আমার অনেকগুলো বন্ধু আছে যাদের বয়স ধরতে পারেন ১০-এর নিচে। বন্ধু হিসেবে ওরা অত্যন্ত চমৎকার, কিন্তু সমস্যা হয় বন্ধুত্ব শুরু করা নিয়ে। লাজিমার কথাই যদি বলি- তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে অনেক কষ্টে। তখন তার বয়স মাত্র চার। উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলতে বলতে তাকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়ার পর সে কিছুক্ষণ চিন্তা করে উত্তর দিল- “তুমি আমাকে রাতে ফোন দিও। আমি তখন জানাবো”। রাতে তার মার মোবাইলে ফোন দেয়ার পর বললো, “উফ্, আমি তো এটা এখনো ভাবি নি। তুমি আমাকে কালকে ফোন দিও”। কী আর করা! পরেরদিন সকালে ফোন দেয়ার পর সে আরেকটু চিন্তা করে বললো, “ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তখন আর কী করা!” সেই থেকে লাজিমা আর আমি বন্ধু। বন্ধুত্বের খাতিরে আমি তাকে মাঝেমাঝে ফোন করলেও তার দায়িত্ব শুধু ফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেই তখন থেকেই সে মাঝেমধ্যে কার্ড পাঠায়। ফেসবুকেও যোগাযোগ আছে তার সাথে। আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একজনই আছে আত্মীয় হিসেবে- সে আমার ভাগনী- লাজিমা।
আমি তখন ছোট, সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। আজকালকার ত্যাদর বাচ্চাদের মতন আমি মোটেও ত্যাদরামি করতাম না। আমার এখনো মনে আছে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়া নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম। নতুন স্কুল জামা পরে আপুদের মতন স্কুলে যেতে পারছি- এই আনন্দে আমি ছিলাম আত্মহারা। প্লে-গ্রুপে আমার ক্রমিক নং ছিল ৭৩, সেকশন বি, কেজিতে উঠে হয় ১২, সেকশন এ। তখন শিশু মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো এ সেকশনে ‘ভালো’রা আর বি তে ‘মাঝারী’রা আর
মনের সাথে মনের মিল, প্রাণের সাথে প্রাণ,
বুকের মাঝে আয়রে সখা, আয় ধরি সেই গান।
ছোট্টবেলা নদীর ধারে, জলের মাঝে পা দুলিয়ে,
গান জুড়োতাম গলা ছেড়ে। সময়টা দেয় সব ভুলিয়ে।
তবু ভুলিনি সেসব স্মৃতি, শতকথা তোমার-আমার।
বুঝিনি তখন বন্ধুত্ব কী, গুরুত্ব কী তোমার।
ঝড়ের রাতে আম কুড়োতাম মজিদ মিয়ার বাগে;
ফিরলে বাড়ি, কান মলুনি দিতেন মা রাগে।
সন্ধ্যেবেলা জ্বরের ঘোরে কেঁপে কেঁপে মরি,
চুরি করে এনে দিতে জ্ ...
হঠাত্ বালিশ নিয়ে এতো গবেষণা কেন ? এর পিছনে একটা গল্প আছে ।
মাস দেড়েক আগে আমার ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল বিধায় সাত দিন যাবত্ আমাদের সিসিমপুর গোষ্ঠীর দেখা সাক্ষাত্ হয় না । ইকড়ি, শিকু, হালুমকে খুব মিস করছি । অসম্ভব খারাপ লাগছে ইকড়ির জন্য (ইকড়ি আমার একমাত্র বন্ধু, সবচাইতে কাছের জন । আমাদের বন্ধুত্বের কাছে গিলগামেশ আর এনকিদুর বন...