১
লিস্ট। যা যা কিনতে হবেঃ
১) চা।
২) দুধ।
৩) সকালের নাস্তাঃ ব্যাগল এবং ক্রিম চীজ।
৪) এনভেলপ।
৫) অরেঞ্জ জুস।
৬) মাংসঃ গরু এবং মুরগী দুইটাই।
৭) হলুদ।
৮) ডিশ ওয়াশিং সোপ।
৯) পেঁয়াজ।
১০) গার্বেজ ব্যাগ।
একটা জেব্রা আফ্রিকায় থাকতো। সারাদিন ঘাস খেতো আর সিংহ দৌড়ানি দিলে দৌড়াদৌড়ি করতো। বৃষ্টির পিছে পিছে একবার এদিকে আরেকবার সেদিকে করে সাভানায় চরে বেড়াতো। ভিল্ডেবিস্টের পালের সাথে নদীতে কুমীরের সাথে পাল্টি দিয়ে পার হতো।
হঠাৎ জেব্রার সাথে দেখা হলো এক কুঁজওয়ালা জেব্রার।
১৬ বছরের তরুণ তখন। মনে যৌবনের বান ডেকেছে। যা দেখি চারপাশে, সব ভাল লাগে। ছয় ঋতু যেন পরস্পরে লীন হয়ে চির বসন্তে রূপ নিয়েছে। পথ ঘাট, ভাল লাগে, ভাল লাগে পথের দুপাশের সৌন্দর্যও। ঘাস গুল্ম-লতা, ফুল পাখি--সব সব ভাল লাগে। সেই ভালোলাগার অনুভূতির সাথে আরও একটা অনুভূতি জেগে ওঠে--চম্পা। সে কী আমাকে চিনতে পারবে? সেই ছড়া কি ওর মনে আছে? মুখোমুখি হলে আমিই বা ওকে কী বলব? আচ্ছা, এই একযুগে কেন ওর সাথে দেখা হলো না? কত মানুষের সাথেই দেখা হয়? ওর মামার বাড়ি, যেটা আমার বাবার ফুফুর বাড়ি, সেখানে বছরে দু-তিনবার পা পড়ে আমার? ও কি একবারও আসে না মামার বাড়ি? নাকি ও যখন আসে আমি তখন যাই না? ভ্যানে চলতে চলতে কোথা থেকে একরাশ অভিমান এসে আচ্ছন্ন করল আমাকে? কিন্তু অভিমান তখনই মূল্যবান, যার ওপর অভিমান করছি তার কাছে এর কিঞ্চিত মূল্য যদি থাকে। নইলে ঝরাপাতার সমান মূল্যটিও তার নেই।
বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের ধরন নাকি বদলে যাচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই আমাদের দেশে শুরু হয়েছে উল্টোযাত্রা। কোথায় ছেলেমেয়েরা জ্ঞানের আলোর মুখ দেখবে, সেখানে তাদের হাতছানি দিয়ে পিছু ডাকছে আদিম অন্ধকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকালেই ধর্ম একটা ফ্যাক্টর। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কবে ঘটবে তাও কেউ বলতে পারে না। অ্যালেক্স রাদারফোর্ডেও লেখা ‘মুঘল’ সিরিজগুলো পড়ে বোঝা যায়, সেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে মানুষ ধর্মটাকে যত সহজভ
ভয়ংকর মেজাজ খারাপ নিয়ে ঘুম ভাংগল শাওনের। না, লাইনটা ভুল হলো,আবার বলি। ঘুম ভাংগার পর ভয়ংকর মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো শাওনের। মাথার সামনে দারোয়ান চাচা দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করছেন। অফিসে যাবার তাগাদা।
-বাবাজি অফিসে যাবেন না? কত বেলা হয়ে গেছে দেখছেন?৯টা বাজে বাবাজি।
-হুম।
বিডিআরের রুদ্রমূর্তি প্রথম যেদিন দেখি, সেদিনটার কথা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। সাল-তারিখ বলতে পারব না। খুব ছোট। ছয়-সাত বছর বয়স হবে। আমাদেরে বাড়ির কাছে ছিল এক বড় স্মাগলারের বাড়ি। একদিন পাড়ায় বিরাট হৈ চৈ পড়ে গেল--সেই স্মাগলারের বাড়ি নাকি পুলিশে রেড দিয়েছে। সীমান্তে বিডিআরকে তখন পুলিশই বলত। বিডিআরদের পোশাকের রঙও তখন পুলিশের মতো খাকি। আর থানা থেকে পুলিশ এলে পাইকারি হারে তাদের বলত দারোগা। যাইহোক, দৌড়ে গিয়ে দেখি ভয়াবহ কাণ্ড। চার-পাঁচজন জওয়ান দুজন লোককে উঠোনে ফেলে চটকাচ্ছে।
অনেকক্ষন বসে আছি ওয়েটিং রুমে, এই ওয়েটিং রুমে কোন দেয়াল ঘড়ি নেই। আমি নিজেও হাত ঘড়ি ব্যবহার করিনা। পকেট থেকে মোবাইল বের করার কষ্ট করতে ইচ্ছে হলো না। বিরক্তিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও মেজাজ আর শীতল থাকছে না। আরে ব্যাটা, শুধু তোর সময়ের দাম আছে আর কারো সময়ে দাম নেই?
আমার অস্থি যে তোমার, প্রিয়তমা,
মহিষী আমার; তোমার মাথায় দখিনা বনের পাতা,
সুগন্ধী ঘাস-মুকুট পরাই; মাটির বোনা দোপাটি ফুল,
সবুজ সম্মান, তোমারই প্রাপ্য।
তোমাকে যে ভালবাসে, সে পুরুষের মত, তুমিও এসেছ
বনভূমি-আপরিসর থেকে। যে মাটি এনেছি আমরা দুজন,
তার ঘ্রাণ আমাদের রক্তে। আমরা দুটি লোকজ মানুষ
নগরে পথ হাঁটি বিভ্রান্ত ধাঁধায়, পৌঁছনোর আগেই বন্ধ না হয় যেন হাট।
কাজের মহিলাটা সবসময় দেরী করে আসে। ফিরোজা বেগম ভাবল আজ কাজের মহিলাটা আসলে আচ্ছা করে ধমক লাগাতে হবে। কিছু না বলতে বলতে অনেক লাই পেয়ে গেছে। ফিরোজা বেগম যখন একথা ভাবছিলেন তখনি কলিং বেলের শব্দ হল। দরজা খুলে দেখলেন কাজের মহিলা হাস্না তার চার বছর বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাস্নাকে বাইরে দাড় করিয়ে রেখেই ফিরোজা বেগম বলতে লাগলেন, ‘তোমার কি আক্কেল বলতো?