কোথায় যাচ্ছ ভেকেশনে? মে মাস শুরু হতেই এই প্রশ্ন প্রতিদিন আমার কলিগদের মুখে মুখে থাকে। আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজদের যেমন প্রতি বছর ওমরাহ্ হজ্জ্বে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, সুইসদের কাছে ভেকেশনে যাওয়াটা অনেকটাই সেরকম। চলুন এই সামারে আপনাদের সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাই, আজকের গন্তব্য জেনেভা,প্রথমে একটা ভিডিও দেখতে পারেন জেনেভা শহরের
গানটা প্রথম শুনি তিরানব্বই এর গ্রীষ্মে। ছায়াচ্ছন্ন, পুরোনো একটা মফস্বল শহরের মায়াবী এক দুপুরে। স্কুল গরমের ছুটি। (হ্যাঁ, সেইসময়কার স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি বলে একটা ব্যপার ছিলো।) আমি সকাল থেকেই ঘাঁটি গেড়েছি এক বন্ধুর বাসায়। ওদের বাসা শহরের একেবারে মধ্যিখানে হলেও বাসার সামনে একটা আর পেছনে দুইটা পুকুর ছিলো। আর পেছনে প্রায় অন্ধকার জঙ্গলের মতো একটা বাগান। তাই পুরো সকাল আর দুপুরবেলা কেটেছে ওদের বাগান
বৃদ্ধির হার!
স্কুলে পাটিগণিতের সুদ কষার অংকের প্রথম পাঠই ছিল সুদের হার বা বৃদ্ধির হার। যদি বলা হতো সুদের হার ২ শতাংশ বা বৃদ্ধির হার ২; তবে লিখতে হতো ১০০ টাকায় ১ বছরে সুদ ২ টাকা বাড়ে। বা এক বছরে ১০০ টাকা বেড়ে দাড়ায় ১০২ টাকায়।
৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসিতে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার সেই চুপচাপ ছেলেটা সবাইকে অবাক করে দিয়ে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল।তারপর এইচ এস সি।তাক করানো রেজাল্ট।পাশ করে বের হবার পর আর যোগাযোগ হয়নি ইয়াদূলের সাথে ।
ভাষাহীন
_______________________
অমিতাভ দেব চৌধুরী
_______________________
________________________________
আমার নিজের কোনো ভাষা নেই,
আমি তাই প্রতিদিন তোমার ভাষার খোঁজে
রাতের আলখাল্লা আর দিনের পকেট চুরি করি ৷
চুরি করা পাপ ঠিক,কিন্তু ভাষাচুরি ?
ফুলচুরি চুরি নয় ,ভাষাচুরি তা-ই ৷
আমিও ডাকাত হই, কেননা আমার ভাষা নাই ৷
মাতৃভাষা ?তাকে যদি ভাষা বলে ধরি,
গতকাল রাতে যে হে মণিপুরী ছেলেটির
অমিতাভ দেব চৌধুরী
পাথর পড়ে থাকে পাথরে
আকাশ উড়ে যায় আকাশে
মাঝের জায়গাটা আলাদা
মাঝের পৃথিবী তো ছদ্মবেশ
অমিতাভ দেব চৌধুরী
বহুদিন পরে আমার ঘরের কোণে
আকাশের ঝারি বৃষ্টি তো অকারণে
নামলো এবং মেললো ঘরেতে পাখা
শেষে দেখি ঘর, ভুলে তার আংরাখা,
উড়ে যেতে চায় আকাশের মেঘলোকে...
চিৎকার করি ৷কাঁপি সে ঘরের শোকে
বলি, আয় আয়, পৃথিবীর ছবি তুই
আকাশ তো তোর মাটি নয়,শুধু মই ৷
মেঘলোকে এক দর্পণ রাখা আছে
তবু তারও বড় দর্পণ এই ঘাসে
শিশিরবিন্দু হয়ে কাঁপে থরোথরো
সেই দর্পণে নিজের মুখটি পড়ো ৷
অমিতাভ দেব চৌধুরী
আমার ভিতরে ছিল সুর,
আমি সেই সুর তোমাকে দিয়েছি ৷
তারপর থেকে ধু ধু সুরশূন্যতার পথেপথে
উটপাখিটির মতো ঘুরেছি কেবল ৷
ওদিকে আমার সেই সুর ততদিনে যেন
বাতাসে শিমুলতুলো, পেরিয়ে সকল কাঁটাতার,
সনাতন বাউলের হৃদয়-দুপুরে
হয়েছে উদাস ফেরিওলা
যতদিন তুমি ছিলে,
গানের চেয়েও বড় হয়েছিলে তুমি ৷
আজ তুমি অন্য দেশ,
হারানো সুরের খোঁজে পথ হাঁটি আমি ৷
অমিতাভ দেব চৌধুরী
শেষে ফিরে আসি নিজেরই ঘরের দ্বারে
পৃথিবী তখন ঘন মেঘে অচেতন
আমার ফেরার পথে জাগে অনাদরে
একটি কুকুর---দেবতার আয়োজন ?
[justify]
‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা..’
প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার ভাল্লাগে না.. একেবারেই না। তবু প্রতিদিন অসংখ্যবার অনেক ক’টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ক্যাম্পাসের চৌকাঠ মাড়িয়ে ঢুকতে কিংবা বেরুতে গিয়ে সম অথবা অসমবয়সী কারো ঠোঁটে ‘কেমন আছো’ নামের সরল জিজ্ঞাসাটি আমাকে আপাদমস্তক বিব্রত করে।
কেমন আছি আসলে? বেঁচেই তো আছি.. বেঁচেবর্তেই তো থাকি আমরা, কোনোমতে।