[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।
ছড়াগুলো ফেসবুকে দিয়েছিলাম, ভাবলাম হারিয়ে, যাবে চাপা পড়বে বরং সচলে জমা থাক। কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই লিখে ফেলা, রাগ আর ক্ষোভের অক্ষম বহিঃপ্রকাশ। কেবলমাত্র প্রাপ্তমনস্কদের জন্য।
মতিচুর রহমান, বাজারের সর্দার,
হাই ফাই ফাল্গুনী আছে সব কেনা তার,
কাওরান বাজারের নাম করা মাসী সে,
ইস্লামী ব্যাঙ্কের কেনা সেবাদাসী সে।
মাসে মাসে ভাড়া দেয় খান্দানী পুটু তার,
আজকাল কৌতুক করতেও ভয় ভয় লাগে কেমন যেন! সবার যে অনুভুতি প্রবণ মন,কে কোন্ দিক দিয়ে আঘাত পেয়ে বসে বোঝা মুশকিল। তারপরও ভাবলাম বলে ফেলি একটা নিরীহ গোছের কৌতুক,কিই আর হবে! আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা দেখে কয়েকদিন ধরেই এই গল্পটা মাথায় ঘুরছিল-
২০০৭ সালে, বায়তুল মোকাররমের খতিবের কাছে গিয়ে ‘’তওবা’’ করে এসেছিলেন মতিউর রহমান, এককালের চীনপন্থি কমিউনিস্ট।
ধর্মানুভূতিতে আঘাতকারি একটি ব্যঙ্গচিত্র, প্রথম আলোর ‘’আলপিন’’ ক্রোড়পত্রে প্রকাশের দায়ে সে সময়ের আলপিন-সম্পাদককে চাকরিচ্যুত ও তাঁর সহকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছোকরা দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে, উ উ উ উ ডাক্তার সাব ব্যথা।
আমার প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল এবার। এইরকম আজব পেশেন্ট আমার বিশ বছরের জীবনে দেখিনি। আর কসম খোদার আমি বিশ বছরের ডাক্তারি জীবনে নিতান্ত কম দেখিনি। একবার এক রোগী এসে কাঁচুমাচু হয়ে আধা ঘণ্টা বসে ছিল। বারবার জিজ্ঞেস করি সমস্যা কি। মিনমিন করে লাজুক গলায় কি যেন বলে। অবশেষে একটা ধমক খেয়ে একটু জোর গলায় বলে,
- ডাক্তার সাহেব আমার হিট হয়না।
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের একাংশের প্রতিক্রিয়া ও আচরণ বুঝতে গেলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে আমাদের। একাধিক বিবেচনায় দেশ পেছন দিকে হাঁটছে, সে যাত্রায় ক্ষণিকের জন্যে সঙ্গী হলাম নাহয় আমরাও।
মতি সাহেব বড়ই ফাঁপড়ে আছেন! দুই পক্ষের চাপাচাপিতে একেবারে চিড়েচেপ্টা অবস্থা। তার বিশাল বক্ষও শুকিয়ে চিমসে মেরে গেছে। আগে তিনি বক্ষ যেন না বুঝা যায় সেজন্য শার্টের নিচে টাইট স্যান্ডু পড়তেন। অথচ এখন টি-শার্ট পড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তাকাচ্ছেও না। এটা অবশ্য একটা ভাল ব্যাপার। কিন্ত ঝামেলা লেগেছে অন্যখানে! গতকাল রাতে এক সুললিত কন্ঠের নারী ফোন করে বলল-“মতি ভাই,ভাল আছেন?”
১৫ বছর ধরে আমার মা ঢাকার একটি পরিচিত দৈনিক কাজ করতেন। ওই দৈনিকের প্রাসাদে প্রায়ই লেখা নিয়ে আড্ডা দিতে আসতেন একজন বয়স্ক মানুষ। হাতে একটা ছড়ি থাকতো, তাতে নিজেকে বেশ ভারি ও সম্ভ্রান্ত লাগতো মনে করে তিনি আত্মতৃপ্তি বোধ করতেন। পত্রিকার সাহিত্য-সাময়িকী বিভাগের লোকজন ও সম্পাদক তাঁকে খুব পছন্দ করতেন, তা নয়। কিন্তু তিনি একজন সাবেক আমলা, প্রাক্তন সিএসপি (এই তিনটি অক্ষরের প্রতি কোনো কিম্ভুত কারণে বাঙাল