[justify]একজন মানুষের গড় আয়ুর অর্ধেক এর বেশি পার হয়ে এসে আজ যদি হিসেব মিলাতে বসি, তাহলে দেখি পুরোটা সময় জুড়েই কে এক শুভঙ্কর শুধু ফাঁকিই দিয়ে গেছে। অনেকগুলো এলোমেলো পৃষ্ঠার তৈরী জীবন খাতাটাতে খুঁজে পাইনা গোছানো একটা বাক্যও যা আমাকে একটুকু সান্ত্বনা দিতে পারে এই বলে যে – ‘না, তুমিও পেরেছিলে’।
ওইরকম খুব একটা টিভি দেখা হয়না। দেখা হলেও শুধু ক্রিকেট আর ট্রাভেল শো গুলো। আমার এখনকার ফেভারিট চ্যানেল হচ্ছে ফক্স ট্রাভেলার। সুযোগ পেলেই রিমোট গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে ওইখানেই আটকানো হয়। বিকেলবেলা দেখলাম আফগানিস্তান। পোলো, ঘুড়ি ওড়ানো আর আফগান বাজার। আর একটু আগেই দেখি আরেকটা ভালো প্রোগ্রাম- 'দ্য রোড লেস ট্রাভেলড' দেখাচ্ছে। এক ব্যাটা মরক্কোতে ইতস্তত নষ্টভ্রষ্ট হয়ে ঘুরোঘুরি করছে। অ্যাটলাস পর্বত থেকে সাহারা।
এই সিরিজে কোন সতর্কতা নেই। কারণ এইখানে কোন সংবেদনশীল বিষয় নেই। সেগুলো নাহয় অন্য পর্বের জন্যেই তোলা থাক।
তবে একটা বিষয় আজ আবার নতুন করে উপলব্ধি হলো কোন এক কার্য-কারণ সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে, যা আজই ফেসবুক স্ট্যাটাসে গেঁথে রেখেছি নব্য উৎবচন হিসেবে : ছাগল হওয়ার বিশাল সুবিধা হলো, ছাগলামি করতে আগে থেকে কোন প্রমাণপত্র পেশ করতে হয় না।
তবে এই সিরিজের সাথে ছাগলের কোন সম্পর্ক নেই !
ভদ্রলোকের বাসাটা নীচ তলায়। মহল্লার রাস্তার সাথে লাগোয়া এ বাসাতে তিনি থাকেন সপরিবারে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে। চার তলা বিল্ডিংটার বাইরের গেইটটা খোলাই থাকে সাধারনত। সকাল তখন সাড়ে আটটা। অফিসের উদ্দেশে বের হচ্ছেন। বাসার মেইন দরজা খুলে বাইরে পা দিতেই ৩ জন লোক তাকে ঘিরে ধরল। ছোরা হাতে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজাটা লক করে দিল। তাদের সাথে ধস্তাধস্তির কারনে ভদ্রলোক কিছুটা আহ
আজ এই রাতে তমসা ছেঁয়েছে চারিদিকে। যেন আঁধারে গ্রাস করেছে ধরণী।তথাপি বিশাল আকাশের বুকে আধ-খানি চাঁদ ম্রিয়মান অস্তিত্ত্বে বিরাজমান।যেন কোন সম্ভবনার জানান দেয় সে।
সব চলে গিয়েছে ঘুমের দেশে।ঘুমপরীরা তাদের নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।হাজারো স্বপ্নের সমারোহ।লাল নীল স্বপ্নেরা ভীড় করে তাতে।
জেনেভা নিয়ে প্রথম পর্বটা [এখানে]
গত পর্বে আপনাদের সেলেভ মাউন্টেনে নিয়ে যাব বলেছিলাম প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি আপনাদের ইউথ হস্টেলে অনেকদিন ফ্রোজেন করে রাখার জন্য, আসলে কিছুই করার ছিলনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাডার বসানোর কাজে পাহাড়ে উঠা নামা করতে গিয়ে ছোট বেলার তৈলাক্ত বাঁশে উঠা নামা করা বান্দরটার মত অবস্থা হয়ে গিয়ে ছিল,
অমিতাভ দেব চৌধুরী
অনেকখানি সুদূর যখন একটুখানি নিকটের কাছে এসে বসে থাকে
তখনই,গানের জন্ম হয় ৷
তোমার মনে হবে,যেন ইরান থেকে আফগান সীমানা পেরিয়ে
অসংখ্য কাটাকুটির বলিরেখা- ছাওয়া বৃদ্ধ কাঁটাতার সাঁতরে
ওই গান,পাক-প্রহরীর ঘুমচোখ এড়িয়ে
দাঁড়িয়ে পড়েছে তোমার এই
শ্যামল নদীতীরের পারে মাঝির লোমহর্ষে ।
অনেকখানি গান যখন একটুখানি পাথরের কাছে এসে বসে থাকে
তখনই,ঝর্নার জন্ম হয় ।
স্তদ্ধ নিঝুম কোন একখানে সরব মানুষেরা ছিলো,
ছিলাম এই আমি।
জীবনের কোন কথা হয়নি,
এলোমেলো কথাগুলো পায়নি প্রান।
চোখে নেমে আসছে অলসতা, পৃথিবী বড় উদাস তখন।
সে দুপুরে মনে হয়েছিলো -
পৃথিবীতে নির্জন পরিসর কোথাও নেই;
নির্জনতা বাস করে মানুষের ভেতর।
সেই নির্জনতায় কোলাহল নেই, আলোড়ন আছে,
কৃত্রিমতা নেই, স্বাভাবিকতা আছে।
একাকী সেই নির্জনখানে যেক্ষণে আসবো আমি
সেক্ষণেই শুধুমাত্র আমি আমার,
ভেজা রোদ্দুরে হাটতে হাটতে আর যাই হোক ক্লান্তি আসেনা। ২১ শে জুন, ২০১১ সাল, আজ কির্তনখোলা নদীর ধারে লাইনটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আমার এটা সবসময় হয়, কোন লাইন কিংবা গান মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে।
“শব্দেরা কোথা হতে এসে হাত পা চেপে ধরে
আর আমার শুধু উত্তুরে হাওয়ার টানে
দিনমান বয়ে চলা
গ্রাসাচ্ছনে আরো জোটে সুপ্রাচীন চাঁদ, জল, আর খেরো খাতা।।”