দুবাই এয়ারপোর্টে সময় কাটানো তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না, কিন্তু রফিকের ব্যাপার আলাদা। সুদৃশ্য দোকান গুলোয় ঢুঁ মারার ইচ্ছে তার কখনোই হয়না। চারপাশে দেশবিদেশের নানা রকম মানুষের শশব্যস্ত দৌড়াদৌড়ি দেখেও অনেকের বেশ সময় কেটে যায়, রফিকের সেটাও ভাল লাগেনা। কোন লাউঞ্জে বসে রাজকীয় ডিনার কিংবা স্টারবাকসে বসে কফি খাওয়াতেও কোন আগ্রহ পায়না, একটা সময়ে বুকশপে বই হাতাতে মন্দ লাগত না, আজকাল সেটাও ভাল লাগেনা। বুড়ো হয়ে য
আমরা যদি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে জীববিজ্ঞানকে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো, আসলে এর মূল উপজীব্য বিষয় হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্য। তবে আজকের দিনে শুধু জীববিজ্ঞানেই নয় তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা, এমনকি কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এরও মূল উপজীব্য বিষয় হতে শুরু করেছে তথ্য - কিউবিটস। কিন্তু জীববিজ্ঞান পদার্থবিদ্যা থেকে একটু ভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে কাজ করে যাকে বলা হয় - এলগরিদমিক তথ্য - বিজ্ঞানীরা যখন বলেন ডিএনএ একটা কম্পিউটার প্রোগ্রামের মত, যখন এভো-ডেভো (এভোলিউশনারী ডেভেলপমেন্টার বায়োলজি) ভ্রূনের ক্রমবিকাশে ডিএনএ প্রোগ্রামের বর্ণনা দেয়, সেটা এক প্রকার এলগরিদমিক তথ্যের কথাই বলে।
মশানে : প্রথম পর্ব
রাত্রির তৃতীয় প্রহর। নিস্তব্ধ চারিধার। কিয়ৎক্ষণ পূর্বেও শূলাবিদ্ধদিগের কাতর আর্তনাদ, আত্মীয়াদির চিৎকার আর শৃগাল শকুনীদের মড়া আধমড়া লইয়া টানাটানিতে বধ্যভূমি নারকীয় হইয়া ছিল। নিকটবর্তী শ্মশান হইতে চিতার কাষ্ঠ বিদীর্ণ হইবার শব্দ শোনা যাইতেছিল। এখন প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ। হয়তো অন্যান্য দণ্ডীদিগের মৃত্যু হইয়াছে। শবদাহ করিয়া বাড়ির পথ ধরিয়াছে শ্মশানবন্ধু সকল। শৃগাল শকুনীরাও সরিয়া পড়িয়াছে নিজ নিজ ক্ষুন্নিবারণ শেষে। কিন্তু চমরবাল এখনো মরে নাই। তার প্রাণবায়ু এখনো দেহ হইতে নির্গত হয় নাই। আশ্চর্য হইয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহাই দেখিতেছিল বুঝি এক শিবা, এক্ষণে সেও সরিয়া পড়িল। নড়িল না শুধু মশাল হাতে এক যুবক। চমরবাল অস্ফুটে কী জানি কহিতে চাহিলো, বোঝা গেল না। হয়তো আকুতি, হয়তো বা তার তীব্র যন্ত্রণার প্রকাশ।
পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনের বেসামরিক কুশীলবদের নিয়ে বিশ্লেষণ তেমন চোখে পড়েনি। অবশ্য সামরিক কুশীলবদের কথা বললে শুধুমাত্র সরাসরি ঘাতকদের কথাই আসে, পেছনের বড় খেলোয়াড়দের কথা বিশ্লেষণে আসে না। দু’হাজার চৌদ্দ সালে অবমুক্ত করা মার্কিন গোপণীয় তারবার্তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফোরমেশন অভ ক্যু লিডারস’ শীর্ষক এক তারবার্তায় দু’জন বেসামরিক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। ঘাতক ফারুক-রশিদের ব্যাপারেও কিছু কৌতুহল-উদ্দীপক তথ্য পাওয়া যায়।
আগ্নেয়গিরির মতো ধীরালয়ে মুখ থেকে এক রাশ ধোয়া উদগিরণ করে গম্ভীর গলায় আব্দুর রাজ্জাক বললেন,"আরেকটা কথা রাসেল... ।"
টাকার ব্যাগ হাতে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিল রাসেল। ঘুরে দাঁড়িয়ে সে বলল,"জ্বি, স্যার।"
ডেস্কের উপর কাঁচের গ্লাসে গলে যাওয়া বরফে মিলেমিশে হুইস্কির রঙ হয়েছে হাল্কা বাদামি। তাতে হাতে ধরা চুরুট খানা ডুবিয়ে দিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ছ্যাঁত করে শব্দ হলো।
"আমি একটা খেলা খেলছি।" বললেন আব্দুর রাজ্জাক।
বারিন্দায় ছফা পেতে শুয়ে
একবার নক্ষত্রের পানে আর একবার বেদনার পানে
চেয়ে চেয়ে বেলা করি গুজরান।
ঘটনা জটিল তাই আস্তে আস্তে বলি।
পালঙ্কের পাশে ড্রয়ারের গোপন খনিতে মোর কবিতার খাতা
তালাচাবি দিয়া রাখি যেন মোর প্রাণপ্রিয়া বজ্রমুষ্ঠি শক্তিমতী পত্নী হোসনে আরা
উহা খুলিয়া পড়িতে নারে।
তবে যেহেতু সকল চাবি হোসনের কবলে তাই কুন খাতা কুন বই নিরাপদ নহে
তাই সকল কাব্য আমি চর্চা করি ওষুদ কম্পানির পেডে
[justify]
১.
ব্যাঙ্কশাল থেকে বংশাল?
সুলেখক ও সম্পাদকোত্তম মীজানুর রহমান তেমনটাই লিখে গেছেন তাঁর স্মৃতিচারণগাথা "ঢাকা পুরাণ" গ্রন্থে। তাঁর কলমে,
[justify]শব্দ সম্পর্কে আমাদের সবার মনের দরজার ভেতরের কপাটে নিজস্ব (অনবশ্য স্বকীয়) একটা রায় পেরেক মারা আছে। যখন আমরা একটা অচেনা শব্দ (যেমন এর আগের বাক্যে অনবশ্য (= not necessarily, অনাবশ্যকের সাথে গুলিয়ে ফেললে চলবে না) পড়ি বা শুনি, মনের দরজা লাগিয়ে ঐ রায়টা আমরা একবার পড়ে নিই। প্রতিটি শব্দ আমাদের প্রতি জনের সে রায়ের জোরে বাঁচে, বন্দী থাকে, সমাহিত হয়, পুনর্জীবন পায়।
এক জোড়া নীল চোখ সমুদ্রের বিশাল ঢেউ তুলে সুনামির মতো আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার শুরু দু'মাস আগে।
রাত এগারোটায় আমার কাজ শেষ হয়। তার দশ মিনিট পরই আমার রুটের বাস এসে থামে। আমার কাজ থেকে ঠিক দুই স্টপ পরেই মেয়েটিও উঠে নিয়ম করে।
তার মাথায় দীঘল সোনালী চুল। তার অদ্ভুত কমনীয় ত্বকে ঝর্ণার পানির সতেজতা। সে যখন হেটে এসে আমার সামনের সিটটায় বসে তখন তার সোনালী চুলগুলো আরব দেশীয় ঘোড়ার কেশরের মত ঢেউ খেলতে থাকে। আর তার সুগভীর অয়াত নীল চোখে মহাশুন্যের কালো গহ্বরের গভীরতা। কে জানে সেখানে হারিয়ে গেছে কত পুরুষ!