দ্বিতীয় পর্বে আসুন, এবার দেখা যাক নিরিহ মশুর ডাল কতটা ধার্মীক এবং প্রতিশোধপরায়ণ হতে পারে। যদিও পুরোটাই ধর্মের জাড়ক রসে জাড়িত, কতটা অতিরঞ্জন আর কতটা সত্যি আছে এই গল্পে তা আমরা জানি না।
আমি ইদানীং খুব বুঝেশুনে সুশীল একটা বিষয় নিয়ে কিংবা বলতে পারেন নিতান্তই ভদ্রগোছের, সহজ একটা বিষয় নিয়ে কাজ করতে আরম্ভ করেছি। সেটা হলো খাদ্যসংস্কৃতি। খাবারের সংস্কৃতি আরকি। যাইহোক আর তাইহোক, রবীন্দ্রনাথেরও ক্ষুধা লাগতো। আইনস্টাইনও খেতেন। হিটলারও বিষয়টা অপছন্দ করতেন না। তাই একটু খোঁজখবর করার চেষ্টা। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা নেহাতই সাদামাটা একটা বিষয়!
আমাদের দেশে একটি আইন রয়েছে, যেই আইন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। আর তার শাস্তি কম করে হলেও ৭ বছরের কারাদণ্ড।
[justify]ইসলাম পূনর্জীবন লাভ করে প্রতিটি কারবালার পর। এরকম একটা কথা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে খুব প্রচলিত এবং জনপ্রিয় বটে। এবং সেটা উর্দুতেই বলা হয়ে থাকে সবসময়। সে হিসাবে এটি সম্ভবত উর্দু থেকেই এসেছে।
একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই আমাদের দেশে শুরু হয়েছে উল্টোযাত্রা। কোথায় ছেলেমেয়েরা জ্ঞানের আলোর মুখ দেখবে, সেখানে তাদের হাতছানি দিয়ে পিছু ডাকছে আদিম অন্ধকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকালেই ধর্ম একটা ফ্যাক্টর। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কবে ঘটবে তাও কেউ বলতে পারে না। অ্যালেক্স রাদারফোর্ডেও লেখা ‘মুঘল’ সিরিজগুলো পড়ে বোঝা যায়, সেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে মানুষ ধর্মটাকে যত সহজভ
[উগ্রভুদাই = যুক্তি ছাড়াই জায়গা-বেজায়গায় "উগ্র" শব্দ জুড়ে দিয়ে নিজেকে ভুদাই (বলদ) হিসেবে প্রমান করে যে ব্যক্তি।]
মাহফুজ খান
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে খুব ছোটবেলা, প্রাইমারী স্কুলে। ৫/৬ বছর বয়সেই শিখে যাই কোন পিঁপড়া হিন্দুদেরকে কাটে আর কোনটা মুসলমানদের। এরপর থেকে কালো পিঁপড়া মারতাম না কিন্তু লাল পিঁপড়া দেখলেই প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়তাম, কারণ ওটা কামড়ায় আর ওটা হিন্দু পিঁপড়া।
কিছু কষ্ট থাকে যা প্রকাশের জন্য সব ভাষাই ব্যর্থ। সংখ্যালঘু হবার যাতনাও তেমনি। নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু তুচ্ছ ঘটনা শেয়ার করছি গল্পের আদলে। ঘটনা গুলো ছোট হতে পারে কিন্তু কেন যেন ভুলতে পারি না, ভোলা যায় না!
(১)
মিষ্টি বিকেল। মাঠে আট ন’বছরের কিছু বাচ্চামেয়ে খেলছে, বরফ-পানি। হঠাৎ একজনকে ছুঁয়ে দিতেই ‘বরফ...বরফ’ বলে শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
আগের পর্বে বলেছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে কিভাবে বোমা বানিয়ে সুনামী সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন বলবো আমাদের সবার জানা একটা ঘটনা, কিন্তু সে ঘটনা যে সুনামীর সাথে সম্পর্কযুক্ত সেটা অনেকেই জানিনা।
বাংলাদেশে একে একে নানা জায়গায়-অনেক জায়গায় হিন্দু মন্দির-বৌদ্ধ বিহার এবং হিন্দু-বৌদ্ধ্ব-আদিবাসী নামক সকল কাফেরদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে- তাদের প্রার্থনার স্থান ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে- বিতাড়িত করা হচ্ছে এদেশের মাটি থেকে। অনেকে মায়াকান্না কাঁদছেন, অনেকে বলছেন ওরাও(!) মানুষ, অনেকে বলছেন তাদেরও(!) অধিকার আছে, অনেকে বলছেন এগুলা হিজবুতিদের কাজ-জামাতিদের কাজ!