- ও ডাক্তার সাব, পুলার তো উঠলে আর নামেনা।
আমি মনে মনে মকবুলকে দুইটা গালি দিয়ে বিরক্ত মুখে ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। আমি নিশ্চিত মকবুল হারামজাদা ফাজলামো করে এই পেশেন্ট আমার কাছে গছিয়েছে। মকবুল চর্ম যৌন, বদরুল নিউরো, সাদেক হার্ট, নাজমুল হাড় আর আমি মেন্টাল। প্রায় প্রতি শুক্রবারেই আমরা আড্ডায় বসি। গত সপ্তাহের আড্ডার সময় এই পেশেন্ট গছিয়েছে মকবুল। বলে, খানদানি জমিদার ফ্যামিলি। গাজীপুরে বিশাল জায়গা নিয়ে বাংলো বাড়ি। কেসও খুব ইন্টারেস্টিং। ছেলের বাপ তোকে গাড়ি করে এসে নিয়ে যাবে। সারাদিন থাকলি, ঘুরলি, সাথে রোগীও দেখলি। মকবুলকে কয়েকবার চাপাচাপির পরেও পেশেন্টের সমস্যা কি খুলে বলে না। আমি আসার আগে ছেলের বাপকে ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম সমস্যা কি। ছেলের বাপও কিছু বলে না। শুধু বলে ডাক্তার সাব আপনি গরীবের বাসায় আগে একটু আসেন। চাইরটা ডাইল ভাত খান। পরে সব খুলে বলবো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও ইতিহাসের সংরক্ষণে বাংলা ব্লগ ও বাঙালি ব্লগারদের যে ভূমিকা তার চূড়ান্ত প্রকাশ আমরা দেখেছিলাম শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে। এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ববিরোধী শক্তির হাতিয়ার হিসেবে ধর্মের ব্যবহারটাও আমরা দেখতে পেরেছিলাম সেই একই সময়ে। দেখেছিলাম ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে নব রূপে জন্ম নিয়েছে রাজাকার বান্ধব হেফাজতী আন্দোলন। এরই প্রেক্ষিতে পহেলা এপ্রিল ২০১৩ তারিখে চারজন নাস্তিক ব
বাবুলের হাত এবং মাথা দুটোই সমগতিতে চলছে। বুঝতে পারছিনা এটা কি অভ্যাস বসত নিজের অজান্তেই হচ্ছে, নাকি এটাই স্বাভাবিক। হাত চলছে ডানে-বামে কিন্তু মাথা উপরে- নিচে। ব্যাডমিন্টন খেলায় যারা দর্শক সারিতে থাকেন তাঁরা নিজেরাও অনেক সময় বুঝতে পারেননা কর্কের মুভমেন্টের সাথে সাথে তাঁদের চোখ নয়, পুরো মাথাটাই ডানে বামে মুভ করে! এটাও সেরকম নাকি?
মোখলেসুরের চায়ের দোকানে বসে বসে রাজা উজির মারতে মারতে বিস্বাদ চায়ে চুমুক দিচ্ছিলাম আমি, কামরুল আর মনি। এই ব্যাটা মোখলেসুর মোটামুটি সবসময়ই এমন ফালতু স্বাদের চা বানালেও আড্ডা দেয়ার জন্য তার দোকান খুব ভাল জায়গা বলে মাঝেমধ্যে এখানে এসে বসি দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডাবাজি করার সুবিধার্থে। কারণ এদিকটায় পাড়ার মুরুব্বিরা খুব একটা আসে না, তাই একটু পর পর উঠে "চাচা স্লামালিকুম; আঙ্কেল ভাল আছেন; জ্বি, আমাদের বাসার সব
আগের পর্ব এখানে
http://www.sachalayatan.com/ipsito/51810
(৯)
তবে মোবারককে ডাকার আগেই ঝাঁকরা চুল কামেশ ঢুকলেন হাসিমুখে। বয়েস চল্লিশ ছাড়ায়নি। বললেন, “ভিক্টিম তিনটে বারোতে শেষ ইমেল করেছেন। কাজেই ধরে নেওয়া যায় ইমেল করার পর আততায়ী ওঁর ক্যাবিনে ঢুকেছে, কিছু কথা নিশ্চয়ই হয়েছে, আর তারপর ছুরি মেরেছে আততায়ী। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য তিন মিনিট বরাদ্দ করলেও এটুকু বলা যায় যে খুনটা তিনটে পনেরোর পর হয়েছে।”
বনগাঁ এখনও জেগে উঠেনি পুরোপুরি। ভোর বেলা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে লতা পাতা, পাখির গা আর ঘরের চাল ধুয়ে চকচক করছে। রাতের বৃষ্টি দুঃস্বপ্ন, বিকেলের বৃষ্টি মন খারাপের বার্তা আর সকালে বৃষ্টি আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির পানিতে গোসল করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতায় সোনালী রোদের চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদু বাতাসে ঋষি মুণিদের মত ধানের ছটা গুলো এদিক ওদিক মাথা দোলাচ্ছে। ভারতের এই অংশটি বাংলাদেশের স
এটা ঠিক ভ্রমন কাহিনী না। তবু অজানা এক দেশে অদ্ভুত এক নির্ঘুম রাতের ঘটনা বলতে ইচ্ছে করছে।
আহসান সাহেব হুঁকার নলে চুম্বন করিয়া গম্ভীর কণ্ঠে কহিলেন, "আমার পুত্রটি সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়াছে। এই বয়সে ছেলেপিলে একটু আধটু দুষ্টামি করিয়াই থাকে। মেট্রিক পরীক্ষার পূর্বে তুমি অভিযোগ আনিলে শাস্তি বাবদ উহাকে বেতপিটা করিতে পারিতাম। কিন্তু এখন ত সে নওজোয়ান। তাহাকে বড় শাসন করিতে গেলে সে যদি অভিমানে ঘরছাড়া হয়?"
- মামা, আপনার একটা চিঠি আছে।