মুক্তিযুদ্ধাকালীণ দুই নাম্বার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং 'কে-ফোর্স'-এর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম, ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারি মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী কর্ণেল খোন্দকার নাজমুল হুদা বীরউত্তম – এই তিন মুক্তিযুদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর। আরেক মুক্তিযুদ্ধা, আট নাম্বার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর বীরউত্তমকে হত্যা করা হয় ১৯৮১ সালের ২রা জুন।
সরকারি এবং পরবর্তীতে বহল প্রাচারিত ভাষ্যমতে দুটো ঘটনাই ঘটায় ‘উত্তেজিত সৈনিকেরা’। দুটো হত্যাকান্ডের ঘটনায় কিছু মিল আছে।
হাফজুলুম মারজুক ঢাকেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। শিক্ষক হিসেবে।
[justify]
চাকরির বয়স প্রায় এক বছর ছুঁই ছুঁই। অ্যানুয়াল ইভ্যালুয়েশন দেখে টেখে খেদিয়ে দেয় কিনা সেই টেনশনে ডেইলি দু'বার করে কোমায় যাই। হিসেব করে দেখলাম, সচলেও শেষ লেখার বছর ঘুরতে চলেছে প্রায়। ছুটির দিন, জামাই-ও বিদ্যাশ, এলা একটু হুদাই গ্যাঁজাই তাইলে, কী কন?
জাহাজীর মত একা আর কেই বা আছে?
লোনা হাওয়া, পোর্টহোল, সরু বিছানা আর
ঢেউয়ের দুলুনি সঙ্গী কেবল।
জাহাজীর মত একা আর কেই বা আছে?
ছেড়ে আসা বন্দর, শুঁড়িখানার পেয়ালা,
ঘন্টা মেপে কেনা রক্ত-মাংস এবং অবসাদ,
সব, সব, সব বিগত রাতের চেয়েও বেশী মৃত এখন।
তবু জাহাজী দিগন্তে চোখ পাতে,
নতুন বন্দরের তৃষ্ণা বুকে চেপে ভাবে,
"নোঙরের মত উদ্বাস্তু আর কেই বা আছে?"
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী
= স্লামালাইকুম স্যার, ডেকেছিলেন?
= ওয়াইলাইকুম, ওয়াইলাইকুম আবির সাহেব, বসুন, বসুন।
= জ্বি স্যার।
= এই যে এইটা আপনার।
= কি স্যার?
= কি মানে? আপনার পথের দিশা, উন্নতির সোপান! I mean, আপনার এ্যানুয়াল টার্গেট! হেঃ হেঃ। মেইলে soft copy পাঠিয়ে দেয়েছি। গতবারের মত এবারো আপনার কাছে 100% এর বেশী achievement চাই। বুঝতে পেরেছেন?
= বুচ্ছি স্যার।
১.
চিরুনি অর্থ কী, এ জিজ্ঞাসার মোকাবেলা বালক জগদীশচন্দ্র বসু করেছিলেন "ফাড়ুনি" দিয়ে। দেখা বা শোনা নয়, পড়া কথা। জগদীশচন্দ্রের এই বাল্যকালীন প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে বাংলা শব্দের মহাদ্রুমের বীজ খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে জিজ্ঞাস্য, চিরুনি কি আদপেই ফাড়ুনি? চিরুনিকে ফাড়ুনি বললে কি লোকে চিনবে? যদি শব্দের কাজ হয় ভাবসেতু নির্মাণ, তাহলে ফাড়ুনিতে গিয়ে কি ভাবজট তৈরি হবে না? কিন্তু ফাড়ুনিতে কী নেই, যা চিরুনিতে আছে?
শ্রোতার অভ্যস্ততা।
রাজিব মাহমুদ
সৌম্য ঘুম থেকে ওঠে অনেক বেলা করে। বাইরে একেবারে ডাঁ ডাঁ রোদ। রাতে ভাষাপোকার সাথে কথোপকথনের ব্যাপারটা মনে পড়ায় নিজে নিজে হেসে নেয় কিছুক্ষণ। নিজেই বলে যে এই ক্রমাগত রাত জাগা ওর মগজে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে; ওর ভালো ঘুম দরকার না হলে এরকম আরও কত অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার মাথায় চেপে বসবে কে জানে! আজ শনিবার। অফিস ছুটি।