(তারিফ শেরহান শুভ)
০১।
যাব যাব করেই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছিল না। টার্ম ফাইনাল বা অন্য কোন কারণে না, স্রেফ অলসতার কারণেই এই ফাঁকিবাজি।
যাহোক, মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আজ সকালে মনস্থির করলাম, আজ আর না গেলেই নয়। আমার চেয়ে অবশ্য আমার ছোটভাই ফাহাদের আকুলি-বিকুলি বেশি। সে আমাকে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলো। এই লিস্ট অনুযায়ী বই কিনতে হবে। কোন প্রকার আঁতলামি বা অন্য কিছু গর্হিত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইডিয়াল স্কুলে পড়তাম। বাচ্চা ক্লাসে থাকার সময় স্কুলে কোনো অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রণ পত্র বিতরণ করা হতো ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে। মজার ব্যাপার ছিলো, আমন্ত্রণ পত্র দুই প্রকারের। একটা বেশভুষাহীন সাধারণ প্রিন্ট করা কাগজ, আরেকটা সাদা খামে মোড়ানো হার্ডকাভারে প্রিন্টেড। উন্নতমানের আমন্ত্রণ পত্র 'ডোনেশন' দিয়ে ভর্তি হয়েছে যারা তাদের জন্য। দপ্তরি পত্র বিতরণে এসে প্রথমেই ডোনেশনে ভর্তি হয়েছে যারা তাদের হাত উঁচ
অ
স্বাস্থ্য সকল সুখের মূলে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য দুপুরের খাবারের পর একটু ঘুমানো উচিত এই কথাটা আজকে আমার মনে পড়ল বিকেল সাড়ে চারটায়। যদিও মনে ছিল সন্ধ্যা ছয়টায় গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও তার দলবল তাদের অভিযান শুরু করবে তাও হাতে মেলা সময় আছে ভেবে স্বাস্থ্য মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য একটা ঘুম দিলাম এবং ঘুম থেকে উঠে টের পেলাম সোয়া ছয়টা বাজে।
[justify]বিকালবেলা সময় চারটার চৌহদ্দিতে ঢুকলেই মনটা আনচান শুরু করে। বারবার ঘড়ি দেখতে থাকি। অফিস শেষ সাড়ে চারটায়। তারপর যেতে যেতে আরও আধাঘন্টা কমপক্ষে, কাওরানবাজার থেকে শাহবাগ। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমার শাহবাগ ভ্রমণ প্রতিবার প্রায় প্রতিদিন ঘটতে থাকে। কারণ আর কিছুই নয়, বইমেলা। সাহিত্য কিংবা বই বিষয়ে আমার প্রাথমিক জ্ঞান নিতান্তই প্রাক-প্রাথমিক। তাই বলে এটা ভাববার কোনো অবকাশ নেই যে, আমি মূলত আমার জ্ঞানের কিংবা বই এর ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বইমেলায় যাই। আসলে এক অন্যরকম অনুভূতির টানে যাই সেখানে। এত্তএত্ত বই মিলে সেখানে যেন এক অন্যরকম প্রাণের আবহ। এক একটি অবারিত জগত যেন আটকে আছে বর্ণিল মলাট আর গ্রাফাইটের ভাঁজে ভাঁজে। সেগুলোর দিকে চেয়ে দেখতেও কেমন যেন এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। কেন করে জানিনা। তবে এই বইমেলাতে যাওয়ার সুবাদে এবং আমার কতিপয় অত্যন্ত পড়ুয়া বন্ধুর কল্যাণে আমি সাহিত্যের অনেক অজানা মনোমুগ্ধকর বিষয় কিছুকিছু অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছি। আর এরই টানে আমি হয়ত এখন মাঝেমধ্যেই ছুটে যাই বই এর দোকানে। বই দেখি, পাতা উল্টাই, লেখার ভিতরে লেখকের সত্ত্বাটাকে চেনার চেষ্টা করি। মানিব্যাগ সম্মতি দিলে সাথে সাথে কিনে ফেলি। কখনওবা ব্যাগভর্তি বই নিয়ে হাঁটার সময় নিজে নিজেই চমকে উঠি, খাইছে! কতগুলো কল্পনার জগত আমার এই হাতের মুঠোয়। নিজেকে আকাশগঙ্গা ভাবতে থাকি। আর বাসায় এসে তার গ্রহ-নক্ষত্র, তারকারাজি আর নীহারিকাপুঞ্জ আবিষ্কার আর উপভোগে তন্ময় হয়ে যেতে থাকি।
গত দুদিন ভীড়, আগামীকাল হরতাল, আজকে তাই মেলা একেবারেই শান্ত। লোকজন নেই বললেই চলে।
এতবছর ধরে একুশের বইমেলা হয়...
তিন দিন পার হয়ে গেলো, কাজের ব্যস্ততায় ঢাকায় থেকেও বইমেলায় যেতে পারলাম না, মেজাজটা খারাপ ছিলো। তাই শুক্রবারে সকাল থেকে সাজ সাজ রব, বইমেলায় যাবো। নূপুর আর নিধি বিরাট এক সচল বাহিনীর সাথে পুরান ঢাকায় ঘুরতে গেছে। নিজের বউ নাই কী আর করা... পরের বউ নিয়েই মেলায় গেলাম... সঙ্গী রোয়েনা
অ
ফেব্রুয়ারী মাস কে নানা কারণে ভালু পাই এরমধ্যে অন্যতম হল বইমেলা। বইমেলা কে কেন ভালু পাই এই জাতীয় কাউন্টার ন্যারেটিভ ডির্সকোর্সে না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে পারি নতুন বইয়ের গন্ধ ভাল লাগে, মানুষ বই কিনছে এইটা দেখে ভাল লাগে। আর এত এত নতুন বই আর নতুন বই কেনা মানুষ বইমেলা ছাড়া কই পাওয়া যাবে বলেন তাই বইমেলা ভালু লাগে।
আ