সাফি'র আজকের দিনটি কেমন যাবে পড়তে পড়তে এই ঘটনার কথা মনে পড়লো। তাই ভাবলাম এইবেলা এইটা লিখেই ফেলি।
[সতর্কতা : এটা নিরস কিংবা কাষ্ঠরসিক বুড়োদের সিরিজ।]
…
‘উঁহুরে... মরার মশা!’’
খালাতো বোনের একটা দুই বছরের পিচ্চি আছে, মাত্র কথা বলা শিখেছে, তার কথার যন্ত্রণায় মা অস্থির। একদিন পিচ্চিকে আমাদের ভাই বোনের হাওলায় দিয়ে বোন গেলো ঈদের বাজার করতে। আমরা তো মহাখুশি, এইটুকু পিচ্চি আবার গুটুর গুটুর কথা বলে, দারুন সময় কাটবে ভেবে। বোন আমাদের খুশি দেখে বললো, " বুঝবা মজা, ২ ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসতেছি, তোমরা ততক্ষণ টিকতে পারলে হয়, আমার তো খালি মনে হয় মুখ চেপে ধরি"। আমরা চোখ গরম করে বোনকে বিদায় দিলাম, কেমন মা? বাচ্চার কথা শুনে কই খুশি হবে, পিশাচীর মত কথা বার্তা। যাই হোক পিচ্চি এতক্ষণ বেশ সুবোধের মত ছিল, মা যাওয়া মাত্র তার মুখ খুললো এবং তার পরেই টের পেলাম সে কি চীজ। আমরা আবিষ্কার করলাম সে আসলে খুব বেশি কথা বলতে পারে না, মাত্র ২-৩ টা শব্দ, "কী এবং কেন"? যাই দেখে হাত তুলে জিজ্ঞ্যেস করবে এটা কী? যেভাবেই উত্তর দেই না কেন, তার প্রত্যুত্তর হচ্ছে কেন? ১০ মিনিটের মাঝে আমার এবং ভাইএর মাথা খারাপ হয়ে গেল। এত "কেন?" র উত্তর তো কোনদিন ভেবেও দেখি নাই।
[justify]এক.
সামান্য একটা বোতামের কাছে হেরে গিয়েছিল আবুল হোসেন।
গত অর্ধশতকে তার এরকম ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটা একবার ঘটলে দুর্ঘটনা বলা যেতো। কিন্তু পরপর তিনবার ঘটার পর মনে হলো এটা দুর্ঘটনা নয়, নিশ্চিত ষড়যন্ত্র।
রাজনীতির প্রতি তার কোন আগ্রহ বা যোগাযোগ ছিল না ৬২ কি ৬৬তেও। এমনকি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নিবিষ্ট মনে চাকরী করে যাচ্ছিল। কিন্তু জেলফেরত শেখ মুজিবকে তার বিশেষ পছন্দ হয়ে গেল। মাওলানা ভাসানীর চেয়েও ব্যক্তিত্ববান নেতা মনে হলো শেখ মুজিবকে। রাজনীতি না করলেও শেখ মুজিবের ভাষণের জন্যই তার শক্ত ভক্তে পরিণত হয় সে। ইলেকশনের সময় অফিস কামাই দিয়েও ভোটের কাজ করেছে সে(আসলে সিনিয়রকে ভোটের প্রচারের কথা বলে
[justify]
'শেষ রোদ এখন মাঠের পরে খেলা করে, নেভে।
ঝাউফল ঝরে ঘাসে...
সেইসব বাসনার দিনগুলো, ঘাস রোদ শিশিরের কণা..
নক্ষত্ররা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর।'
#জীবনানন্দ দাশ
______________________________________________
আমার লেখালেখি শুরু করার পেছনে রবিবুড়োর বিশাল একটা অবদান আছে। তবে ব্যপারটা সবাই যেইরকম ভাবছেন সেইটা না। প্রথম দিকে আমার সাথে ভদ্রলোকের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু আমি রবীন্দ্রনাথকে অপছন্দ করা শুরু করি ক্লাশ সিক্সে এসে। ভদ্রলোক সেই বছরের শুরু থেকেই আমার জীবন মো্টামুটি অতিষ্ঠ করে দেয়া শুরু করেন। আমি তখন ঢাকা থেকে গিয়ে এক মফস্বল শহরের একটা স্কুলে মাত্র ভর্তি হয়েছি- কায়দাকানু ...
অদ্ভুত ঝলমলে আকাশটা চোখের সামনেই বদলে কালো থেকে কালোতর হয়ে গেলো ধীরে ধীরে। অমন সুন্দর একটা দিনের শেষ বিকেলের মায়াবী আলোটুকু একটু একটু করে হারিয়ে গেলো সেই কালিমায়। এমন হঠাৎ বিনা বার্তায় মেঘলাকাশের আগমন! 'কী মাস এটা'? আজকাল দিন-মাস-ক্ষণের কোনো হিসাব মনে থাকে না। রাখতেও ইচ্ছে করে না। সব দিনই বৈচিত্র্যহীন, সব মাসই এক।
শোবার ঘরের লাগোয়া বারান্দা। অধিকাংশ সময় কেটে যায় এখানেই। সামনে...