কত কত দুর্ভাগা সময় পার করেছি আমরা। আমাদের চোখের সামনে মতিউর রহমান নিজামী নামের শুকরশাবক গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। শহীদ জননীর নামে একটা ছাত্রী হলের নামকরণ করতে পারিনি আমরা। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী জামায়াত নামের বর্বর দলটা মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা নামের প্রহসন করার সাহস দেখিয়েছে। সেখানে প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিত হয়েছেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দৈনিক প্রথম আলোর পোষা বাম ফারুক গুয়েবাড়াসহ আরো দুয়েকটি পল্টিবাজ গত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষায় ছাগুদের ধামা ধরে পেট ভরে দই খেয়ে এখন মুখে চুনের দাগ লাগিয়ে শাহবাগে হাজির হয়ে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন। দৃশ্যগুলো কৌতুককর, কিন্তু সে কৌতুক হিমশৈলের চূড়া কেবল, সে কৌতুকের ভিত নেমে গেছে আশঙ্কাজনক কুমতলবের সাগরের গভীরে।
১.
ঈশ্বর জলদগম্ভীর স্বরে বলিলেন, কাবিল, তোমার বিরুদ্ধে ভাতৃহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে। গত শতকে যৌবনকালে তুমি তোমার সহোদর হাবিলকে চাপাতি দ্বারা কোপাইয়া হত্যা করিয়াছিলে।
বৃদ্ধ কাবিল মিটিমিটি হাসিল শুধু।
ঈশ্বর কহিলেন, হাবিলকে হত্যা করিয়া তুমি তাহার বাটী গমনপূর্বক তাহার স্ত্রীকে ধর্ষণ করিয়াছিলে, এই অভিযোগও প্রমাণিত।
বৃদ্ধ কাবিল পরম তৃপ্তিতে চক্ষু মুদিল।
বরাবর
জলাতঙ্কের জীবাণু,
২/ক, লালাগ্রন্থি,
পথকুক্কুর ভুলু।
জানু,
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় পরিবার লইয়া সুখে কাল কাটাইতেছ। কামনা করি পরওয়ারদিগার তোমার সুখ দীর্ঘস্থায়ী করুন। তোমার পুত্র কন্যারা যেন ভুলুর লালাগ্রন্থি হইতে বৃত্তি লইয়া অন্যত্র গমন করিতে পারে।
আমি ভাল নাই।
বিচারসভার বাইরে পথে দাঁড়িয়ে বলে খচ্চরে
"আমিও বিচার চাই তবে তা হইতে হবে স্বচ্ছ রে
মানখানি কি আন্তো-জাতিক? দেখতে হবে চেক করে
সর্বোপরি বিচার হতে হবেই নিরপেক্ষ রে
ফরেন উকিল ফরেন হাকিম আনতে হবে ডাইকা রে
এবং সাথে বুঝতে হবে, কাঠগড়াতে চাই কারে?
শেখ হাসিনার বিয়াই ছিলো একাত্তরের পাণ্ডা রে
সবার আগে ধরতে হলে ধর না বেটার কানডারে।
জামাত কেন জেলহাজতে? বিচার নয়, এ রাজনীতি
এমিরেটস এয়ারওয়েজের দুবাই-লন্ডন ফ্লাইটের বিজনেস শ্রেণী। দিলদার হাসান জাঈদী বসে আছেন, পাশেই বসে এ.বজরুল।
বজরুল দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। তবে তার বিজনেস ক্লাসে চড়ার মুরোদ ছাত্র ঠেঙিয়ে হয়নি; হযেছে কথা সওদা করে। তর্ক কথায় বজরুলের কোনো জুড়ি নেই। ছোটবেলায় দাউদ খুজলির মলম বিক্রির ক্যানভাস করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। ক্লাস ফাইভে থাকতে সহপাঠী শিউলিকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছিলেন যে শিউলি একটানা সাত দিন 'হাম্বা' করে ডাকলেই তার স্তন ছাঁপিয়ে দুধ আসবে। তার স্কুল এর কলা শিক্ষক নন্দবাবু বজরুলের ভবিষ্যত দেখেছিলেন নাট্যকলায়। পড়ালেখায় মাথা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু নন্দবাবুর কথাও বৃথা যায়নি পুরোপুরি। বজরুল এখন নানান টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় আলোচক।এখনো সেই ছোটবেলার মতই যেকোনো বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলতে পারেন। শিউলির মতই দেশের মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করে।
কুসুমপুরে ভাত ছিলো না পাতে
আধেক বছর রয় না টাকা হাতে
নিদ আসে না গরিব বাবার চোখে
আঁধার ঠেলে সে চোখ জ্বলে রাতে
অভুক্ত ভাই ঘুমের ঘোরে কাঁদে
নিজের কপাল দুষতে থাকে মায়
কুসুমপুরে আমার ঘরের কাছে প্রকাণ্ড এক আকাশ দেখা যায়।
শহর শুধু গ্রামের গরিব টানে
উপড়ে শেকড় নিজের কাছে আনে
শহরভরা আমার মত মেয়ে
আমার মতোই তারাও ঠিক জানে
কুসুমপুরে হবে না আর ফেরা
কারখানাতেই ঘুরিয়ে যাবো চাকা
বাচ্চু রাজাকার, যে একাত্তরে নানা অপরাধ ঘটানোর পর পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে মাওলানা আযাদ নাম ভাঁড়িয়ে যত্রতত্র ধর্মীয় ব্যাখ্যা বয়ান দিয়ে বেড়াচ্ছিলো, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর চারটি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সীমান্তরখা-১, সীমান্তরখা-২, সীমান্তরখা-৩
ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না মোজাম দেড়ে। বিরক্ত হলেন বিডিআরদের ওপর। তবু দরজা খুলতে হলো।
‘কী ব্যাপার, এতো রাতি দরোজা খুইলে নিলে কেনো গা?’ বিরক্তি উগরে দিলেন খাকি পোশাকের বিডিআর জওয়ানদের ওপর।
‘চাচা,’ মুখ খুলল এক জওয়ান। ‘সারগর্তটা কি আপনার?’
‘হ্যাঁ, আমার বৈকি।’ মোজাম দেড়ের দ্বিধাহীন জবাব। ‘তা...?’
‘মানে, আপনার সারগর্তে খুঁড়ে আমরা ছ’বস্তা চিনি পেয়েছি। ওগুলো বোধহয় আপনার।’
রাগে লাল হয়ে উঠল মোজাম দেড়ের কৃষ্ণবরণ মুখমণ্ডল। কোনোমতে নিজেকে সামলে বললেন, ‘আমার বাড়ির চাকর-বাকরাও বিলাক করে না, এ কথা মুখ থেইকে ছাড়ার আগে একবার আমার সম্পক্যে খোঁজ-খবর করা উচিৎ ছিল তুমাদের।’
আগে যেখানে থেমেছিলাম