সেদিন গিয়েছিলাম এক আত্মীয়কে দেখতে। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত। অনেকদিন ধরেই শয্যাশায়ী। ডাক্তার আগেই জবাব দিয়েছেন। খবর পেয়েছিলাম তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্তিম সময় উপস্থিত।
যানজট এড়াবার জন্য অফিস ছুটির আগেই গিয়েছিলাম।
মিশকালো সিরিঙ্গে চেহারার কালীমোহন বুড়োকে দেখলেই আমার মেছো ভুতের কথা মনে হত। তখন সদ্য সদ্য নিজেই বানান করে গল্পের বই পড়তে শিখে গেছি। ছবিওলা বাংলার ভূতের গল্প মুখস্ত প্রায়। কালী বুড়ো আমাদের জমি দেখা শোনা করার প্রাচীন কামলা। ময়লাটে হেটো ধূতি আর হাতে একটা নারকেলি হুঁকো - এইই হল তার সারাবছরের ভূষণ। খুব শীতে বড়জোর একটা মার্কিন কাপড়ের টুকরো চাদরের মত গায়ের ওপর ফেলে রাখত । গ্রামের মাটির বাড়িটার
আমার ইদানিং হয়েছে শনির দশা। পেটের ব্যামো ছিল অনেকদিন ধরেই। সময় মত খাওয়া দাওয়া করে তাকে বাগে এনেছিলাম একরকম। জানুয়ারি মাসে পরিবারের একজনকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হল চিকিৎসার জন্যে। তারই অনুরোধে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঢেকি গেলার কাজটি ঠিক হয় নি এখন বুঝি। ডাক্তার একগাদা স্বাস্থ্য পরীক্ষা লিখে দিল, আল্ট্রা-সোনো, এন্ডোসকপি আর কত কি! একে একে সব ...