বিশ শতকের শুরুর দিকে, ১৯০৫ সালে, জুরিখ-এর প্যাটেন্ট অফিসে কর্মরত একজন তরুণ গবেষক চারটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করে ইউরোপের বিজ্ঞানী মহলে বেশ সারা জাগিয়ে ফেলেন । আলোক রশ্মির শক্তি ও তেজস্ক্রিয়তা, পরমাণুর আয়তন ও গতি-প্রক্রিয়া আর অভিকর্ষ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের এই প্রবন্ধগুলো নিউটন, ফ্যারাডে এবং ম্যাক্স ওয়েল এর উদ্ভাবিত এবং দুশো বছর ধরে বিরাজমান ধ্রুপদী পদার্থ বিজ্ঞানের মৌলিক ধারনাগুলোর ভিত্তিমূলে প্
গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিস্কারের পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সব খানেই নানান হৈ চৈ শুরু হয়েছে। সঙ্গত কারণেই তার একটা ধাক্কা বাংলাদেশেও এসে লেগেছে। পাড়া-মহল্লা থেকে অফিস আদালতে অনেকেই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ নিয়ে কথা বলেন এবং সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন তাদের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া আইনস্টাইনের স্পেশাল থিউরি অব রিলেটিভিটি সংক্রান্ত জ্ঞানের কথা দুয়েক লাইনে তুলে ধরেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। আমি নিজেও এমন কোন দাবী করি না যে আইনস্টাইন বুড়োর জেনারেল রিলেটিভিটি, স্পেশাল রিলেটিভিটি দুইটাই বুঝি। কিন্তু এই নিয়ে কোন ধরনের আলোচনায় সাধারণত তাচ্ছিল্যের হাসি মুখে ঝুলাই না। "বিবর্তন শুধুই একটা থিওরি" বলার মত "জেনারেল রিলেটিভিটি" বা "স্পেশাল রিলেটিভিটি"ও শুধুই থিওরি - এরকম ভাবার মত লোকজন প্রচুর। আশ্চর্যের ব্যাপার তারা মোটামুটি সবাই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের। তাদের ধারণা, খুব দ্রুত কোন কিছু দৌড়াতে শুরু করলে সময় তার জন্য মন্থর হয়ে যাবে এইটা একটা গাঁজাখুরি কথা। দুয়েকটা ইকুয়েশন আছে ঠিকি কিন্তু এর কোন বাস্তব প্রয়োগ নাই। দুঃখিত স্যার, আপনার ধারণা ভুল। এর বাস্তব প্রয়োগ আছে! সেটা নিয়েই আজকের জ্ঞানের আসর।
(আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হলেও এই লেখায় ইচ্ছা করেই পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা এবং সংজ্ঞাগুলো খুব শক্তভাবে ব্যবহার করি নি... কারণ আমার লেখার উদ্দেশ্য মানুষকে বিজ্ঞানটা বুঝানো না, বিজ্ঞানের মানবিক দিকটা তুলে ধরা! এজন্য বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!)
১।
সচলের থ্রি-ডি কবি এই সিরিজকে বলেছেন বিজ্ঞানের গল্প। আসেন, আজকে বিজ্ঞানের গল্পই শুনি। হরতালের মূডে আছি, আজকে বিজ্ঞানও বাদ, আলোর গল্প হবে। খবরদার, কেউ আলোর সাথে বিজ্ঞান মেশাবেন না! আগের দিন আইনস্টাইনকে বকাবকি করে বড়ই শর্মিন্দায় ছিলাম, আজকে একটু তার গুনগান গাই। [হু হু বাবা, আমার কাছ থেকে সাবধানে থাকবেন, একেকদিন একেক কথা বলি কিন্তু। সকালে এক কথা বলে বিকালে আরেক কথা বলার অধিকার কি জামাতের একলার নাকি? যাকগে, খেলার সাথে রাজনীতি না মেশাই। চলেন গল্প শুনি।]
১।
আজকের দিনটা বড্ড মনখারাপের। বাংলা দিনপঞ্জির দিকে তাকালে জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে থাকে মনখারাপ করা একটি তারিখ- বাইশে শ্রাবণ। রবি বুড়ো যতই বলে যান না কেন- “তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি”, এই দিনে বুড়োর ছবির দিকে তাকালে আনমনে ঠিকই সুর বেজে ওঠে- “তুমি কি কেবলই ছবি? শুধু পটে লিখা!” যাকগে, বাংলা তারিখ দেখে উদাস মনে বুড়োর পাঁচালি গাইতে আসিনি। মন খারাপ হয়েছিল আসলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার দেখে- যেখানে ধুলো আর ছাইয়ের পটভূমিতে জ্বলছে- ছয় আগস্ট। ১৯৪৫ সালের এই দিনটিতেই “এনোলা গে” বিমানের চালক আলতো করে ছেড়ে দিয়েছিলেন “ছোট্ট খোকা”। সৃষ্টি হয়েছিল গত শতাব্দীর ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়ের, যার অংশীদার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত।
অনেক আগে আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ (Einstein’s Puzzle) নামে একটা পোস্ট হয়েছিল সচলায়তনে১। ঠিক ভাবে ধরলে এই ধরণের ধাঁধাঁ সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ঠিক ভাবে গুছিয়ে সমস্যাটাকে ছাই দিয়ে ধরাটাই আসল সমস্যা; -- এই বিষয়টাতে মগজ ধোলাই করার দারুন একটা টাইম পাসিং গেম Einstein Puzzle। আমার কম্পিউটারে নতুন অপার
একটি রাস্তার ধারে পাশাপাশি পাঁচটি বাড়ি। ভিন্ন ভিন্ন রঙের এই পাঁচটি বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ দেশের লোক বাস করেন। প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দের পানীয় আছে, আছে আলাদা আলাদা সিগারেটের ব্র্যান্ড। এমনকি তাদের পোষা প্রাণীও ভিন্ন ভিন্ন। এখন প্রশ্ন হল এদের মধ্যে মাছ পোষেন কে?
সূত্রঃ
১। লাল ঘরে বাস করেন ব্রিটিশ।
২। সুইডিশের পোষা প্রাণী কুকুর।
৩। ডেনিশের প্রিয় পানীয় চা।
৪। সাদা বাড়ির বায়ে সবুজ বাড়ি।
আলবার্ট আইনস্টাইন
আজ একই সাথে তিন তিনটি দিবস পালিত হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। আইনস্টাইনের জন্মদিন নিয়ে একটি লেখা প্রথমেই এসেছে সচলায়তনে। পাই দিবস নিয়েও লেখা হয়ে গেছে। বাকি থাকলো কেবল টক লাইক আ ফিজিসিস্ট দ...
শুভ জন্মদিন।
বেঁচে থাকলে আজ ১২৯ বছরের ছোঁড়া হতে পারতেন গুরু।
আইনস্টাইনকে নিয়ে আমার আগের লেখাটিতে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত কমেন্ট পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে আইনস্টাইনকে নিয়ে পাঠকদের আগ্রহের কোন কমতি নেই। আর এ তো স্বাভাবিকই। আইনস্টাইনের ...