বিশ্ব ঘুরতে কয়দিন লাগে? বড়জোর তিনদিন। সেইদিন কি আর আছে যে ফিলিয়াস ফগ হয়ে ভৃত্য প্যাসেপার্তুকে বগলদাবা করে বিশ্বকে চক্কর দিতে পুরা আশি দিন লাগাবেন আর ফিরে এসে সেইটা নিয়ে আবার বিতং করে বই লিখে ফেলবেন। ঢাকা থেকে এমিরেটস এ চড়ে ৪ ঘণ্টায় দুবাই চলে যান। প্লেনে বাথরুম চাপলে বা থুতু ফেলতে মন চাইলে পাকি দেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্লেনের জানালা খুলে কাজ সেরে ফেলুন চটপট।
গল্পটা রহস্য পত্রিকা’র অক্টোবর-২০১০ সংখ্যায় প্রকাশ হয়।
আমি আনারুল। মা বলতেন ‘আনারুল হক’। বাবা ডাকতেন আনু নামে। গাঁয়ের লোকেরা বলত আনারুল পাগলা। ভাঙাচোরা অবয়ব। পাখির নীড়ের মত উষ্কখুষ্ক কেশশ্রী, সাপের খোলসের মত খসখসে ত্বক, অস্পষ্ট বাচনভঙ্গি, বোকাবোকা চাহনি আর বুদ্ধির ঘটে আমড়া কাঠের ঢেঁকি; সবমিলিয়ে গ্রামবাসীদের দেয়া পদবীটা ধারণ করার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার ছিল। তাই আজও এই গাঁয়ে পাগল ও আনারুল সমার্থক দুটি শব্দ।
ঋতুপর্ণ ঘোষের নাম প্রথম শুনি চোখের বালি বের হবার পর। ক্লাসের ছেলেরা ঐশ্বরিয়ার পিঠ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল মনে আছে। তখনো আমার সেই সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ধরেই নিয়েছিলাম ঐশ্বরিয়ার রূপ দেখিয়ে সিনেমার হিট করার তালিকায় আরেকটা সিনেমা যোগ হল। আমি কখনই খুব সিনেমা বা টিভি দেখার পোকা ছিলাম না। কাজেই এরপর কয়েকবছর আর তাঁর কোন সিনেমা উপভোগ করা হয় নাই।
আমার বিশ বছর বয়সী ভাইপো পরশু সন্ধ্যারাতে সিলিং থেকে ফাঁসীতে ঝুলে হন্তারক হয়েছে নিজের। বছর খানেক আগে কলেজ থেকে ঘরে ফিরেছিল সে ছোট একটা মেয়েকে লাল শাড়ি, কপালে টকটকে লাল সিঁদুর আর হাতে সফেদ শাঁখা পরিয়ে। সেদিন এতটুকু ছেলের সাহস দেখে হতবাক হয়ে গেলেও আমি মনে মনে তার বেশ প্রশংসা করেছিলাম। আমি কোনদিন ওরকম সাহস করতে পারি নি। আমার ভাইপোটির বাবা মানে আমার ভাইটি তার পুত্রবধূর মুখ দেখার মাস দুয়েক পর একরাতে ছট
ঢাকায় বসা রানুর মুখের মিষ্টি "চুদুরবুদুর"
কাঁপিয়ে দিলো কলকাতা আর আগরতলা সুদূর।
রাজ্জাক ঘটক একটু গলাখাকারি দিয়ে বললেন,
- মেয়ের সবই ভালো খালি একটু মুখ খারাপ।
আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে বললাম,
- চেহারা খারাপ? মুখে ব্রণ ?
- না না, চেহারা মারাত্মক। স্কিন খুবই সুন্দর। মুখ খারাপ মানে একটু মুখের ভাষা একটু খারাপ আরকি।
- ও, ব্যাপার না।
খবরের কাগজ পড়লে রক্তচাপ বেড়ে যায়। কয়েক মাস ধরেই কোনো সুসংবাদ নেই চারদিকে। নানা ফ্যাকড়ায় পড়ে যখন মেজাজ নষ্ট হতে থাকে, তখন স্ট্রেস কাটানোর জন্যে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। ব্যাপারটা আরো ভালো কাটে যখন লোকজনকে জোর করে ধরে সে গান শোনানো যায়। কারণ পৃথিবীতে স্ট্রেসের পরিমাণ একটি ধ্রুবক, একজনের স্ট্রেস কমলে আরেকজনের বাড়বে।