বর্ষা নামলেই
অভব্যের মতো কাব্য করতে বসে যায়
ওরা-
কেন ! বৃষ্টি তো নিজেই কাব্য !
১
অনেকদিন আগে দেখা এক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিতে কমেডিয়ান দুর্দান্ত একটা কথা বলেছিলেন রসিকতার ছলে। কথাটা অনেকটা এমন ছিলো, মানুষজন হিটলারের প্রতি যতোটা না আক্রোশ বোধ করে তারচেয়ে বেশি আক্রোশ বোধ করে বাসে চুপিসারে যে পকেটমার তার পকেট মেরে দিয়েছিলো তার উপর। "ঈশ! শালারে যদি হাতের কাছে পাইতাম"- বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা এমন অনুভূতি আমরা হিটলারের উদ্দেশ্যে বোধ করিনা, বোধ করি পকেটমারের প্রতি।
১. গত ১৭বছরের ইতিহাসে বারমুডায় খতরনাক খরা মৌসুম চলছে। বৃষ্টির দেখা নেই। অভিমানে মেঘ উড়ে উড়ে চলে যায়, বৃষ্টি হয়ে নামে না। উঁচু স্থানে বসবাসকারীদের সকলের পানির ট্যাংক প্রায় শূন্য। চাহিদা মেটাতে পারছেনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ। গরম অসহ্য। হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার করে নেমে এলো বহু প্রতীক্ষিত সেই বৃষ্টি! এক নিমিষে সমস্ত গ্লানি, খেদ সব তাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল অতলান্তিক সাগরের গভীরে।
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!
সকালে উঠেই ফেসবুকে ঢু মারি। চারিদিকে সুখী আমেজ। জি.দাসের পেজে 'লাইক' দেয়া আছে। উৎকৃষ্ট কোটেশন গুলা তুলে নিয়ে আসে। চট করে পড়ে নিয়ে আরেকবার দায়সারা 'লাইক' দেই। বন্ধুবান্ধবদের কারও মন খারাপ, কেউ চমৎকার সব ছবি তুলে সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছে, ভেতরে একটু হিংসা ভাব চাড়া দিয়ে উঠলেও তা দমিয়ে লাইক বোতাম খুঁজি দ্রুত।
বিকেলটা ঘাপটি মেরে বসেছিল মেঘের আড়ালে। দুপুর গড়িয়ে দিনটা তাই সরাসরি সন্ধ্যার কবলে। আষাঢ় বিকেলে মেঘের অন্ধকারই সত্য। বৃষ্টির সাথে বুনো গন্ধ বাতাসে ভর করে ছুটোছুটি। এইসব দামাল চঞ্চলতা আজকাল কপালে বিরক্তির কুঞ্চিত রেখা বৃদ্ধি করে। লাঠি ঠুকে ছাতার ভারসাম্য রেখে বয়সী শরীর বর্ষা প্রণয়ে অক্ষম। শরীরটা নিরাপদ আশ্রয়ে স্বেচ্ছা-বন্দী।
এলোমেলো কিংবা মনোরম শব্দগুচ্ছে প্রকাশিত এমন এক মাধ্যম, যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনেক অনুভূতির অনুরণন, অনেক আনন্দের কোলাহল কিংবা হতাশার চাপা দীর্ঘশ্বাস। কখনো এটি বয়ে আনে কারো শেষ বিদায়ের কান্নাভেজা খবর । ছোট্ট শব্দের এই মাধ্যমটির নাম চিঠি! যদিও আজকাল হাতে লেখা চিঠির চল প্রায়ই উঠে যেতে বসেছে তারপরও নিভুনিভু করেও প্রদীপের ক্ষয়িষ্ণু সলতেটির মত জিঁইয়ে আছে চিঠি নামের আবেগময় এ মাধ্যমটি।
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
নিজ পরিচয়ে সচলে নিবন্ধন করলাম। লেখালেখি কবিতা দিয়েই শুরু হোক।
পৃথিবী প্রসবের গান
যিশু মহমমদ
০১.
গন্তব্যের কথায় প্রায় প্রতিটি জুতাই সন্দেহ প্রবণ। আর আমরা যারা হাঁটতে শিখেছি, পায়ে
ডানা লাগিয়েছি হাঁটতে, তাঁরা কেউই রজনীর ভিতর খয়েরি আভিশাপের জানালাটা ছুঁই নি।
আমরা কেউই পার হতে পারিনি ধূর্ত কালোজামের ঠাট্টা। ছোটবেলার গন্ধের ভেতর ঝাঁক ঝাঁক