একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক (খুব সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে অর্থাৎ প্রশ্ন আর তার উত্তরের মাঝে কাউকে খুঁজতে যাওয়া অনেকটাই বোকামি। কারণ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যদি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন তাহলে শত প্রশ্ন করেও তাকে বের করা সম্ভব নয়। তারপরও লেখকের সততার উপর আমরা আস্থা রাখি বলে সাক্ষাৎকার গ্রন্থগুলো আমাদের প্রিয় পাঠ্য হয়ে ওঠে। একজন লেখককে অামরা সাধারণত দুভাবে চিনতে কিংবা জানতে পারি। এক তার লেখা আর
বন্ধু মোস্তাফিজ আমাকে আহমদ ছফার এই লেখার খোঁজ দিয়েছে। দুর্দান্ত লেখা! ছফা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রত্যেকটি দিক নিয়ে মনে হয় আলাদা আলাদা লেখা দেয়া যাবে। এই মুহুর্তে আমার মনে ধরেছে নিচের অংশটুকু।
০।
এই লেখাটিকে মোটাদাগে কোন 'পাঠ প্রতিক্রিয়া' বলা যাবে না নিশ্চয়ই। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পাঠক পঠিত গ্রন্থের উপর একটা চমৎকার আলোচনা আশা করেন। সেরকম কিছু আশা করলে বিজ্ঞ পাঠককে হতাশ হতে হবে। কেননা "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ার পর থেকেই অনেকদিন ধরে জমে থাকা কিছু কথা ভাষায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কীবোর্ডটা আকুপাকু করছে। কিন্তু কিছুতেই লেখাটা গুছিয়ে নিতে পারছি না। আমি আসলে কাকে ফোকাস করে লিখবো- আহমদ ছফাকে, প্রফেসর রাজ্জাককে না সরল অর্থে এই বইটাকে? তার উপর আহমদ ছফা ও এই বইটির পূর্বাপর নিয়ে সচল শুভাশীষদা এতো চমৎকার একটা সিরিজ লিখেছেন, যে এরপর কিছু বলতে যাওয়াটাই বাহুল্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু য়ামাদের গুরু তো অনেক আগেই বলে গিয়েছেন, "ওরে প্রাণের বাসনা, প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি"। সেই ভরসাতেই লেখাটায় হাত দিলাম। ভুলত্রুটি কিছু হলে বিজ্ঞ পাঠক ক্ষমাসুলভ দ্ষ্টিতে দেখবেন, এইটুকু আশা করতেই পারি।
[justify]আহমদ ছফার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩০শে জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম হেদায়েত আলী ওরফে ধন মিয়া। মা মরহুমা আসিয়া খাতুন।
বাংলা আমাদের মুখের ভাষা। লেখার ভাষা। এই ভাষার শ্রী বাড়ানোর কাজে লেখক কবি গবেষকেরা বিস্তর অবদান রেখেছেন। তবে সব দিক দিয়ে একটি ভাষার যেভাবে এগোনো প্রয়োজন বাংলা ভাষা সেইদিকে এগিয়ে গেলেও কয়েক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে। বিজ্ঞানশিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষায় ও গবেষণায় বাংলা ভাষার ব্যবহার এখনো কম। স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষায় এদেশে ইংরেজি ভাষার উপর নির্ভরতা বেশি। বাংলায় অনুবাদ সাহি ...
[justify]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ। বইটা প্রথম পড়ি ২০০১ সালে। কেবল নাম দেখেই কিনেছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ অদ্ভুত ছিল। কাঁধে পাখি নিয়ে ছফার একটা ছবিও ছিল প্রচ্ছদে। বাসায় গিয়ে পড়তে শুরু করি। আমার সামনে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। উপন্যাস আত্নজীবনী সব মিলে ছফা একটা ভিন্ন জগৎ তৈরি করেছেন। এক একটা পাতা পড়া শেষ হয় আর আমি ভাবতে থাকি এই সহজ কাহিনী একজন মানুষের পক্ষে লেখা কিভাবে সম্ভব...