কতদিন ভোরের বাতাসে কাঁঠাল পাতা ঝরতে দেখি না, কুয়াশা ফুঁড়ে বের হওয়া গাঙশালিকের দল কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে, মাথার উপরে সোনালি ডানার চিল ভর দুপুরে উড়ে না কেঁদে কেঁদে, চালতাফুল শিশিরের নরম গন্ধের ঢেউয়ে ভিজে না- কিন্তু আমি ভিজি, বছরের প্রতিটি দিন জীবনানন্দের কবিতা আমাকে সিক্ত করে, আপ্লুত করে, সেই ফেলে আসা চেনা জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ম পর্বে সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য, সেই আনন্দ থেকেই ২য় পর্ব পোস্ট করে ফেললাম পথে থেকেই, মোট ১৫টা আলোকচিত্র আছে এখানে। ইচ্ছামত মন খুলে সমালোচনা করুন। জানান কোথায় কমতি আছে। আর যদি আপনাদের ভাল লাগে, একটি ছবি দেখেও যদি নির্জনতম কবির নির্জনতর কবিতা মনে আসে, তাহলে ভবিষ্যতেও সিরিজটি চালু রাখার আশা করি, সবাইকে বিলেতের বৃষ্টিভেজা শুভে
দূর পৃথিবীর গন্ধে ভ'রে ওঠে বাঙালির মন
আজ রাতে; একদিন মৃত্যু এসে যদি দূর নক্ষত্রের তলে
অচেনা ঘাসের বুকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে,---
আমার বয়স হয়েছে। একটা বয়স ছিলো, সেই বয়সটার চরিত্রই হয়তো বন্য ষাঁড়ের মতো। ক্ষেপে ফুঁসে উঠার গুণে অমিত তেজোদৃপ্ত। সে বয়স আমারও ছিল, এখন নেই। রক্তে তেজ নেই, গতিতে জড়তা থিতু হবার অপেক্ষায়। এখন অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদী হই না, ব্যথা পাই। যা কিছু অশোভন মনে হয় নিজের কাছে, তা আর আমাকে ক্ষুব্ধ করে না, আহত কিম্বা বেদনার্ত করে।
[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে]
জন্ম: বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৩০৫; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯।
মৃত্যু: তার রচনা অমর।
================================
প্রতিটি মানুষ অচিরে মানুষ হয়ে নয়
তবু কারো খোঁপায় নিয়ে রোদের ক্ষয়
বরুণফুলের কাছে দাঁড়ানোর ইচ্ছে হয়
কয়েকটি নষ্ট-পাখি ভুল মার্চে চলে এলেবেলে আকাশ
মেঘের কালি ঈশ্বর লিখে গেছে কবে সেসব নাঙ্গা কাশ
পরিনির্বাণ বিষয়ক যা জানি
জানে অবশ্যই চুরি যাওয়া রেবতী
সুরমা মধুডাঙা অই ...
[justify]অ
এইসব কিছু বলতে ভালো লাগে না, তবু-ও পথ ছেড়ে জমিনে গিয়ে দাঁড়াই। কৃষকেরা আজকের মতো করে ঘরে ফিরে গেছে; আজ দিনটি সূর্যমুখী ফুলের মতো রোদের রঙ করে ছিল।
জমিন ছেড়ে আরো হাঁটি। আশা জাগে জমিনের অইপ্রান্তে যেখানে দিগন্ত আকাশের রেইনবো হয়ে আছে সেখানে একটি নদী থাকবে। রেইনবোটি চাতক পাখি হয়ে জলে চুষে যাবে নদীস্তন! হাঁটতে হাঁটতে তার কাছে দাঁড়াব। নদীর কাছে দাঁড়ালে মানুষ পাহাড় হয়ে যায়, ভিতরে।...