[justify]১.
বাবলু ভাইকে অমায়িক লোক বলে জানতাম, তিনি যে ওভাবে চোখ লাল করে তেড়ে আসবেন, আমি বা দুলাল কেউ-ই বুঝিনি।
দুলাল থতমত খেয়ে বলে, "না, কিন্তু ...।"
"কোন কিন্তু নাই!" বাবলু ভাই প্রায় ফেনায়িত মুখে গর্জন করেন। "আমি কোন পুরুষমানুষের সাথে এক বিছানায় শুইতে পারবো না!"
দুলাল বলে, "কী আপদ, এইখানে মাইয়ামানুষের ব্যবস্থা এখন ক্যামনে করি?"
বাবলুদা বলেন, "খবরদার!"
আমি বলি, "ঠিক আছে। কিন্তু ...।"
বাবলু ভাই ...
মাঠে দাঁড়ালে
গোটা মাঠটাই নেই হয়ে
যায়।
সবসময় এই-ই ঘটে।
যেখানেই থাকিনা কেন,
সেখানকার একমাত্র নেই
বস্তুটা হলাম - আমি।
বাতাস ছিন্ন করে করে
হেঁটে যাই যখন,
সাথে সাথেই বাতাস
জড়ো হয় - আমার
শরীর এইমাত্র ফেলে এল
যে জায়গাটুকু।
ক্রমাগত হাঁটার জন্যে
আমাদের প্রত্যেকেরই আলাদা-আলদাভাবে
অসংখ্য যুক্তি আছে।
...
এই ঘন ঘোর শীতে প্রেম বড় কম,
শৈশবের শরতের চরে
কাশবনের কথা মনে পড়ে
কুয়াশা বন্দী নগরে- সে রকম
চাইছি তোমার উষ্ণতারই ওম।
কিংবা এই শিশ্নতাপে গলে গিয়ে ভয়
করেছে ঘেরাও ঢের সহিসেরে
স্বভাবে নগ্ন পুরোবসনার ঘরে
লালসা লিপ্ত অধরে- চাইছি তোমায়
হেলেনের ন্যায় পরকীয়াময়।
এই দেহ পুরে যাক-
এই শীতের ভোরে প্রেম হয়ে থাক
ভরা ...
এরপর
উচ্চতর সিঁড়িতে দৃষ্টি হানে শরীর,
শব্দের পঙ্কিলতায়
রি-রি করে ওঠে নাগরিক হৃদয়,
খুব উঁচুতে উঠে হারিয়ে গেছে যে
বেলুন -
তার মতো সবকটা চিন্তা,
বর্ণক্রীড়া.
নগ্নিকার চেয়েও সুন্দর পংক্তির ছবি
আর
স্তবকের নিষ্প্রাণ চেয়ে থাকা, - দূরে
সরে যায় - আমার হাতের মুঠো হতে
সিঁড়িটির
প্রথম ধাপে পা দিতে যাব কি-না বুঝত...
(খুব ইচ্ছে হয় তোমায় প্রশ্ন করি)...
ঠিক কিভাবে বেঁচে থাকলে কখনোই আর মনে হবে না - 'অন্য কোনো জীবন এরচেয়েও অন্যরকম ছিল হয়তো', ঠিক কিভাবে নিঃশ্বাস নিতে হয় খুব চমৎকার আফসোসহীন সন্ধ্যে কাঁটাবার জন্যে, ঠিক কিভাবে আকাশের দিকে তাকালে আমি আর ইতঃস্তত করবো না কখনো - 'কি করা যায়?' এইভেবে, ঠিক কিভাবে বেঁচে থাকলে...
আমি যদ্দূ...
আর কখনোই মন খারাপ করবো না ভেবে আমি প্রতিটি সন্ধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটি; যে ধূলো এবং বাতাস আমি পার করে যাই, এবং অজস্র মানুষের আশ্চর্য ইচ্ছুক মুখমন্ডল, এর সাথে বিমর্ষ পুরাতন বালকের মতো মেঘসুদ্ধু আকাশ - এইসব কিছুই আমি মনে রাখব না বলে আমার মন খারাপ হয় না আর। খুব কাতর স্বরে রুগ্ন বৃদ্ধ পথের একপাশে ঘুমিয়ে আছে ...
এক
মাথার চারপাশে উড়তে থাকা ঢাউস আকারের মশাটির দিকে তাকিয়ে থাকল কামাল। খুবই নির্বোধ ধরণের মশা। মহান মানব সম্প্রদায়ের দেহ ফুঁড়ে রক্ত চুষে নেয়া ঠিক হবে কি-না তাই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। মাতালের মত উড়ছে এদিকে-ওদিকে। বাঙালি মশা হলে রক্ত নিয়ে এতক্ষণে উধাও হয়ে যেত নিশ্চই। পশ্চিমা বলেই মানুষ নিয়ে এত অনিশ্চয়তা। কামাল এখনই এক তালিতে ব্যাটাকে ভর্তা বানিয়ে ...
[justify]বন্ধু সগীর কালেভদ্রে এমএসএনে আমার কুশল জিজ্ঞাসা করে। সামনাসামনি দেখা হওয়ার ব্যাপারটা তো বছর দেড়েক ধরে হয় না। সগীর কোথায় যেন কী একটা ধান্ধা করে, আমিও অন্য কোথায় যেন কী আরেকটা ধান্ধা করি। দেখাসাক্ষাতের ব্যাপারটা পরস্পরের অনলাইনে থাকার প্রোবাবিলিটির অঙ্কে চলে গেছে তাই। আমার নেট সংযোগ সক্রিয় থাকার সম্ভাবনাকে সগীরের নেট সংযোগ সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা দিয়ে গুণ করলে একটা কাঁচা স...
[justify] রহস্যগল্প লেখায় হাত দিলাম আবারও। "চিহ্ন" নিয়ে এগোচ্ছি না আপাতত, যদিও ওটার প্লট আমার নিজের কাছেই ভালো লাগছিলো। স্বল্প পরিসরের রহস্যগল্প লিখলে বরং সেটা শেষ করতে পারবো।
১.
"নিজের হাতে রেঁধে খাওয়ার তৃপ্তিটাই অন্যরকম।" বলছিলেন বৃদ্ধ ভদ্রলোক, যাঁকে এখন থেকে চৌধুরী সাহেব বলাটাই ভালো শোনাবে। পুরো গল্পটা শোনার পর তাঁর আসল নাম নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করাটা শোভন হবে না। আর ... চৌধুরী ত...
[justify]স্বর্গে দুধের নহর বইতো। গাছে গাছে ঝুলতো অপূর্ব থোকা থোকা জাঝা, আহারের ইচ্ছা করলেই তা আপনা আপনি মুখে এসে হাজির। শরাবন তহুরার সরবরাহও অঢেল, শুধু কষ্ট করে চাইতে হবে। আনাচে কানাচে হাসিমুখে নিয়ত ঘোরাঘুরি করতো যৌবনবতী হুর আর কচি গেলমান। স্বার্গিকদের ব্যাপারস্যাপারই আলাদা। তারা খায় আর কোপায়, কোপায় আর খায়।
হঠাৎ একদিন স্বর্গে ব্যাপক গুঞ্জরণের সৃষ্টি হলো। দুধের নহরে চর পড়ে গেছে।
...