ছত্রাকের দৃশ্যমান অংশ দেখে টের পাওয়া যায়, আক্রান্ত অংশের কোথায় কতটুকু পুষ্টি আছে, কিংবা কোথায় নিয়মিত রোদ পড়ে। ভাষাও তেমনই, যেখানে তার পুষ্টির সংস্থান হয়, সেখানে সে বাড়ে, আর প্রবল বাধার মুখে শুকিয়ে যায়। আজ মহাকাশে নভোযানে চরিত্রদের গুঁজে দিয়ে জমজমাট কোনো কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে গেলে কয়েক চরণ লেখার পরই হাত বাড়াতে হবে ইংরেজির ভাঁড়ারের দিকে, একটা দুটো শব্দ টোকানোর জন্যে। মহাকাশে বাংলা ভাষার পুষ্টির অভা
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"
৯। দু'দিন পর । ডক্টর আদিত্যদের হোটেলে আমাদের মিটিং । ডক্টর আদিত্যের ঘরেই। ঘরটা বেশ বড়ো, চমৎকার সাজানো । আমরা সবাই কেউ চেয়ারে, কেউ তেপায়ায়, কেউ টুলে, কেউ সোফাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছি ।
সম্প্রতি যে প্রসঙ্গটি গণমাধ্যমকে কয়েক সপ্তাহ ধরে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, সেটি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে সৌদি রাজপুরুষদের হাতে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যাকাণ্ড। আমার এ লেখাটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং জামাল খাশোগজির নামটি আমরা গণমাধ্যমে কীভাবে লিখছি, তার লেজ ধরে আরো দু'তিনটি প্রসঙ্গ নিয়ে।
৮। দীর্ঘ যাত্রার শেষপ্রান্তে পৌঁছলাম অবশেষে। এসে গেল আমাদের গন্তব্য। ট্রেন থামলে ধীরেসুস্থে সব গুছিয়ে যখন প্ল্যাটফর্মে নেমে এলাম, তখন চারিদিকে শেষ বিকেলের মায়াবী আলো।
প্রতিনায়ক; আমাদের রক্তমাংসের জীবনে সমাজ নির্ধারিত বাঁধাধরা নিয়ম-নৈতিকতা ও ঔচিত্যবোধের বাইরে এদের অবস্থান। একক শব্দে ধারণাটাকে ধরতে এর চাইতে সুন্দর বাংলায়ন আর হয়না। সৃজনশীল শিল্পমাধ্যমে এদের আনাগোনা অবশ্যম্ভাবী না হলেও, দুর্লভ নয়।স্বাভাবিকভাবেই সমাজের দৃষ্টিতে তাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচক নয়। ‘স্বাভাবিকতা’টাই যেখানে সমাজ নির্ধারিত, সেখানে এই নেতিবাচক সীদ্ধান্তটা ধ্রুব ভেবে নেবারও কারণ নেই। সাদাচোখে এরা
আলম বিশিষ্ট লেখক। তার কারবার অণুগল্প নিয়ে। হাজার তিনেক গল্পের জন্ম সে ইতিমধ্যে দিয়েছে। ফেসবুকের দেয়ালে এগুলো নিয়মিত পোষ্ট হয়। লাইক তেমন একটা পড়ে না। বরঞ্চ উল্টো ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তার বন্ধুর সংখ্যা কমে যায়। ফ্রেন্ডলিস্টে আগে ছিল বত্রিশ জন। আজকে দেখা গেল উনত্রিশ। তিনজন সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আনফ্রেন্ড করেছে। আলম দমে যাবার পাত্র নয়। তার সাধনা নিরলস।
কোন ব্লগেই তার লেখা ছাপা হয় না। ব্লগের সঞ্চালকদের মেসেজ পাঠাতে পাঠাতে তার আঙ্গুলের ছাল উঠে গেছে। সেখানে জ্বালা পোড়া করে। ভেসলিন লাগিয়ে রাখতে হয়। আলম বুঝে না তার “আলোকিত বিভীষিকা” কিংবা “দানবের ভালবাসা” এর মত তুখোড় অণুগল্প কি করে সাহিত্য ব্লগ গুলতে স্থান পায় না। জীবদ্দশায় সত্যিকারের জিনিয়াসরা কখনই মূল্য পান না। আলমের আফসোস।
দুশো সতের তলা বাণিজ্যিক ভবন থেকে পড়তে পড়তে ইঁটটি ভাবছিল, আজ কেউ মারা না যাক।
কিন্তু একশো আটানব্বই তলায় প্রিয়তম স্বামীটি তখন প্রাইভেট সেক্রেটারির অন্তর্বাসের ফিতের জট খুলছিল।
আর একশো বিয়াল্লিশ তলায় প্রবল আশাবাদি তরুণটি সিলিংফ্যানে বাঁধছিল গলার দড়ির অপর প্রান্ত।
ওদিকে বিরাশি তলায় কমিটির নির্বাচনী মিটিংয়ে মারামারি। ভাঙা কাঁচের গ্লাস। তোবড়ানো এজেন্ডা। থুতনিতে কালশিটে।
কবি হিসাবে আমার অপরাধ আমি জুনের সতারো তারিখে
আনমনে লিখেছিলাম একটি কবিতা। তাতে
ছিল না কুন পরনারীর প্রতি লালসা
ছিল না কুন নাইকা-মডেলের প্রতি মিষ্টি বচন
আমি শুধু হৃদয়ের সকল মধু ঢালিয়া খাতার পাতে রচেছিনু সুদুর আগ্নেয় দ্বীপ আইসলেন্ডের
প্রশস্তি। লিখেছিনু, হে বরফের মাঝে আগ্নেয়গিরি খচিত কাচা মাছের গন্ধে ভরা আইসলেন্ড
তুমি কি খাও?
কেন তুমার সন্তানদের পায়ে এমন মধুর জোর
"দইবড়াটা একটু চেখে দেখবেন কি, মাই লর্ড?" নার্সিসা ম্যালফয় একেবারে নতজানু হয়ে দইবড়ার বাটি রাখেন ভল্ডেমর্টের সামনে।
ভল্ডেমর্ট চোখ বন্ধ করে চুপচাপ গরুর গোস্তো দিয়ে পোলাও খায় চপচপ করে।