তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সাধারণ গণিতে ৬৫ পেয়েছি। সব বিষয়ের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। উচ্চতর গণিতে কোনমতে পাস করেছিলাম শুধু। বাবা-মা দু’জনই মহা দুঃশ্চিন্তায়। এহেন অবস্থা থাকলে তো ছেলেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পাওয়ানো প্রায় অসম্ভব! কাজেই, আমার স্বল্প আয়ের বাবা আমাকে অংকের টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক-গ্যাসের বিল, স্কুলের বেতন- এসব দিয়ে মা’র হাতে সেসময় সর্বসাকুল্যে ৪০০০ টাকার মত থাকত- সারা মাস ৪ জনের এ পরিবারটিকে চালিয়ে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে এখন যোগ হল ৮০০ টাকা- মানিক স্যারের মাইনে।
লেখক হুমায়ুন আহমেদ প্যারা-নারম্যাল ধারনাগুলিকে, বিশেষ করে ইএসপিকে (এক্সট্রা সেনসরি পারসেপশন) তাঁর পাঠকদের কাছে একসময় বেশ জনপ্রিয় করেছিলেন। আমার মনে আছে ছাত্র জীবনে আমি নিজেও ইএসপির ব্যাপারে খুব কৌতূহলী ছিলাম। গুগলে অনেক তথ্য পাওয়া গেলেও উইকিপিডিয়ার মত সকল-তথ্যের-ভান্ডারের কথা তখন তেমন একটা জানতাম না।
যাই হোক, ইএসপি নিয়ে আমার একটা মজার ঘটনা দিয়ে শুরু করি। তখনও পড়াশুনা করছি...