তুমি গান গাও, যেন আকাশে সূর্য ওঠে
যেন সবুজ জিভে রিনরিনে সুর ভাঁজে সরল পাইন
যেন শীতের বুক চেরে পাখির সুরেলা শিস
তোমার কন্ঠস্বর মুহূর্ত থেকে গমের তুষ ছাড়িয়ে নেয়।
সাগর তার গভীর শস্যভাণ্ডারে জমিয়ে তোলে ঘন্টাধ্বনি,
পায়ের খসখস, শেকলের ঢং আর গুঙিয়ে ওঠা কান্না,
জমিয়ে তোলে সুরহীন ধাতুর আওয়াজ, ভবঘুরে
তোমার আলোময় চুল কী ধীর অনুভব করি,
এক একটির পরখ করি নিবিড় সুন্দরতা
অন্য প্রেমিক অন্য চোখে দেখে নেয় ভালবাসার মুখ,
তোমার চুলের বিন্যাসে আমি পাই আমার মুগ্ধতা।
ইতালিতে তোমার নাম ওরা রেখেছে মেডুসা,
নাগিনীর মত আউলানো চূর্ণকুন্তল
আমি বলি তরঙ্গময়ী; আমার হৃদয়
আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।
প্রেম, আমি তামাম পৃথিবী ঘুরে, ছুঁয়ে এসে দুঃখের স্বাদ,
তোমার কণ্ঠস্বর, তোমার গীটারে স্পন্দিত রিনরিনে হাত,
হেমন্তকে চুমু দেওয়া আগুনের আঁচ, আর আকাশে ফিরে আসা
রাতের কাছে সমর্পিত হই।
আমি সবার জন্য চেয়েছি রুটি, স্বাধীন অধিকার;
যে শ্রমিকের কোনো আগামী নেই, তার জন্য বেঁচে থাকার মাটি।
কেউ যেন আশা না করে -- আমার রক্ত, আমার বেদনার গান বোবা হয়ে যাবে,
আজ নতুন এক সূর্যোদয়, গতদিনের লেবাস ঝরে গেছে সব
আলোময় আঙুল আর ঘুম জড়ানো চোখের সাথে সাথে।
আগামী আসবে তার সবুজ পা ফেলে
আর ভোরের জলস্রোত কেউ রুখতে পারবে না
নদীর মত তোমার হাতের গতিময়তা
রোধ করতে পারে কি কেউ, প্রিয়তমা?
তুমি মুহূর্ত-স্পন্দন; আমৃত্তিকালম্বিত আলো
আর ঘন হওয়া আঁধারের মধ্যবর্তিনী
তোমার ওপর অসীম ডানা ছড়িয়ে দিয়ে আকাশ
তোমায় দুই হাতে সযত্নে তুলে সঁপেছে আমায়
একুশের বইমেলায় ইত্যাদির স্টল থেকে কিনতে হবে বইটি। সাবধানে, সতর্কতার সাথে। পাছে কেউ আবার ভেবে না বসে ভীমরতি হলো নাকি। না, আদিরসের সেরা কাহিনী নয়, চটুল প্রেমের উপন্যাসও নয় কোনো, একগুচ্ছ সনেট। এবার প্রথম দিন যখন বইমেলায় গেলাম, আমার নয় বছরের মেয়েটিকে সংগে নিয়ে, ও যখন স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই গোয়েন্দা ঝাকানাকাতে ডুবে গেল, সেই ফাঁকেই একনজর দেখে নিয়েছিলাম ওটা। ‘সোনালি কাবিন’ পড়ার পর তেমন মন লাগিয়ে সনেট আর প