বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখছি। বিভিন্নরকমভাবে আমরা আমাদের প্রিয় দলের বা বিপক্ষ দলের খেলাকে বর্ণনা করি। আবেগাপ্লুত হয়ে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি খেলাটা কী দারুণ বা কী বাজে হয়েছে, কোন দল কত ভাল খেলেছে ইত্যাদি।
কিন্তু ইদানিং, খেলার ধরন বোঝাতে একটা শব্দের ব্যবহার প্রায়ই দেখছি- 'রেইপ' বা 'ধর্ষণ'।
যেমন, মানুষ অবলীলায় বলে যাচ্ছে-
বহুদিন কোন ব্লগ লিখা হয় না। এমনকি ছাইপাশ যে কাজগুলি নিয়মিত করে যাই সেগুলিও আপলোড করা হচ্ছে না ব্যক্তিগত ব্লগেও। আলসেমি একটা নাতি-ক্ষুদ্র কারণ হলেও অবশ্যই তা প্রধান নয়। গত পাঁচ বছর ধরে যে শখের বোঝাটা কাঁধে নিয়েছিলাম 'এ আর কী' ভেবে, সেটা যে নিজের ওজনের চাইতে এভাবে শতগুণ ভারী হয়ে ওঠবে সেটা কি আর মূর্খ মাথায় বুঝেছিলো ! কাঁধে চাপতেই দিনে দিনে ভারী থেকে ভারী হয়ে ওঠা বোঝাটা বুঝিয়ে দিলো ঠিকই, গরু কি সাধে গাছে চড়ে ! কথা ছিলো এই জুনেই কাজটার মুখ বাঁধবো, কিন্তু তা আর হলো কই ! এখন তা প্রলম্বিত করে জুলাইকে টার্গেট করলাম। কোনভাবে ওটা ঘাড় থেকে নামলে আর পায় কে, চুটিয়ে ব্লগিং চলবে আবার ! এ-আশাতেই বুক বাঁধি। কিন্তু এদিকে সচলের আবির্ভাব তিথি যে পেরিয়ে যায় ! কী আর করা ! তাই এই উৎসব-মুখর (?) সংযমের মাসে সকল সহ-সচলের জ্ঞান-গম্যি-ক্ষেমার প্রতি অবিচল আস্থা রেখে আরেকটি ফাঁকিবাজি পোস্ট ! এবং
সচলায়তনের এই আবির্ভাব-তিথিতে সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সচল থাকুন, সচল রাখুন। প্রিয় সচলায়ন অনেক অনেক দীর্ঘায়ু হোক।
…
১
গত তিন মাস ধরে লিনা নামের এক মেয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছি। অসম্ভব রকমের মিষ্টি গলা লিনার। সে গান গায়। যখন আমাকে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শোনায় আমার বুকের ভেতর চিন চিন করে ব্যাথা করে। যার গলার স্বর এত শ্রুতি মধুর সে না জানি দেখতে কত সুন্দর! লিনাকে আমি কখনও সামনা সামনি দেখিনি।
আধুনিক যুগে মানুষের সাথে পরিচয়ের অনেক মাধ্যম হয়েছে। মোবাইলের কথা না হয় বাদই দিলাম, ইন্টারনেট এখন অনেক সহজলভ্য। ফেস বুক, স্কাইপ, ভাইবার আরও কত কি করে মানুষের সাথে মানুষের কথা হচ্ছে, পরিচয় হচ্ছে, এমনকি বিয়ে সাদীও হয়ে যাচ্ছে। লিনার সাথে আমার কিন্তু এসবের কোন কিছুতেই পরিচয় হয়নি। তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল খুবি সনাতন পদ্ধতিতে। লিনাকে আমি পেয়েছিলাম স্বপ্নে।
১
মাঘ মাসের মাঝামাঝি। বেজায় শীত পড়েছে। জয়নাল ঘড়ির দিকে তাকাল। সকাল ১০ টা বাজে, কিন্তু মনে হচ্ছে শেষ রাত এখনও পোহায়নি। ঘড়িটা জয়নালের শ্বশুর বিয়েতে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। জয়নালের লেখা পড়া ক্লাস সিক্স পর্যন্ত। ঘড়িতে সময় দেখতে তাঁর অসুবিধা হয় না। শ্বশুরের দেয়া ঘড়ি আর ৬ আনার একটা সোনার আংটি জয়নালের সর্ব সময়ের সঙ্গী। পানিতে ভিজলেও কিছু হয়না বলে ঘড়ি আর আংটি পড়েই খাওয়া গোসল সারে সে। হাসিনার সাথে বিয়ের পর তাঁর ভাগ্য খুলে গেছে। তাত বুনে দিন চালায় জয়নাল। হাসিনার সাথে বিয়ের পর পর তাঁর বিক্রি বেড়ে গেছে। মহাজনরা দামও দিচ্ছে ভাল। ঘড়ি আর আংটি সে ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে পড়ে।
গত বেশ কয়েকটি অর্থবছরে বাংলাদেশ হাজারকোটি টাকার বিশাল ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করে আসছে। আমাদের দেশের দূর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এত বিশালাকার বাজেট বাস্তবায়নই হলো প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলেই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ছাড় করানোর প্রবণতা লক্ষনীয়। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের গুণগত মান যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেম
১
৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। কাঁটায় কাঁটায় চার মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। আমি ঘড়ির দিকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। জিনিশটা অদ্ভুত। কারও সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করতে পারলে মনটা একটু হাল্কা লাগত। কিন্তু কে বিশ্বাস করবে আমাকে?
সারওয়ার? লায়লা ডাকল।
ঠিক ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড আগেই আমি জানতাম আমাকে লায়লা ডাকবে। আমি কোন উত্তর দিলাম না। লায়লা আমাকে কেন ডাকছে সেটাও আমি এই মুহূর্ত থেকে ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড আগেই জানতে পেরেছি। বসার ঘরে পত্রিকা পড়ছিলাম। দরজায় এসে দাঁড়াল লায়লা।
অপ্রকাশ
প্রণয় সে গোপন গভীর থাকা ভালো।
শহরের উষ্ণতম সরোবরের অভিমানী জলে-
শীত-দুপুরে কোন ঘুম ভাঙানিয়া স্নান,
তারও চেয়ে ভালো, ডুবে ডুবে ডুবে
পানকৌড়ির অলৌকিক আহবান।
পৃথিবীতে প্রেমিক পুরুষ তিন প্রকার। ভাই টাইপ, জামাই টাইপ আর পাই টাইপ। প্রথমটার সাথে মেয়েরা কিছুদিন আহ্লাদ করেটরে এক সময় চোখ কপালে তুলে বলে, ও আল্লাহ আমি আপনাকে বড় ভাইয়ের মতো মনে করি। দ্বিতীয়টার সাথে মেয়েরা বেশী কথাবার্তা বলে না। এরা ঠিক অত কথা বার্তা বলার মতো জিনিসও না। নিতান্ত নাড়ুগোপাল টাইপের ভদ্র ছেলে, আদর্শ স্বামী ম্যাটেরিয়াল। তাই ভাই টাইপকে দাগা দিয়ে মেয়েরা বেশী ঝামেলা না করে জামাই টাইপকে সরাস
১.
পীরজাদা হাত একটু উঁচু করে বললেন -"বাবা কবুল করেছেন!" আবেশে অথবা অভিনয়ে তার দুই চোখ আধবোঁজা। একই বাক্য বারবার উচ্চারণে ঠোঁটের দুই কোণে সাদা ফেনা জমে উঠছে একটু পরপরই এবং তিনি জিভ দিয়ে তা পরিষ্কার করে পেটে চালান করে দিচ্ছেন। আমার ডান পাশের বছর চল্লিশের এক লোক এসেছেন বাচ্চা হওয়ার তদবির নিয়ে আর বাম পাশের জনের ব্যাবসা ভাল যাচ্ছে না। তবে আমার কোন সমস্যা নেই, আর আমি কোন তদবিরও করি নি। তারপরও পীরজাদা তার পীর বাবার কাছ থেকে আমার জন্য কী কবুল করিয়ে আনলেন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না!