Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

এরশাদাদু (৭০ বছর বা তদুর্দ্ধ)

রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০১২ - ৯:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছুটির দিন ঘুম ভেঙে মনে হয় ঢাকা শহরেই আছি। শুয়ে আছি আমার ছোট চিপা রুমে চিকন খাটে, জাহাজের দোকান থেকে কেনা বক্স খাট। ঐসব দোকানে নাকি জাহাজের ফার্নিচার থেকে চেয়ার টেবিল তৈরি হত, দাম ভারি সস্তা। আমাদের তিন ভাইয়ের জন্য তিনসেট করে খাট আর পড়ার চেয়ার টেবিল কেনা হয়েছিল পান্থপথের জাহাজের দোকান থেকে। সেই খাটে শুয়েই ঘুম ভাঙল এইমাত্র, উপরে ঘটঘট শব্দে ফ্যান ঘুরছে। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল শুক্রবার সকাল। দশটা মত বাজে। উঠতে হচ্ছে, বাজারে যেতে হবে আব্বার সাথে।


মোগলাই খানাদানা - শেষ পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৫/০৮/২০১২ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

মোগল সম্রাটদের মধ্যে তৃতীয় আকবরেরই প্রথম হিন্দুস্তান পছন্দ হয়। পিতামহ বাবুরের মত তিনি ভারতের আদব লেহাজ কায়দা কানুন দেখে নাক সিটকে ছ্যা ছ্যা করেননি, হারানো মধ্য এশিয়ার ফেলে আসা ঘরের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার বদলে তিনি সুগঠিত মোগল হিন্দুস্তান গড়ার দিকে মন দেন। এই করতে গিয়ে তিনি বাপদাদার পলিসি বদলে দিতে থাকেন। প্রচুর হিন্দু মন্ত্রীমিনিস্টার দরবারে আনা হল, বাবুর হুমায়ুনের আমলে যত ছিল তার প্রায় কয়েকগুণ। ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর বাতিল করা হল, রাজস্থান হাতড়ে যে সব হিন্দু বউ তিনি ধরে এনেছিলেন তাদের হারেমে নিজস্ব কোয়ার্টারে দেবদেবী পূজা করার অনুমতি মিলল। মাঝে মাঝে তিনি তাদের সাথে দিওয়ালিও উদযাপন করতেন।


সম্পাদিত জন্মতারিখ – জন্ম থেকে জ্বলছি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৫/০৮/২০১২ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনামে একটু সংশোধন আছে, আসলে হবে আমৃত্যু জ্বলবো। আমাদের প্রজম্নের বেশীরভাগই ( তার আগে/ পরের ও হয়ত ) , মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত দুটি জন্মদিন পেয়ে গেল। সত্যিকারের জন্মদিনের পাশাপাশি সার্টিফিকেট জন্মদিন, যা বেশিদিন সরকারি চাকরির বা সেশনজট পেরিয়ে বেশিবার ধরে বি.সি.এস দেবার সহায়িকা। যখন নিজের মত করে ভাবার বয়স হয়নি এসব নিয়ে, তখন মনে মনে খুশিই লাগত। আমার চালাক পিতা-মাতার এহেন পরিণামদর্শিতা (!) দেখে ভাবত


রাইজ অফ দি ফিনিক্স

তারাপ কোয়াস এর ছবি
লিখেছেন তারাপ কোয়াস [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৮/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ আগেই সেলফোনে টুংটুং শব্দ। ক্ষুদে বার্তার আগমন। ও জানে কি আছে সেখানে। তাই আর কষ্ট করে পকেট বন্ধী বার্তা দেখার কোন আগ্রহ দেখা যায় না ওর ভেতর। দেরী না করে বাইকের চাবি ঘুরিয়ে গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই অপেক্ষা করছে এই দিনটির জন্য।


(টেলি)টক-ঝাল-তিক্ত কাব্য

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০৭/২০১২ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর সাতেক আগে প্রথম যখন টেলিটকের সিম বাজারে ছাড়া হলো, আমার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই প্রায় চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সিম সংগ্রহ করেছিল। এমন না যে সেই সময় মোবাইল ফোন একটা দূর্লভ বস্তু ছিল, বা অন্য অপারেটরদের কল-রেট অনেক বেশি ছিল। তবে টেলিটকের একটা সংযোগ কেনার জন্য কেন এত ব্যাকুলতা? ফ্রি টিএন্ডটি ইনকামিং, অতিরিক্ত চার্জ না দিয়েই টিএন্ডটি আউটগোয়িং ইত্যাদি নানা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটি সবচেয়ে বড় কারন মনে হয়েছিল তা হচ্ছে "এটা আমাদের ফোন!" সম্পূর্ণ দেশি এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিজেদের ফোন! নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম নিয়ে আমরা সহসাই প্রশ্ন তুলি। কিন্তু সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল স্বার্থের পাশাপাশি দেশপ্রেমও একটা বড় কারন এই রাতভর অপেক্ষার!


ক্লিনিক-এ-আরিফগ্রাফিঃ এসো শিখি HDR (টোনম্যপিং-এর ক্যাম্নেকি)

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: সোম, ৩০/০৭/২০১২ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্বেই কইছিলাম যে সমস্ত পক-পকান্তিস শ্যাষ। এখন কাজ হাতে কলমে। এই পর্বে আপনাদের সামনে নায়িকারে ঘষা-মাজা দেওনের পয়লা স্টেপটা দেখামু। আমাদের হাতে আছে ক্যাম্রা, কম্পুতে আছে কতগুলা সফটওয়্যার আর মাথায় আছে ক্যাম্নে কইরা আলাদা আলাদা এক্সপোজারে Image Bracketing কর্তে হপে। এখন আমাদের জানা লাগবে এইসব Bracketed Image গুলারে ক্যাম্নে কইরা HDR ইমেজে মার্জ করা লাগে আর Tone Mapping কইরা ক্যাম্নে এইগুলারে মানুষ বানান যায়।


ইঁদুর বিড়াল - ১

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ৩০/০৭/২০১২ - ৬:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় পাঠক আজ আপনাকে পড়া থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম। প্লে বাটনে চিপি দিয়ে ভল্যুম বাড়িয়ে পিছনে হেলান দিয়ে দেখুন আওরঙ্গজেব আর শিবাজীর কিচ্ছা। সম্পূর্ণ রঙ্গীন।

ভিডিও ব্লগিং আনন্দময় হউক।


সচলাড্ডা অথবা ঘুরে এলাম মদিনা

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১২ - ২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডালাস এয়ারপোর্ট থেকে বেরুতেই সারা শরীরের চামড়া প্রতিবাদ করে উঠলো। ইকি গরমরে বাবা, শইল্লে টর্চবাতি মারে কে। তৈলাক্ত ডালাস এইরকম বিশ্রীরকম উত্তপ্ত জানা ছিলনা, তৈলাক্ত সৌদি আরবের মতই অবস্থা। মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনা গানের বাউল এখন কোথায় কে জানে, উনি ডিভি নিয়া মার্কিন মুল্লুকে আসলে ডালাসে মুভ করতে পারেন। মদিনার মতই অবস্থা।


ম্যালয়আর বিষয়ক আবজাব স্মৃতিচারণ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ১৪/০৭/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... যাইবার কালে নিয়তি এমন এক দান দিল। কেউ ভাবেও নাই। প্রথমে প্রচুর ধুয়া দেইখা বাইর হইলাম, বিয়াপক আনন্দের সহিত। দেখলাম তারা ভাগছে। তারপর দেখলাম, নাহ, একটারে রাইখা গেছে। সিনন। সে কয়, তারে নাকি তার লোকেরাই বলি দিতে চাইছিল, যেহেতু সে লুকাইতে পারছে, জীবিত এখন। ওকে। কিন্তু ঐটা কী!


মোগলাই খানাদানা - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসন্তকাল, ১৬৪১। দুই পর্তুগীজ পাদ্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের এক চমকদার প্রাসাদের গ্র্যান্ড রিসেপশন রুমের লাগোয়া ব্যালকনিতে। প্রাসাদের মালিক মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম কুতুব আসফ খাঁ, আরজুমান্দ বানু বেগম ওরফে মুমতাজ মহলের পিতা।

ঐ সন্ধ্যায় আসফ খাঁ আর তার বউ মহান বাদশা শাজাহানকে চাট্টি ভাত খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। লুকিয়ে ব্যালকনি থেকে দুই পাদ্রী এই ব্যাপক খানাদানার আয়োজন দেখতে থাকেন হাঁ করে। ঝলমল করছে সিল্কি রূপালি সোনালি জরির কাজ করা কার্পেট, চতুর্দিকে মৌমৌ করছে সুগন্ধী আতরের বাস। রুমের ঠিক কেন্দ্রে মিহি মসলিনের কাজ করা টেবলক্লথ আর তার চারধারে নানবিধ কুশন। সোনামোতির হার গলায় ঝুলিয়ে রুমে ঢুকলেন মহান মোগল সম্রাট, আগেপিছে দাসীবান্দি সহকারে। কুশনে আরাম করে বসে সকলে হাত ধুয়ে নিলেন অত্যাধিক কচি ও ততোধিক সুন্দরী দাসীদের এগিয়ে দেওয়া পানিপাত্রে।