দূরে একপাল ছৈঅলা নৌকা দেখা যায়। এই মাঝিদের কাছে অনুরোধ করলাম যেন তারা আমাদের ছৈঅলা নৌকার কাছে পৌঁছে দেয়। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। ছৈঅলা নৌকায় ঘোরাই নিরাপদ। কিন্তু এই চাচারাও চটে মটে জবাব দিলেন, ওগুলো নাকি বেদে নৌকার বহর। ওরা আমাদের নেবে না।
বেদে নৌকা! অবাক হলাম। বেদেদের দেখেছি বহুবার। হাটে-বাজারে সাপ খেলা দেখিয়ে বেড়ায় কিন্তু বেদে নৌকার এমন বহর দেখিনি কখনও। ঢাকায়ও বেদেদের চোখে পড়ে আজও, কিন্তু এরা এখনও নৌকায় বাস করে এ ধারণা ছিল না। এখন ওই বেদেপল্লীই আড়িয়ল বিলের মূল আকর্ষণে পরিণত হল
[আইজাক আজিমভ বা আর্থার সি ক্লার্ক আমাদের কাছে যতোটা পরিচিত, ফিলিপ কে ডিক ততোটা নন। আমি নিজেই তাঁর লেখা গল্পগুলো পড়া শুরু করেছি মাত্র কয়েক বছর আগে। তাঁর গল্পগুলোর মধ্যে নিতান্ত গড়মানের গল্প যেমন আছে, তেমনি পাঠককে স্তব্ধ করে দেওয়ার মতো গল্পের সংখ্যাও কম নয়। আমার বিবেচনায় কল্পবিজ্ঞান ছোটোগল্পের মধ্যে সেরাগুলোর মধ্যে আর্থার সি ক্লার্কের "নাইন বিলিয়ন নেইমস অব গড" আর ফিলিপ কে ডিকের "সেকেণ্ড ভ্যারাই
১
"তোমরা ছেলেরা এতো অগোছালো কেনো?" নাক মুখ কুঁচকে বলে লাইনা। কাঁধের ব্যাগটা নামিয়ে রেখে ধপ করে পড়ে বিছানায়। মাতাল চোখে চারদিক দেখে শুয়ে শুয়ে। ঘরটা মাঝারি আকৃতির, সারা ঘরে হাবিজাবি জিনিসপত্রে ভরা। বইগুলো সব কম্পিউটার ডেস্কে ডাই করে রাখা।
"বিয়ার চলবে নাকি?" জেসন জিজ্ঞেস করে, বিছানায় এলিয়ে পড়ে।
"না বাবা, অনেক খেয়ে ফেলেছি। মাথাটা এমনিতেই কেমন ধরে আছে।"
সকাল সাড়ে নয়টায় লিমা কোর্টের বারান্দায় এসেছে। দুইজন পুলিশ লিমার কাকা আফসারের বাসায় যেয়ে লিমা আর ওর বাবা জয়নালকে এখানে নিয়ে এসেছে। আগের দিনই থানা থেকে পুলিশ যেয়ে বাড়িতে খবর দিয়ে এসেছিল। জয়নাল মিয়ার গত কয়দিনের অস্থিরতার সাথে সেই থেকে যুক্ত হয়েছে ভয়। মেয়েকে নিয়ে কোর্টে জবানবন্দি করাতে হবে! কোর্টে গেলে কী হবে? কী হয়? কী এক অচেনা দুর্ভাবনায় জয়নাল মিয়া সারা রাত বিছানায় ছটফট করেছে!
সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই” - জগলুল আহমেদ চৌধুরী
জগলুল আহমেদ চৌধুরী মারা গেলেন। একটি বাস তাঁকে মেরে ফেলে রেখে চলে গেল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রায় সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই।”
এটা তো মনে হয় সত্য যে, ভৌগোলিক নৈকট্য ছাড়া পাকিস্তান কীভাবে দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার তথা একককালের ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্ভুক্ত, এটা ভেবে বুদ্ধিমান মানুষ মাত্রই দোটানায় পড়ে যান। ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে; যেমন আমি বুদ্ধিমান না-হয়েও দোটানায় পড়ে যাই। ব্যতিক্রম আরো আছে; তবে সেই ব্যতিক্রম গোষ্ঠী তো আরবদেরকেও নিজেদের খুব কাছের বলে মনে করে। এই শেষ পদের প্রাণীদের নিয়ে আলোচনায় যাওয়া গুরুর নিষেধ।
নেহারুল বার বার জ্যামিতি বাক্স খুলে দেখে নিচ্ছিলেন, ভেতরে সবকিছু ঠিক আছে কি না। কাঁটাকম্পাস, চাঁদা, প্লাস্টিকের ছয় ইঞ্চি রুলার, পেন্সিল, পেন্সিলকাটুনি, পেন্সিলমুছুনি, প্রবেশপত্র, "আল্লাহু" লেখা একটা পিতলের ছোট্ট বোতাম। প্রতিবার জ্যামিতি বাক্স বন্ধ করার পর তাঁর মনে সন্দেহের একটা কাঁটা রুই মাছের ছোটো কাঁটার মতো ঘাই দিচ্ছে কেবল। সবকিছু কি নিয়ে এসেছেন তিনি? কোনো কিছু বাদ পড়েনি তো?
…
নিমতলি ফটক, ঢাকা।
এবং আমিও হাজির ! কিন্তু এইটা আসল পোস্ট নয়, পোস্ট যথারীতি ভেতরে।
।।।