[justify](শুরুতেই বলিয়া রাখা প্রয়োজন, গল্পটির ঘটনা ও চরিত্রগুলি আগাগোড়াই কাল্পনিক। কাহারো সহিত কিছু মিলিয়া গেলে তাহা কাকতাল, ফাঁকতাল, ঝাঁপতাল, একতাল, ত্রিতাল, দাদরা বা কাহারবা যে যাহার যা ইচ্ছা তাহাই মনে করিতে পারিবেন)
১।
কোয়ান্টামের রাজ্যে রাজা আছেন অনেকজন। তারমাঝে রহস্যের রাজা ছিলেন জর্মনদেশী ভার্নার হাইজেনবার্গ। আইসবার্গের গুঁতোয় টালমাটাল হয়ে টাইটানিক যেমন ডুবেই যায়, হাইজেনবার্গের গুঁতোয় চিরচেনা বিজ্ঞানের জাহাজখানাও হঠাৎ টলমল করে উঠেছিল বৈকি। তবে বিজ্ঞানীরা তাকে ডুবতে দেননি। বাস্তবকে তাঁরা বাস্তব বলেই মেনে নিয়েছেন। আর এই বাস্তবতার নাম ‘অনিশ্চয়তা’।
সোনিয়া আমাদের লাগারে আসে রাজহংসীর মতো। মুখে একটা মিষ্টি হাসি। ভারতীয় পাকিস্তানীরা বেশ সমীহই করে তাকে। সেভাবেই এসেছিল সে দিন। একটা পাকিস্তানী এসে বায়না ধরল, “তোমার সহেলির সাথে পরিচয় করিয়ে দাও”। আমি জানি সোনিয়া জানতে চাইবে “কী বলেছে লোকটা”?
এ জগতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী নারী কে? তিনি কি ক্লিওপেট্রা? কিংবা হেলেন বা মেরিলিন মনরো, গ্রেটা গার্বো, সায়রা বানু, মধুবালা, সুচিত্রা সেন, ঐশ্বরিয়া? কে? মহাভারতের বর্ননা অনুযায়ী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা গ্ল্যামার গার্ল হলেন একজন শ্যামাঙ্গিনী ভারতীয় নারী, কারো কারো মতে তিনি বাঙ্গালীও বটে। আমাদের তো আর অত পুন্য নেই যে তাঁকে চাক্ষুষ দেখব, তবে বহু শতাব্দী আগে একজন সৌতি গল্পকথক যে ভাবে তাঁর বর্ননা করে গেছেন, সেই বর্ননায় তিনি এখনও জীবন্ত সবার মাঝে।
একটা মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করলে বা কোন ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলার আগেই আশে-পাশের মানুষ সেটা টের পায়। আমরা যে ভাবে একজনের উপড়ে আরেক জন রাতে শুই, সে অবস্থায় অন্যের অগোচররে স্বপ্ন দেখাও অসম্ভব। আমার বিরহ গোপন থাকা সম্ভব নয়। কোন কাজে আসুক আর না আসুক, আমাদের যে কোন ব্যাপারে মাহবুব ভাই খোঁজ-খবর নিয়ে পরামর্শটাও দিয়ে যান। জ্বর-জাড়ি হলে রাতে কোন ঔষধের দোকান খোলা থাকে সেটা যেনে নিয়ে
১।
বহুদিন দেরি হয়ে গেল। এর মাঝে মান্না দে আর লতা মুঙ্গেশকরকে বিদায় জানালাম। বাঙালি নিউজিল্যান্ডকে ডেকে এনে দৌড়ানি দিল। পাকিস্তান ১০০ করার আগেই অলআউট হইল (আহা, কি শান্তি)। প্রধানমন্ত্রীর ফোনপেয়ে আবেগাপ্লুত (আ-টা বাদ যাবে) জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত মহিলা আমীর হরতাল প্রত্যাহারের আগাম ঘোষনা বেমালুম অস্বীকার করে ফেললেন। শফি সাহেব চোখের পাত্তি না ফেলে মিথ্যা বলার স্টাইলে তেঁতুল গাছে ফুল ফুটিয়ে নাকে ঘষাঘষি শুরু করলেন। মগবাজারের ফরহাদ সাহেব ‘কথার কথা’ বলতে বলতে টকমারানীদের মহাসমাবেশ করে ফেললেন। পলাতক চৌধুরী মাইনুদ্দিন আর আশ্রাফুজ্জামানের ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়ে গেল। ড. নোবেল মালয়শিয়া গিয়ে সরাসরি বৃহত্তর জামায়াতী জোটের পক্ষে ভোট প্রার্থনায় নেমে পড়লেন। আর আমি ডিজিটাল জীবনকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে এনালগ পরীক্ষা দিতে দিতে হয়রান (হয়রানাবীর না) হয়ে গেলাম। যাকগে, এসেই যখন পড়েছি- একটু গল্প শুনিয়ে যাই। জামাতের হরতাল হবে, আর ককটেল ফাটবে না, বা দুটো রগ কাটা পড়বে না- তাই কি হয়?
জনসেবার ভূত জীবনে কখনো মাথায় চাপেনি এইরকম লোক মনে হয় কমই আছে। সমস্যা হচ্ছে ভূতগুলা বেশীদিন মাথায় থাকেনা। সবাই মাদার তেরেসা না, এমনকি কেউ কেউ ও মাদার তেরেসা না, খুবই অল্প কেউও না, একেবারে পৃথিবীর বিলিয়নকে বিলিয়ন লোকের মধ্যে হাতে গোনা দুই একজন হয়তো। বাকিরা সবাই আমার মতোই। মাঝে মাঝে বাথরুম চাপার মতো জনসেবার তীব্র বেগ চাপে। আবার দ্রুত সেটা কমেও যায়। সেরকমই ভূত আমার মধ্যেও চেপেছিল একবার। খুলে বলি।
লোকটা বলে চলে, “ধরেন আপনি একটা নিজস্ব ছন্দে চলেন। আপনি ভাবেন সেটাই ঠিক।আবার কোন কোন বিশেষ মুহুর্তে আপনার ভাবনাটা ভেঙে যায়। আপনি ভাবতে থাকেন আপনার সামনে বসা চাপ-দাড়িওয়ালা লোকটা আপনার চেয়ে বেশী বিচক্ষণ। আপনি একধ্রণের আলোর সন্ধানে তার দিকে চেয়ে থাকেন। এরপর সেই লোকটার একটা দলছুট বা অমনোযোগী বাক্যে আপনি তার উপর আস্থা হারান। ফিরে আসেন নিজের আব র্তে;সেই পুরণো ছন্দে। এরপর আবার দালানকোঠা ভাঙা। পরবর্তীতে আ