নোটিশ : ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
…
ঈশ্বরদীর হুজুর হেকমত আলী মাস ছয়েক আগে হঠাৎ একটি চিঠি পেলেন। তার মাদ্রাসার এক ছাত্র ঢাকা থেকে চিঠিটা পাঠিয়েছে। চিঠি পড়ে জানতে পারলেন তার ছাত্রের এলাকার মসজিদের জন্য একজন ইমাম প্রয়োজন। ছাত্র মকসুদ সেখানকার মসজিদ কমিটির মেম্বার, তাই সে হেকমত সাহেবকে চিঠি পাঠিয়েছে তিনি যাতে দয়া করে ঢাকায় মসজিদে ইমামের দায়িত্বে যোগদান করেন। এই ছাত্রটি হেকমত সাহেবের খুব কাছের একজন, তার কথা ফেলে যায় না। তাই তল্প
প্রথম পর্বে বলেছিলাম এই লেখাটা তিনটি পর্বে লিখব, কিন্তু পরে ভাবলাম কাট-ছাট করে দু'টি পর্বেই শেষ করে দিই, তাই এটাই শেষ পর্ব।
১।
সমুদ্রের তীর ধরে হেঁটে যাই, গভীর নীল ঢেউয়ে জ্বলজ্বল করে কীসের যেন দীপ্তি। আর, আবহসঙ্গীতের মতন অবিরল ঢেউপতনের শব্দ। আসে আর যায়, ওঠে আর পড়ে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতন, বিরতি নেই, ক্লান্তি নেই, অনন্ত কাল উঠছে আর পড়ছে।
১।
হাকিমের রায় শুনে গোলাম মনে মনে হাসলেন, আরে অসুর বলে কথা। এত তাড়াতাড়ি মরার জন্য জন্মেছি নাকি? কি প্রজারা, কি রাজার হাকিম চাইলেই হল? আরে বাবা আমার হল গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু। গুরুবাবা মউদুদি'র ও তাই ছিল। বাদশা আইউবের হাকিম তো তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েইছিল- কি লাভটা হল? মরল তো সেই সৌদি রাজ্যের শাহী হারেমের হুরদের কোলে। শরাবে অরুচি আর কাকে বলে! কে বলেছে- বেহেশত পরকালে?
[এইখানে মগজ-ব্যবহারের কোন সুযোগ নাই।]
…
৭১ এ আমি কোন ভুল করি নাই। কারণ আমরা পাকিস্তানের পক্ষে আসিলাম এবং এখন আছি। ভবিষতেও থাকব ইনশাল্লাহ। আস্তে ধীরে বাংলাদেশকে আমরা আবার পবিত্র পূর্বপাকিস্তানে পরিণত করার সংগ্রাম তখনও করসি, এখনও করতাসি। এই চেষ্টা জাড়ি থাকবে মরতে দমতক।
গত কয়েকদিন যাবৎ একটা অদ্ভুত গুজব ভাসছিলো ঢাকা শহর জুড়ে। ঈদের দিন সকাল দশটায় নাকি পাঁচ জনের একটা কমান্ডো দল পিজি হাসপাতাল থেকে গোলাম আযমকে বের করে নিয়ে আসবে, তারপর শাহবাগ ওভারব্রিজের গায়ে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। কোথা থেকে এ গুজবের উৎপত্তি কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু ঈদের দিন ভোর বেলায় পিজি হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার লোকের ভীড় দেখে বোঝা গেল, অনেকেই গুজবটা বিশ্বাস করেছে।
ঝুলবে? নাকি ঝুলবে না?
(চুদুরবুদুর চলবে না!)
[যাঁরা অকবিতার প্রশ্রয় দেন তাঁদের জন্য।]
…