রিনরিন করে কানে বাজে করুণ একটা প্রশ্ন, "না গেলেই কি নয় ?" প্রশ্নটা কেউ উচ্চারণ করেনি, শুধু জোড়া জোড়া ভাষাময় চোখ নীরবে চেয়ে আছে, নিরুচ্চার প্রশ্নের ভার এত বেশী! ছটফট করে উঠি ভিতরে ভিতরে, মনে মনে উত্তর দিই, না গেলেই নয়। মন না চাইলেও যেতেই হয়। নিয়তি।
স্রোতের টানে ফেনিয়ে ওঠা জল নিয়ে ধলেশ্বরী বয়ে চলে যেমন। যেমন রাখতে চাইলেও ধরে রাখা যায় না কাজলরেখাকে। কীর্তিনাশার দিকে তেমনি করেই চলে গে...
ঘুম ভেঙে যায়, ভিতরে কোথায় যেন একটা ভোঁতা ব্যথা। সে কি শূন্যতার বেদনা? ছল্ ছল্ ছলাৎ শব্দ শুনি। নৌকায় কি এসে লাগে ঢেউ? এত ঢেউ? উঠে বসি, এগোই একটু, ছইয়ের ভিতর থেকে বাইরে হাত বাড়িয়ে ছুঁই ঝড়ের শিণ্ শিণ্ শব্দ, খুব ঝড় বাইরে। সূচের মতন ঠান্ডা বৃষ্টি বিঁধে যায় হাতে।
হাত ভিতরে টেনে নিয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ি একপাশ ঘেঁষে। আয় ঘুম, আয়। তুই না এলে কীকরে এই ভঙ্গুর মানুষশরীর সইবে এত অমানুষিক আ...
আমাদের ছোট্টো নদীটার চরে চখাচখীর মেলা বসতো। শুনেছি তারা নাকি প্রেমের পাখি। নদীতটের মাখনরঙের বালিতে রূপোরঙের ভোর থেকে কমলা সাঁঝ অবধি দিনজুড়ে ঠোঁট ঠোঁট মেলানো সখ্য! সাঁঝের তারা উঠলে তারা আলাদা হয়ে উড়ে যায় বিরহের রাত জুড়ে প্রেমের কঠিন তপস্যায়। কেজানে, এসব সত্যি না গল্পকথা!
তপতপে রোদ্দুরের চৈত্রদিনের শেষে মনকেমনিয়া দখিণা হাওয়া বয় শান্ত স্নিগ্ধ সন্ধ্যায়, ক্লান্ত শরীর এলিয়ে ছ...
এই পথ পাকদন্ডীর মত, ঘুরতে ঘুরতে পাহাড়কে বেড় দিয়ে চূড়ার দিকে উঠছে। সেখানে কী আছে? সেই গল্পের মিনার, সেই অলৌকিক জ্যোৎস্নাপক্ষী, লৌকিক গল্পে যার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা উত্তাল হয়ে উঠেছে? জানি না।
ঘুর ঘুর ঘূরণপথে চলতে চলতে কুয়াশা সরে গিয়ে চমকে ওঠে গুচ্ছ গুচ্ছ গাঢ় কমলা ফুল! সেই ফুল ছোঁয়ার আর্তি আঙুলের ডগায় নিয়ে বাতাস মাখা। কবে যেন এমন ফুলেদের দেখেছিলাম? সে কি কোনো শরতে নাকি বসন্তে? মনের ...