বর্ষা নামলেই
অভব্যের মতো কাব্য করতে বসে যায়
ওরা-
কেন ! বৃষ্টি তো নিজেই কাব্য !
…
নীলডুবো জলের কাছে বললাম-
আমাকে তোমার আলোটুকু দেবে ?
একদৃষ্টে আমার দিকে চেয়ে জল বললো- এই নাও, সাবধানে রেখো।
জলের আলোয় রাঙা হেঁটে হেঁটে আমি
ঠিক পাহাড়টার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। পাশ থেকে
এক প্রাচীন বৃক্ষ ডেকে উঠলো- ‘সবুজ পাখি শোনো,
পাহাড়ের কাছে কিছু চাইতে যেয়ো না যেনো !’
আকস্মিক বিস্ময় চাপা থাকে না কারো, উত্তর এলো-
প্রাগৈতিহাসিক দুঃখ বুকে বৃষ্টিভেজা পাহাড়টাকে
বুঁদ হয় ...
…
কথায় কথায় ‘দিব্যি’ টানা ঠিক নয়। তবু
মেয়েটি, ছেলেটির কোন অক্ষমতাকে নয়, বরং
অনির্ণীত সামর্থ্য আর অপরিমেয় সম্ভাবনাকেই জিম্মি করে দিলো
সমুদ্রের দোহাই টেনে।
মেয়েটি কি জানতো, ছেলেটি সমুদ্র আর সমুদ্রের
অপার্থিব জগতটাকে অসম্ভব ভালোবাসে ?
সমুদ্রের গভীর নীল জলে সে শুধু মেয়েটির প্রতিচ্ছবি
দেখতো বলেই কিনা কে জানে,
পড়ন্ত বিকেলের ধুসর আলোয় চুপ করে বসে থাকে
বিষণ্ন সৈকতের প্রান্তসীমা...
…
কখনোই বলে নি সে- ভালোবাসি,
ডুবু ডুবু চোখে জ্যোৎস্নাকে ঘৃণা করে চাঁদেপাওয়া অক্ষরের শুদ্ধতায়
সে কোন্ ইচ্ছের ক্রন্দন শুনেছে সে বহুকাল? কেউ কি জানতো,
জ্যোৎস্নাকে ঘৃণা করে করে জ্যোৎস্নার নীল জলে একদিন ডুব দেবে সে !
না-পাওয়ার যন্ত্রণা পাথর-বন্দী হলে পাওয়ার কষ্টেই ইচ্ছেরা কাঁদে।
হয়তো সে জেনেছিলো- জলের অক্ষর জলে মুছে না কখনো,
জ্যোৎস্নার কষ্টও জ্যোৎস...
…
কবিতা লিখতেই হবে এমন কথা নেই
কিন্তু অসভ্য বর্বরের মতো বসে থাকবো কবিতাহীন
এটা কী করে হয় !
মানুষ আর প্রাণীর ফারাকটা অস্পষ্ট হলেও
যেটুকু স্পষ্টতা তা কবিতার জন্যেই।
সেই থেকে প্রাণপণে কবিতাকেই খুঁজি।
রমনা পার্কে সেদিন কেউ কবিতা কবিতা বলে ডেকে ওঠতেই
বুকের ভেতরের নদীটা গুমড়ে ওঠলো। পাড় ভাঙার শব্দে
চমকে তাকালাম ! মেয়েটির নাম কবিতা। এখন যার আলিঙ্গনে আবদ্ধ,
একটু পরে অন্য কেউ স্থান ...