অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
- পিউ, ওরে ও পিউ।
পরিমামার গলা পেয়েই মন ভালো হয়ে গেল। পরিমামা অর্থাৎ পরিতোষ-মামা সম্পর্কে লতায়-পাতায় দূর সম্পর্কের। কিন্ত মনের হিসাবে তিনি এ বাড়ির সবার-ই খুব কাছের জন। সেই কোন ছোটবেলে থেকে উনি মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি এসে ঘুরে যান! পরি-মামা এসেছে মানে গল্প এসেছে। সবাই জানে পরিমামার গল্পের কোন বাস্তব-অবাস্তব নেই, সম্ভব-অসম্ভব নেই। যেমন একদিন এসে বলল
- চাঁদে ঘুরে এলাম। আমি যখন চাঁদে বসে বই পড়তে পড়তে পড়া থামিয়ে হাত নাড়ছিলাম এখান থেকে অনেকে আমায় দেখে হাত নেড়েছে।
আমরা জানি সেটা হয় না। কিন্তু পরিমামাকে সেই প্রশ্ন করতে নেই। বরং জিজ্ঞেস করতে হয়
- তারপর?
আর তখন গল্প এগোতে থাকে। একটু পরে পরে এক কাপ চা, সাথে টুকটাক মুখে ফেলার মত কিছু। ব্যস, গল্প চলতে থাকে।
অথচ সংজ্ঞা জেনে ভালবাসিনি,
বুঝিনি তো আমি ভালবাসার কী মানে!
সূত্র মেনে ভালবাসা যায় বুঝি?
কামসূত্র বাজারে বিকোয় জানি,
বদঅভ্যাসে প্রেমসূত্রও খুঁজি!
(বুঝেশুনে প্রবেশ করুন, নিজেকে আক্রান্ত ভাবলে তার জন্য লেখক দায়ী নয় কিন্তু !)
…
বর্ষকালের দিনটা একটু বড়ই হয়। বিশেষ করে যে দিন বিকেল নাগাদ একটা ঝুম বৃষ্টি হয়ে যায়। কয়েক ঘন্টার ঝরঝরানি। আকাশ কালো করা মেঘ বিকেল না পেরুতেই রাত নামিয়ে দেয়। ঘড়ি ধরে গৃহস্থের দিন চলে না। বরং আকাশের গায়ে শম্বুকগতিতে গড়িয়ে চলা সূর্যের রকমফের বুঝিয়ে দেয় কখন কী করতে হবে। তবে বর্ষার দিনে তেমনটা হবার জো নেই। একটানা বৃষ্টি হলে যদিও ঘড়ি দেখে বেলা আন্দাজ করে নিতে হয়। কিন্তু যখন ‘খেকশিয়ালের বিয়ে’ টাইপের বৃষ্টি হয় তখন সময়ের মর্জি বোঝা বড় দায়। মুষল ধারের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় হয়তো গৃহিনীরা রাতের ভাত চড়িয়ে বসে আছে, গৃহকর্তার মুখে হাসি, যাক বাঁচা গেল, আজ আর বাজারে বেরুনো যাবে না, জন-মায়েন্দারের পাওনাটা অন্তত আরো একদিন টেনে নিতে পারবে, পাওনাদার মুনিষ-চাষাদের চোখে যখন অন্ধকার ঘিরে ধরেছে, আজ রাতেও উপোষ থাকতে হবে, হাঁস-মুরগী আর গৃহপালিত পশুগুলো যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘরে ওঠার, তখনই হয়তো গৃহস্থের হাসি মুখে ঝামা ঘষে, চাষা-ভূসাদের অবয়ব উজ্জ্বল করে শেষ বিকেলের সোনারোদ ছড়িয়ে পড়ে ভেজা উঠনে, বৃষ্টিধোয়া মাঠের বুকে, ভূখা চাষিদের ভাঙা চালের ভাঙা বেড়ার ফাঁক গলিয়ে। শিমুল তুলোর মতো বাতাসে উড়ে বেড়ানো ছেঁড়া ছেঁড়া শুভ্র কিছু মেঘ ছাড়া গোটা মহাকাশে নীলের হরষ। জন-মায়েন্দাররা বেরিয়ে পড়ে পাওনা আদায়ে, গৃহস্থ কাঁথার তলায় দেহটা সেধিয়ে জর-সর্দির দোহায় দিয়ে হাট কামাইয়ের অজুহাত খোঁজে, গৃহপালিতারা ছুটে বেরিয়ে পড়ে অলিতে গলিতে।
[justify]
ইউরোপা অপহরণ
কুষ্টিয়া জেলায় মানুষজন এর কথ্য ভাষা বেশ নরম। পাশাপাশি চলতে থাকা দুই রিকশায় খানিক ঠোকাঠুকির পর এক রিকশার চালক অন্যজনকে বলছে, ওগো, বেল দিচ্ছি শুনছো না যে?
একই ঘটনা বরিশালে ঘটলে আলাপচারিতার ধরন পালটে গিয়ে হত অনেকটা এরকম, হালার পো হালা, লেওড়াডা কি চোহে দিয়া রিশকা চালাও?
এসব হালকা রোমান্টিকতায় বুড়োদের কোনো কাজ নেই।
…
মায়ের মন বড়ই অদ্ভুত, সে মা যদি গায়া হয়। টাইটান যুদ্ধে জিউস জয়ী হবার পর ক্রোনাসসহ অন্যান্য টাইটানদের টারটারাসে বিভিন্ন রকম শাস্তি দেন। গায়া চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান সাইক্লোপস এবং হেকাটনখিরাসদের মুক্তি, তাই জিউসকে ক্রোনাসের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু তিনি চাননি জিউস আবার টাইটানদের শাস্তি দিক! কারণ টাইটানরাও তো গায়ার সন্তান! তাই টাইটানদের শাস্তিতে ক্ষুদ্ধ গায়া তাঁর আরেক প্রজাতির সন্তান জায়ান্টদের আহবান করলেন। যীশুর জন্মের প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওভিদ নামে এক রোমান কবি ছিলেন, তিনি লিখেছেন, গায়া তাঁর জায়ান্ট সন্তানদের আহবান করেছিলেন , “দেবতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করো”।
হাইকোর্টের ঐ ভবন থেকে যেমনি বলা- “ওগো,
অনেক তো ভাই ঘি খেয়েছ, এবার তুমি ভাগো।
আর দেব না দেশের ভাগা রক্তমাখা পাল্লায়,
এবার কেবল হাল ধরবে দেশের মাঝি-মাল্লায়।”
এইনা শুনে মার্খোরেদের মনটা বেজায় বিলা,
এদেশ-ওদেশ মিলিয়ে শুরু, হয়েছে কত খেলা।
ভিনদেশেতে মিছিল করে মৌদুদীদের চ্যালা-
অধ্যাপকের জাতটা চেনায়, লোক হাসিয়ে ম্যালা।
কাপড় খুলে লেঞ্জা বেরয়, সুশীল হামিদ মীরের,