-বিরানি ত দেহি গান্দা হইয়া গ্যাছে ,ডলা দিওনের আগেই গইল্যা যায়।
-সকাল থাইক্কা বেচতাছি, কেউ ত কইলোনা গান্দা হইছে,তোমার কুত্তার নাক নাহি?
-আমার নাক কুত্তার না,যারা খাইছে হেগো কুত্তার পেট। আর নাইলে জীবনেও বিরানি খাইছেনা হেরা,এইটা বিরানি হইলো কোনো?
নিয়ম অনুসরণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা নিয়তিনির্ভর মনোভাব কাজ করে। এক বাক্যে প্রকাশ করতে গেলে, রাখে আল্লাহ মারে কে?
সম্প্রতি ইজরাইল-পরিচালিত বিধ্বংসী হামলায় গাজায় নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের প্রাণহানীর প্রেক্ষিতেই এই লেখা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। নতুন করে লেখবার কী আছে! নতুন কিছু লেখার আছে কি না এই নিয়ে আমিও দ্বিধান্বিত বলে পুরনো কিছু নিয়ে খানিকটা পেছন ফিরে দেখা...
১
হাটখোলা বাজার থেকে উত্তর দিকের মাটির সড়ক ধরে আধা ক্রোশ দূরে মন্ডল বাড়ি। সড়ক এখানে অনেকটা ইংরেজী বর্ণ 'এস' এর মতন এঁকে বেঁকে ছিলিমপুরের দিকে চলে গেছে। সড়কের বাঁকে বাঁশ ঝাড়। তার পাশেই বিশাল এক কড়ই গাছ। কড়ই গাছের পাতায় বাতাসের বাড়ি লেগে যখন ছর ছর শব্দ উঠে তখন মনে হয় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে উদ্দাম নৃত্য করছে অজানা কোন দানব। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জোড়ে বাতাস বইছে। মেঘে ঢাকা অন্ধকার আকাশে এক ফোঁটা চাঁদও নেই। কড়ই গাছের মাথা থেকে কিছু একটা ঝুলে ছিল। দূরে মন্ডল বাড়ির লাইটের আলোয় আবছা দেখা গেল এক জোড়া অস্বাভাবিক লম্বা পা ফেলে বসে আছে কেউ।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১২টি সংগঠন, এবং সংগঠন বহির্ভুত একক ব্যক্তিদের নিয়ে একটি জোট। জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে – ইংরেজী এবং বাংলা মিলিয়ে বাংলাদেশের ৮ (আট)টি কমিউনিটি ব্লগ, গণহত্যার ওপর একটি প্রধান আর্কাইভ, গণহত্যার ওপর বিশেষায়িত একটি গবেষণানির্ভর সংগঠন, এবং একটি বিশেষায়িত উদ্যোগভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠ
সাম্প্রতিককালে সুশীল সমাজের পাশাপাশি মানবাধিকার বস্তুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় ওঠার উপ্রক্রম হলে বঙ্গদেশের আনাচে কানাচে মানবাধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারবারী গজিয়ে উঠছিল বেশ। মানবাধিকারবারীকে অনলাইন প্লাটফর্মে বাংলায় আক্তিভিস্ত বলা হয়। ইহা ছাড়াও ভলান্তিয়ার, কিংবা সোস্যাল ওয়ার্কার ইত্যাদি অধুনা খুব সেক্সি। ষাট-সত্তরের দশকে যেমন ছিল বাম রাজনীতি। তখন নাকি প্রেমের দুনিয়ায় বামদের ব্যাপক দৌরাত্ম!
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যে গঠিত 'এলিট ফোর্স' র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ওরফে র্যাব ভেঙে দেওয়ার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামের একটি মৌসুমী মানবাধিকারবারি সংগঠনের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান, ব্র্যাড অ্যাডামস [সূত্র]।
তোমাকে নয়-
-----------------
আমার কেবলই কেড়ে নেবার স্বভাব-
যা কিছু ভাল লাগে কিংবা লাগার,
তার সব, সব কিছুই চাই আমার।
ঐ দোকানীর রাংতা মোড়ানো স্বপ্ন ভরা বয়াম,
ও পাড়ার ঐ দুরন্ত ব্যাটসম্যানটির সুনাম,
অদ্ভুত সব চকমকি মার্বেল, আর-
অগোছালো চুলে মায়ের অনিচ্ছুক বিলি কাটার আরাম।
খালিদ টেবিলের ওপরে হাসিমুখ ধরে রেখে টেবিলের নিচে আমার পায়ে একটা লাথি মারলো। বিশ্বকাপের সিজনের কারণেই হয়তো লাথিটাতে প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি বিষ ছিলো।
ভদ্রলোক ভুরু ওপরে তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "কী হইলো?"
আমি শার্টের হাতায় চোখের কোণ মুছলাম, খালিদ স্কুলে শেখা প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব শব্দটাকে আবার মনে করিয়ে দিয়ে বললো, "উফফ, মশা!"