বিমলদা কে খুব মিস করছি বিগত দুই সপ্তাহ ধরে। মানুষটা কি এখনও বেঁচে আছে বাংলার কোন জনপদে? মহল্লার মোড়ের আলো ঝলমলে দোকানটা তো উঠে গেছে সেই কবে। দেয়ালে ছাঁটা পার্শ্বচিত্রের সেই সব সুকেশী রুপালি পর্দার নায়কদের অনেকেই আজ বয়সের ভারে কেশহীন।
আমি এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজে চড়িনি। আমার জানা নেই, উড়োজাহাজ যখন মেঘের মধ্য দিয়ে উড়ে চলে তখন যাত্রীদের পাখীর মত উপলদ্ধি হয় কি না। উড়োজাহাজে উঠতে না পারার আফসোস আছে বটে। আকাশ পথে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমার মনেহয় স্থল পথে, নদী পথে, সমুদ্র পথে ভ্রমণ বেশী উপভোগ্য হয়। তবে নিশ্চয় উড়োজাহাজে আরাম বেশী, সময় বাঁচে।
বেড়াতে যাচ্ছিলাম বউয়ের সাথে। বউয়ের বন্ধুবান্ধবীর একটি অনুষ্ঠানে, একসাথে হৈ চৈ আনন্দ যাত্রা। সেখানেই সেই ব্যাপারটির সুত্রপাত।
প্রথম দেখাতে খেয়াল করিনি অত। বাসে ওঠার সময় বউ তার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এক এক করে পরিচয় করাচ্ছিল, তখনই প্রথম দেখি ওকে এবং সৌজন্যের হাসি দিয়ে নিজের আসনের দিকে এগিয়ে যাই।
[justify]
ঘুম তাড়ানোর টোটকা হিসেবে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঝড়ের বেগে লেখা। গালমন্দ বেশি খেলে হয়তো আবার ঝড়ের বেগে মুছেও দিতে পারি।
কী আছে জীবনে, কন?
___________________________________
[right]'Death really did not matter to him but life did,
and therefore the sensation he felt when they gave their decision
was not a feeling of fear but of nostalgia...'
কর্মময় জীবন আর ভালো লাগিতেছে না। আসলে যে কাজ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিতেছি সেই কাজের প্রতি এক প্রকার অনীহা তৈরী হইয়াছে। 'কাজ' আমাকে পছন্দ করিতেছে না আমি 'কাজ'কে পছন্দ করিতেছি না। আমাদের অবনিবনার ফসল একরকমের বিবমিষা।
অ্যাবস্ট্রাক্টঃ স্বদেশ ছেড়ে মরার দেশে পড়ে থাকা পোড়া কপাইল্যা বলে একটা বিশেষ যে প্রজাতি আছে, তাদের মধ্যে অমাবস্যা-পূণ্যিমায় তথা চান্দে চান্দে বিবিধ ফান্দে পতনের কথা ছন্দে ছন্দে মাথার নানান রন্ধ্রে রন্ধ্রে জানান দিয়া থাকে। এমনতর শত শত ফান্দোপাদানের মাঝে শ্রদ্ধেয় শ্রীমতি ভাপা পিঠা অন্যতম। বিগত দশটি বৎসর যাবত এই শ্রীমতির ভাজ খুলে, আনন্দ দেখে, প্রেমের তর্জমা করার নিমিত্তে বহু দিনমানরজনী অতবাহিত হয়েছে। অবশেষে হপ্তাব্যাপি যথেষ্ট হাদুমপাদুম প্রদর্শনের পর বিগত শেষ রজনীতে তন্দ্রাযোগে পাওয়া সিস্টেমে শ্রীমতি ভাপা পিঠার চুনরি ম্যায় দাগ লাগানোর উপায় খুঁজে পেয়েছি। তার চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়, সে রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছি। তারই মহিমান্বিত বয়ান হবে আজকের মাহফিলে। সবাই বলেন আমিন।
'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'
এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।
খেয়াল করে দেখলাম, বর্ণবাদ ব্যপারটা পশ্চিমাদের মধ্যে প্রবল, এইরকম একটা ধারণা একচেটিয়াভাবে চালিয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে আছে। স্কটল্যান্ডে এক ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে বা অস্ট্রেলিয়ান আউটব্যাকের এক সার্ভিস স্টেশানে কে কি অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলো, সেইটা আমরা অনেকেই ফলাও করে বলি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে জামাই আদরে থাকা গোলাম আযমের খাবারের তালিকা দেখলাম আজ। ওটা দেখে ভীষণ রকমের অপরাধবোধ হলো। অপরাধবোধটা এলো তাদের কথা ভেবে, যারা অসহ্য কষ্টে দুবেলার খাবার যোগাড়ে হন্য হচ্ছেন। জন্ম সূত্রে তারা অপরাধী হয়েই জন্মেছেন। তাদের অপরাধ তারা হৃতদরিদ্র। দেশ- জাতি- ইতিহাস এসব বড় বড় বিষয়ের চেয়ে পেটের চিন্তাই এদের দিশেহারা করে রাখে সর্বক্ষণ। কিন্তু আশ্চ
মানুষ কেন লেখে? এই ভাবনার যে উত্তরটা আমি নিজের কাছ থেকে পাই তা হলো - মানুষের চুলকায় বলে লেখে। কথা কি অশ্লীল হলো? চুলকানি কি অশ্লীল হতে পারে? যেমন চুদুরবুদুর? চুদুরবুদুর অশ্লীল নয় বলে ঘোষণা এসেছে। আমার পড়াশোনা কম, ডিকশেনারি উল্টাই না বহুদিন। তাছাড়া দিনরাত যেসব শব্দ নিয়ে কারবার তা কেউ ডিকশেনারীতে খোঁজে না। তবে বুঝি চুলকানি শব্দটা কখনো কখনো সেমি অশ্লীল। ধরেন কারো কথা শুনে আমার ইচ্ছে হলো তার পাছায় একটা গদাম লাথি দিতে, অথচ ভদ্রতার খাতিরে দিতে পারছি না, সেক্ষেত্রে বলি- "কি রে ভাই, চুলকায় নাকি?"