ছোটখাট সাইজের ছবি ব্লগ, সাথে যথারীতি ক্যাপশন ফ্রি
বিশাল সাইজের ছবি ব্লগ, সাথে ক্যাপশন ফ্রি
[justify]
আগের পর্বে আমরা লিন্ডসে সাহেবের গল্প শুনেছিলাম। এবারো লিন্ডসে সাহেব থাকবেন কিছুটা তবে শুরু হবে তারো আগে থেকে। এই অঞ্চলে সিমেন্টের অপর নাম বিলাতি মাটি। বিলাতি মাটি উৎপাদন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চুনাপাথর ছিলো গৃহ নির্মানের অত্যাবশ্যকীয় উপকরন এবং বৃটিশপূর্ব যুগে সমগ্র পূর্বভারতে এই অত্যাবশ্যকীয় উপকরনটি সরবরাহ হতো সিলেট থেকে- আরো সুনির্দিষ্টভাবে ছাতক থেকে। জৈন্তিয়ারাজ্য সীমানাবর্তী হলেও ছাতক সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান ছাতক উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সেসময়ের ছাতক।
১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর নবাব মীর কাশেম ও ইস্ট ইন্ডীয়া কোম্পানীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির একটা শর্ত ছিলো –
'কোম্পানীর গোমস্তাগনকে তিনবৎসরের জন্য সিলেটে প্রস্তুত চুণের অর্ধেক অংশ সরকার অথবা দেশীয় লোকদের নিকট হইতে এলাকার বাজার দর হিসাবে ক্রয় করতে হবে। জিলার প্রজা সাধারনকে কোন নির্যাতন করা যাবেনা’
।
[justify]
তার আগে থ্যাকারে সাহেবের গল্প শুরু করা যাক।
১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে আসার সাথে সাথেই সিলেট চলে আসে ইংরেজদের অধিকারে। ঢাকার কাউন্সিলর প্রথম দিকে সিলেট শাসনের দায়িত্বে থাকলে ও দূরত্বের কারনে পরবর্তীতে আলাদা প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ১৭৭১ সালে মিঃ সামনার প্রথম কোম্পানী প্রতিনিধি হিসেবে আসেন। সামনার ছিলেন মুলতঃ রাজস্ব সংগ্রাহক, ছিলেন সামান্য কয়দিন- তার তেমন উল্লেখ পাওয়া যায়না।
সামনারের পর আসেন মি: থ্যাকারে ১৭৭২ সালের অক্টোবর মাসে। সিলেট জেলার প্রধান রাজস্ব আয় ছিলো চুনাশিল্প থেকে। ইছাকলস( ছাতক) ও লাউড় (তাহিরপুর) পরগনায় পাথর পুড়িয়ে চুন বানানো হত। মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর এনে জমানো হতো পাড়ুয়াতে( বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ থানা- কোম্পানীর বাজার হিসেবেই কোম্পানীগঞ্জ)। ইছাকলস ও লাউড়ে তৈরী চুনার পাইকারী আড়ত ছিলো ভাটির আজমিরীগঞ্জবাজার। আজমীরি থেকে মেঘনা নদী হয়ে একেবারে কলকাতা, পাটনা। মীরকাশেমের সাথে ইংরেজের যে চুক্তি হয় সেই চুক্তিতেও সিলেটের চুনাশিল্পের বন্দোবস্ত নিয়ে আলাদা কথাবার্তা ছিলো।
…
[স্বীকারোক্তি : এটি একটি ছবিযুক্ত দীর্ঘ আর্কাইভ-পোস্ট। তাই অখণ্ড পোস্টের দীর্ঘতার জন্য পাঠক উদাস হয়ে গেলে লেখককে দায়ী করা চলবে না। হা হা হা !]
[justify]
লীলাময়ী লালাখাল
এবং জাফলং খুন হলো।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দী-ঈ-ঈ-ঈর্ঘ পোষ্ট!
আমার ছোটবেলাটা কেটেছিল এই পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর বাড়িটায়!
সিলেটের এম সি কলেজের প্রিন্সিপালের বাংলো আমার দেখা এই পৃথিবীর সবচাইতে চমৎকার বাড়ি।
ব্লগার "দুখী মানব" এর সাথে অনেক দিন ধরেই ফেসবুক এ পরিচয়। তার এডভেঞ্চারের কাহিনী পড়ে অনেকবারই চেয়েছি তার এডভেঞ্চার গুলোর সঙ্গী হবার। কিন্তু কখনোই সময় করে উঠতে পারছিলাম না। এবার ফেসবুক এ রাজকান্দি যাওয়ার খবর শুনেই সিদ্ধান্ত নিলাম এবার যে করেই হউক যাব।
[সারি ভ্রমণ ফটোব্লগের প্রথম গল্পটা এখানে]
সারি নদী ধরে প্রায় দেড় ঘন্টার নৌপথ পাড়ি দিয়ে লালাখাল টি-এস্টের ঘাটে আমরা যখন নামলাম তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। দশমীর ছুটি ছিল, পূজো উপলক্ষে বন্ধ লালাখাল টি-এস্টেটের ফ্যাক্টরি আর অফিস।
মধ্য অক্টোবরের এই ছুটিটা কাজে লাগিয়ে দুষ্ট বালিকা, মনামী, অনিন্দ্য, পলাশ,
নজরুলভাই-নূপুরাপু-নিধি আর আমি হুট করেই সিলেট চলে এসেছি। সকালে অপু (আলবা ...
সকালটা যে পরিমাণ হাসি আনন্দ আর ঘটনাবহুল ছিল তার প্রেক্ষিতে গরম আর ঝাঁ চকচকে রোদ্দুরটা ঠিক মানানসই ছিল না তা বলা যায় না হয়ত। শীতের মিঠে রোদ বাদে এমনিতে কি রৌদ্র কারো ভালো লাগে? সেতো গরম আর আর কেমন ঝলসানো না? আর বিশেষত বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে ঘামে ভিজে চটচটে ভ্যাপসা একদম! অবশ্য তাতে কিচ্ছু যায় আসে না যদি কিছু জিনিস সাথে থাকে, যেমন- ছুটির দিন, গাড়ি ভর্তি আলাপ করবার মতোন কিছু মানুষ, ...