সুশীল হবার অন্যতম একটা সমস্যা হলো মনের ভাবটা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারা। ভদ্র সমাজে অকপটে সব কথা বলা যায় না। ধরেন কাউকে দেখে আপনার বলতে ইচ্ছে হলো, "ওই শুয়োরের বাচ্চা, খা-পো, মা-চো, পাকিচাটা দালাল ছিল"। কিন্তু সেটা চেপে আপনাকে মসৃন স্বরে বলতে হচ্ছে, "লোকটা আদতে খুব বাজে ছিল, পত্রিকায় কুৎসা রটনা করতো, পাকিস্তানের সমর্থক ছিল...." ইত্যাদি। এত মোলায়েম কথায় পোষায় বলেন?
মধ্য বয়সে এসে এমন একটা ক্যাচালে জড়িয়ে পড়বেন স্বপ্নেও ভাবেননি খবিরউদ্দিন। বিশ বছর ধরে সরকারী চাকুরী করে যা কামিয়েছিলেন তা দিয়ে শহরে দুইটা বাড়ি তৈরী করে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। আরো দশ বছর এই চাকরীতে আরাম করে কাটানো যাবে।
১৯৭৫
-মারি আইসসোছ না? মারি ন আইউছ? মাইর হাইয়েরে মাইয়া ফোয়ার ডইল্লা ইক্কাই ইক্কাই হাঁদদদে না ব্যাডা? যা দুরো ইঁউত্তুন। মাইর হাইয়েরে আঁর হাঁছে নোয়াবি। চো**নীর ফোয়ার মাথা ফুডাই আঁর হাছে আবি। (মেরে আসছস, মেরে আসিস নাই? মাইর খেয়ে মেয়েমানুষের মতো কাদতেছিস? যা দুর হ এখান থেকে। মাইর খেয়ে আসবি না আমার কাছে, .....তার মাথা ফুডাই তারপর আসবি আমার কাছে)
প্রিয় ক্ষ্যাপা,
উত্তর লিখতে অনেক দেরী হয়ে গেল। ভেবে রেখেছিলাম জেলহত্যার বিশেষ দিনটায় তোমার জবাব দেবো। শুরুতেই বলছি, ধারণার মতো ভয়ংকর কিছু নেই যদি তা একমাত্র ধারণা হয়। এটা আমার কথা না, বিখ্যাত কেউ বলেছিলেন। আশা করছি এই চিঠি আমার সম্পর্কে তোমার সেই ভ্রান্ত ধারনার পায়ে কুড়োল মারবে।
জীবনটা বইতে ইচ্ছে করে না আর হাসানের। মনে হয় বিনা কারণেই বেঁচে আছে। আয়ু আরো হাজার বছর বেশি হলেও মনে হয় এ জীবন নিজের কোনো কাজে আসবে না। যে কবি বলেছিলেন, পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলই দাও, বাস্তবে তিনিই ছিলেন স্বার্থপর। অক্ষম আর ব্যর্থ একজন মানুষ। দারিদ্র্যের কারণে বিপর্যস্ত আর সমস্যা-সঙ্কুল জীবনে হয়তো কামনা করতেন, কেউ এসে তাকে সংকট থেকে উদ্ধার করুক। আর সেই অসাধু উদ্দেশ্য থেকেই হয়তো কোন
একটা সময় ছিল যতক্ষণ অফিসে থাকতাম ততক্ষণ ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতাম। মানে আমার পিসিটা সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্ত ছিল। এক যুগেরও বেশী সময় এই সুবিধা নিয়ে কাজ করেছি। অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইন্টারনেট ঘুরে বেড়াতাম। অগুনতি ওয়বের মধ্যে গুগল, ফোরাম, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদির ভেতরই সেঁদিয়ে যেতে থাকি ক্রমশঃ। বছরের পর বছর কেটে গেল, একটা সময় এসে দেখা গেল কাজের ফাঁকে ফাঁকে আর ইন্টারনেটে ঘুরছি না। ইন্টারনেটে
অনেক অনেক দিন আগে ফেলে আসা কৈশোরের সবচে' মধুর স্মৃতি হলো- আকাশ কালো। প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ছে। বিশ্বচরাচর ঝাপসা শাদা হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে, আর আমি আয়রন মেইডেন এর গান শুনছি। এই স্মৃতির সাথে যোগ করা যেতে পারে আমার তৎকালীন ফেভারিট হলদে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকা, আর খিচুড়ি প্লাস আচার প্লাস ডিমভাজা খাওয়া। উইথ আ লার্জ ড্যাব অফ টমাটো সস
[justify] একটা বায়না পাওয়া গেছে অবশেষে।
চৈত্র মাসটা খুব অকাজের। মাসের একেবারে শেষে চৈত্র সংক্রান্তি ছাড়া কোন পূজা পার্বণ নেই। এই মরা বাতাসের মাসে লোকে বিয়েশাদীর আয়োজনও করেনা তেমন। অগত্যা এমাসটায় ঢোলদুটো খুব আয়েশ করে ঘরের চালার সাথে বাঁধা শিকেয় ঝুলে দোল খায় অবিরাম। মাঝে মধ্যে নেংটি ইদুরের দল দাঁতের ধার পরখ করে দেখে ঢোলের ছাউনি আর সুতোয় কামড় বসিয়ে।
[justify](পূর্বাংশের পর)
শুক্কুর আলি যেদিন বিষ খেয়েছিলো সেদিন কী বার ছিলো সঠিক মনে করতে পারে না মোস্তাক মিয়া। সেবারই প্রথম মোশেদার প্রতি চোখ পড়েছিলো তার অথবা বলা যায়, সেদিনই প্রথম ভালো করে, মনোযোগ দিয়ে তাকে দেখেছিলো। সেদিন তার চোখে বিস্ময় নাকি মুগ্ধতা ছিলো তেমন ভাবে ব্যাপারটা ভেবে দেখেনি সে। মড়ার কান্না শুনেই হয়তো মোশেদাও গিয়েছিলো সে বাড়িতে। অবশ্য শোনা গিয়েছিলো শুক্কুর আলির মা নাসিমা নিজেই চায়ের চামচে করে দু চামচ বিষ মুখে