সমাগতপ্রায়, মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ-উল-আযহা এবং চলমান সনাতন ধর্মীয় শাক্ত সম্প্রদায়ের মহোৎসব দুর্গাপূজা। এ বিষয়ে এই অর্বাচীনের দু-একটি কথা। যৎসামান্য স্মৃতিচারণও বটে।
ঘুমকাতুরে এক বালকের বাবা ভোর থেকে তাকে ডেকেই যাচ্ছে কিন্তু বালকের তাতে কোন রা নেই। একটু পরে বালকের বাবা প্রমাণ করলেন শুধু শ্রবণ করাই কানের একমাত্র কাজ নয় বরং এটির উপযুক্ত ব্যবহার করে মানুষকে ঘুম থেকেও ওঠানো যায়। বালক চোখ ডলতে ডলতে ওয়াশ-রুমে যায় এবং হাড় কাঁপানো শীতে গরম পানি দিয়ে রগড়ে রগড়ে গোসল করে। গোসল শেষে তাকে পাঞ্জাবী পায়জামা পড়ান হয় এবং বালকের বাবা তার গায়ে আতর মেখে দেয়। তারপর পি
প্রতি ঈদে SMS এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করাটা এখন রীতিমত রেওয়াজ হয়ে গেছে। শুধু ঈদেই নয়, পহেলা বৈশাখ, বন্ধু দিবস, ভালবাসা দিবস সহ সব বিশেষ বিশেষ দিনে দূরের এবং কাছের প্রিয় মানুষগুলোকে SMS দিতে আর তাদের কাছ থেকে SMS পেতে ভালোই লাগে। এই SMS গুলো বিভিন্নটা বিভিন্ন স্বাদের। আজকের আয়োজন বিভিন্ন স্বাদের এইসব SMS নিয়ে।
কিছু SMS আছে রম্য ধাঁচের। যেমনঃ
আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তাদের মন সাধারনতঃ যেকোন উৎসব পার্বণে খুব খারাপ থাকে। প্রিয়জনদের সব সময়েই মিস করি। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিন গুলো যেমন, পহেলা বৈশাখে, পৌষ সংক্রান্তিতে, ঈদে-পুজোয়-পার্বণে--মনটা অতিরিক্ত খারাপ হয়। আমি দেশের বাইরে ঈদ করছি আজ এগারো বছর হয় প্রায়। মাঝ খানে একবার দেশে গিয়েছিলাম এবং ভাগ্যের ফেরে একটা ঈদ পেয়েও গিয়েছিলাম। বহুদিন পর আমি ছোটবেলার মতন খুশি হয়েছিলাম সেদিন। ঐ একটি উজ্জ্বল
গাছে যে অনায়াসে উঠতে পারে তার জন্য বাসের ছাদে উঠা একেবারে নস্যি । তাইতো চ্যাংড়া ছেলেটাকে আছড়ে পাছড়ে উঠতে দেখে মজিদ মিয়া না হেসে আর পারল না । ছেলেটা অবশ্য তার হাসি দেখতে পায়নি । দেখতে পেলে মজিদ মিয়ার পাশে সে বসত না । খুব সহজ হিসেব এটা । মজিদ মিয়া ছেলেটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে । গায়ে লাল রংয়ের হাফ শার্ট আর চাপা প্যান্ট। চেহারাটা ..... এবার তার দেখার মাঝে ছন্দপতন হলো । হঠাৎ শুনতে পেল ....''আমি হলাম রোমিও,লেডি কিলার রোমিও....''। বুক পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করল ছেলেটা । তারপর গদগদ গলায় কথা বলতে শুরু করল । মজিদ মিয়ারও খুব শখ একটা মোবাইল ফোন কেনার । ছেলেমেয়ে আর বউটার সাথে মাঝেমধ্যে একটু আধটু কথা বলতে পারবে । মেয়ে দুটো অবশ্য খুব বকবক করতে পারে । কিন্তু তার বউ কথাবার্তা বলে একবারে কম । দোকান থেকে যখন সে ফোন করে ওপাশ থেকে বউ শুধু 'হ্যালু' বলে চুপ করে থাকে । তবুও ভালো লাগে মজিদ মিয়ার । পেশায় সে রিক্সাচালক । আয় একবারে খারাপ না । তবে মাঝেমাঝেই পেটের পীড়ায় ঘরে শুয়ে থাকতে হয় । তা না হলে সংসার তার খারাপ চলতো না ।
আসছে ঈদ। বাড়ি যাবো। চিন্তা করলেই মন ভাল হয়ে যায়। অকারনে পা মাড়িয়ে দেয়া সহকর্মীটিকেও ক্ষমা দেয়া যায় অনায়াসে। কিংবা বসের কঠোর চেহারার দিকে তাকিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় মেঘের কোলে এক চিলতে রোদের মত উঁকি দিয়েই মিলিয়ে যাওয়া হাসির ঝলক (উনিও বাড়ি যাবেন কিনা!)।
কিন্তু বাড়ি ফেরার টিকেট পাওয়া যাবে তো?
সকল আনন্দের সামনে উদ্যত ফণা তুলে আছে এই প্রশ্নরূপী কালকূট!
এইচএসসি পর্যন্ত নিজেকে খুব ভাগ্যবান ভাবতাম, ছোট থেকেই প্রতিটা ঈদে এত আনন্দ ছিল, এত ভাল লাগত, কিন্তু এর পরে আজও তেমন আনন্দ পাই না। আগেও যে খুব মজার কিছু করতাম তা নয়, কিন্তু তখন সবই এত বেশি ভাল লাগত, সব কিছুর জন্যই একটা প্যালপিটেশন ছিল। এখন যেন কোনও কিছুতেই আনন্দ নেই।
সকালটা শুরু হল নির্মল আনন্দে, নীড়-এর টানে যাত্রা শুরু হবে বলে।
রিকশা না বাস? ভাবতে ভাবতে রিকশা-তে গুলিস্তান। ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা , এ আর এমন কি? ঈদ বলে কথা! হাসিমুখে টিকেট গ্রহণ।
শুরুটা চমৎকার। জানালার পাশে সিট, পাশে সুন্দরী ললনা। হঠাৎ সুনয়নার নিশপিশ। তাকে পড়ার চেষ্টা আমার। হঠাৎ অনুরোধ- জানালার পাশের সিট-টা তার চাই। ঈদ উপহার হিসাবে সিট ছেড়ে দেয়া। শুরু হল তার বমি উৎসব। আমার ঘিন ঘি ...
গোটা মাস একদিনের জন্যেও কেনাকাটায় না গিয়ে শেষ মুহুর্তে সারাদিন বাজার কলকাতায়। কলিন লেনের শামীম ভাইয়ের দোকানের মাংস, নিউ মার্কেটের কাশ্মীরি হোসেন ভাইয়ের দোকানের জাফরান আর আরো আনুষাঙ্গিক টুকটাক এটা সেটা। প্রচন্ড ভীড়ে ঠেলে এই দোকান ওই দোকান ঘুরে ঘুরে বাজার। সন্ধেবেলায় বাড়ি ফেরার পথে একে তাকে ফোন, চাঁদ উঠল কী! এপাতায় ওপাতায় খোঁজ। জানা গেল, মসজিদে তারাবীর নামাজ চলছে। তার মানে একট ...
ছোটবেলায় বইয়ের পাতা উল্টাইয়া দেখছিলাম কুলাকুলি করতাছে বাপ আর পোলায়, নিচে লেখা 'আজ ঈদ, মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ'। সেই ছোটো আছিলাম যখন, তখন মাথার মধ্যে প্রশ্ন আইসা ঘুরাঘুরি করতো, আমরাও তো ঈদ করি, তাইলে বইয়ের পাতায় মদিনার ঈদের কথা লেখা কেন ? আমাদের ঈদের আনন্দ তাইলে কি মদিনার ঈদের থাইকা কম ? লেখাটা তো এরকম হওয়া উচিৎ ছিলো, আজ ঈদ, পৃথিবীর ঘরে ঘরে আনন্দ।
বাসায় আসছি, সিলেটে যতবার আসি ততবার ফরফু ...