনসিওরেন্স কোম্পানির মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে। প্রথমটা তাদের স্লোগান ঠিক করলো - "Coverage from the cradle to the grave."
দ্বিতীয়টি ঠিক এক কাঠি এগিয়ে বলল - "Coverage from the womb to the tomb."
তৃতীয়টি আরেক কাঠি সরেস, বলল - “Coverage from the sperm to the worm."
চতুর্থ কোম্পানিটি অনেক ভাবলো। ভেবে ভেবে কিছু না পেয়ে এক সময় ক্ষান্ত দিতে চাইলো। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তারা একটা স্লোগান পেয়ে গেল - "Coverage from the erection to the resurrection."
(দে...
উপন্যাস এবং স্মৃতিকথা লিখলেও ইতালিয়ান লেখিকা ওরিয়ানা ফাল্লাচি আপসহীন রাজনৈতিক সাক্ষাতকার গ্রহণকারী হিসেবেই সবচেয়ে পরিচিত। তিনি ১৯২৯ সালের ২৯ জুন ইতালির ফোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী একজন সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘ পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল। সাংবাদিক হিসেবে ওরিয়ানা আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত রাজনৈতিক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতি...
“ধুশ্ শালা, দাগটা লেগেই গেল! এই দাগ কি আর সহজে উঠবে? অন্যকোন দাগ হলেও নাহয় একটা কথা ছিল! সার্ফ এক্সেল দিলেওতো মনেহয় উঠবেনা। এখনই ধুয়ে দিতে পারলে হয়ত উঠে যেত; কিন্তু এই অবেলায় জামা ভেজাতে দেখলে মা নিশ্চিত কিছু একটা সন্দেহ করে বসবে। বাড়ির লোকগুলোও সব; সারাক্ষন আমার পিছু লেগে আছে! কোন কিছু হলেই অপেক্ষায় থাকে কখন আমাকে ধরবে! জ্যাকেটটা নিয়ে আসলেই ভাল হত, দাগটা তাহলে ওটার উপর দিয়েই যেত। জ...