‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ কিংবা ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’-এর মতো চটকদার নির্বাচনী স্লোগান সম্বলিত ইশতেহার প্রকাশ করলেও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী প্রচারণায় বিপরীত চিত্রটিই নজরে আসছে বেশি। গান্ধী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কর্তৃক আশীর্বাদধন্য নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, যিনি তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট রাজ্যের এবং সেই সুবাদে যিনি গুজরাটের মডেলে দেশ গড়ার প্রতি
চলতি পথে পাওয়া - ৪,৫,৬,৭ এর ভূমিকা তে লিখেছিলাম “ ‘চলতি পথে পাওয়া’ সিরিজ টা নিয়ে একটু বলি আগে। নাম শুনে মনে হতেই পারে যে এটা হয়ত পথ চলতে গিয়ে দেখা বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা। হুম, হতে পারে। তবে তার চেয়েও বেশি হচ্ছে চলার পথে বসে থাকার সময় কতক বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখে বা এমনিতেই মনের ভেতর বিভিন্ন এলোমেলো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তাদের বর্ণনা। লেখার ধরণ সাইকোডেলিক, অ্যাবস্ট্রাকটিভ, ম্যাজিক রিয়ালিস্টিক, স্যুরিয়ালিস্টিক আবার খুব সাধারণ বর্ণনাও হতে পারে।”
আজকের এই পর্বগুলোতে থাকবে ঘটনার বর্ণনা এবং অবশ্যই ঘটনাগুলো চলতি পথেই পাওয়া। দুটি ঘটনাই দুঃখজনক হলেও বেশ চমকপ্রদ! বিশেষ করে যারা ঢাকা শহরে নিয়মিত বাসে বা লোকাল বাসে যাতায়াত করেন তাদের সচেতনতার জন্য জানা প্রয়োজন মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে চলুন, এখন পথে নামি...
‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?
"ও বুড়া, তুমি যাবা কোনমুড়া?" ওস্তাদে মজা করে।
বুইড়া কোন কথা কয় না। মাথায় চাদর টাইনা, দুই হাতে হাঁটু প্যাচাইয়া টেরেনের তালে দুলে। তখন থিকা ওস্তাদে হালার লগে কথা কওয়ার চেষ্টা করতাছে। কিন্তু বুইড়া তাকায়ো না একবার। হালার সমস্যা কী?
প্রথম অংশ
-----------
"ও ভাই, দেখসেন নি? মালটা কি জোস না? গাড়িটা থামান না এরে একটু লিফট দেই।"
তুহিন ভাইয়ের বিদেশী রমণী দেখলে এরকম কথা মুখ দিয়ে বের না হলে হয়না, এটা এতদিনে সবাই জানে। সকলে তাকাল সেই রমণীর দিকে, সন্ধ্যায় জগিং এর জন্য বের হয়েছে, এতক্ষণ দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে বাসার দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তুহিন ভাই রসিক মানুষ।
"অই দ্যাখেন তো প্যান্ট পড়ছে নি?"
- ও ভাই কি কন? সামনে নাকি আপনার বিয়া?
[justify]মজিদ ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা উহু্ শব্দটা সে কি দুঃস্বপ্নের ঘোরে নিজে করেছে? স্বপ্নের অংশ ছিলো? নাকি তার পাশে শুয়ে থাকা বউটি করলো। কিন্তু হঠাৎ এই ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সে মনে মনে খুব বিরক্ত হয়। পৌষের হাড়কাপানো ঠাণ্ডায় আধো ছেঁড়া কাঁথার ভেতর থেকে মাথা বের করে শব্দের উৎস খোঁজারও প্রয়োজন বোধ করলোনা সে। পেপার মোড়ানোর পরও বেড়ার ফাঁক চিরে ঠিকই বাতাস ঢুকছে মজিদের বস্তির ঘরটিতে। এ যেন এক হিমঘর!
দিনের আলো ধরে রাখতে ঘড়ির সময় পাল্টানোর দরকারই পড়ে না আর। শহরের ভূমি থেকে দশ কিলোমিটার উঁচুতে এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বাতি সাজানো। সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে প্রতি রাতে জলে ওঠে বাতিগুলো। তাতেই আলোকিত হয় পুরো শহর। শহরের মেয়র বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিক নিয়ে এক কমিটি গঠন করেছেন। তারাই এই বাতিগুলো জ্বালানো বা নিভানোর সময় নির্ধারণ করে শহরের দিন-রাত ঠিক করেন। খুব আরামে আছে শহরের বাসিন্দারা। ছাতা-ব