স্বামী পটলানন্দ ভরপেট খেয়ে ধ্যানে বসার পাঁয়তারা করছিলেন। শিষ্য গোবরানন্দ দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে তাকে থামাল।
- এইবার কতদিনের জন্য বসছেন স্বামী?
- দুই তিন মাস। বেশীও হতে পারে।
- ঝামেলাটার একটা সুরাহা করে যেতেন আগে।
স্বামী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
- এইবার কি ঘটনা?
- আপনাকে নিয়ে ঘটিনন্দ গ্রুপের সাথে বাটিনন্দ গ্রুপের মারামারি হয়েছে।
গোবরানন্দ বলে যায়। স্বামী উদাস মুখে ঘটনা শুনতে থাকেন।
প্রজন্ম সংলাপের এই পর্বে আলোকপাত করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় – দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের চূড়ান্ত রায় -এর উপর৷ ১৯৭১-এর আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন এমন দু’জন একটিভিস্ট এবং গবেষক এই পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের চূড়ান্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচকদ্বয় তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন; পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করেছেন বিচার
মশহুর মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর অনিয়মিত তারকা লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিডিনিউজ২৪.কমে একটি কলাম প্রকাশ করেছেন, "ইতিহাসের ইতিহাস" শিরোনামে [সূত্র]। লেখাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই পদটির কোনো বাংলা মনে হয় আর করা হয়নি, উপসেনানায়ক বলা যেতে পারে সম্ভবত) এয়ার ভাইস মার্শাল আবদ
ছুটির দিনে বাসার ড্রয়িং রুমে বসে চায়ে বেশ আরাম করে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকা পড়ছিল আবুল। মনে মনে ভবছিল- নাহ্, বউ এর অন্যান্য রান্না বেশ কষ্ট করে গিলতে হলেও চা টা বেশ আরামসেই গেলা যায়। চায়ে তৃপ্তির চুমুক দিতে দিতে সে পাশের টেবিলে রাখা ‘দৈনিক শেষ অন্ধকার’ পত্রিকাটা তুলে নিল। চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়ার মজাই আলাদা। চায়ে বাড়তি স্বাদ আনে। পত্রিকা পড়ার সময় তার প্রথম পছন্দ বিনোদন পাতা। আর ‘শেষ অন্ধকার’ পত্রিকার বিনোদন পাতা তো তুলনাহীন! আড় চোখে আশেপাশে দেখে নিয়ে সে বিনোদন পাতায় উঁকি মারে। বাসায় ছয় বছর বয়সী ছেলে আছে। উঁকি না মেরে সরাসরি পাতা খুলে বসলে হঠাৎ ছেলে এসে হাজির হয়ে দেখে ফেললে লজ্জায় পড়তে হবে। সে যাই হোক, উঁকি মেরেই আবুলের হার্ট একটা বীট মিস্ করে। সানিইই!! চোখ চকচক করে ওঠে তার। সানির একটা বেশ ইয়ে টাইপের ছবি। আবুলের ভেতরে তখন যেন গনগনে গ্যাসের চুলায় ডাল টগবগ ফুটন্ত অবস্থা!
চার চাকার গাড়ি
১.
নবট্রি জঙ্গলের নতুন শেরিফ একটা সাক্ষাৎ দানব। জঙ্গলের বামনরা কেউ তাকে পছন্দ করত না। একদমই না। তাই ভোটাভুটি শেষে যখন ফলাফল ঘোষণা হল, সাথেসাথেই বামনরা নির্বাচনে স্থুল কারচুপির অভিযোগ এনে আবার ভোট গণনার দাবী জানাল। কিন্তু দানবরা সেই অভিযোগ একদমই আমলে নিল না। তারা বিজয় উল্লাস শুরু করে দিল শরাবে চুর হয়ে। আর পরীরা এসবের মধ্যে কোনরকম মাথা না ঘামিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতে লাগল। অবশ্য তারা সবসময়ই তাই করে।
একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক (খুব সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে অর্থাৎ প্রশ্ন আর তার উত্তরের মাঝে কাউকে খুঁজতে যাওয়া অনেকটাই বোকামি। কারণ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যদি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন তাহলে শত প্রশ্ন করেও তাকে বের করা সম্ভব নয়। তারপরও লেখকের সততার উপর আমরা আস্থা রাখি বলে সাক্ষাৎকার গ্রন্থগুলো আমাদের প্রিয় পাঠ্য হয়ে ওঠে। একজন লেখককে অামরা সাধারণত দুভাবে চিনতে কিংবা জানতে পারি। এক তার লেখা আর