“যৌক্তিকতা আর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির বিরূদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি যদি ধর্ম না হয়, তাহলে কোনটা?
সতর্ক বাণীঃ লেখাটিতে ধর্মানুভুতিতেও আঘাত লাগার মতো বক্তব্য রয়েছে। আপনি যদি ধর্ম বিষয়ে সংবেদনশীল হোন তবে লেখাটি এড়িয়ে যাওয়াই আপনার জন্যে সুখকর হবে।
একটি মানুষের গড় আয়ু মানব সভ্যতার তুলনায় কতটুকু? কিছুই তো নয়। প্রায় সাড়ে চারশত কোটি বছর আগে সৃষ্ট পৃথিবীর বয়স কিংবা প্রায় চারশত কোটি বছর আগে উদ্ভব প্রথম প্রাণের কথা যদি চিন্তা করেন [১,২], দেখুন আমার বা আপনার জীবন এই মহাকালের তুলনায় কত ক্ষুদ্র। বাদ দিন কোটি বছরের হিসেব। ভেবে দেখুন আমাদের প্রথম পূর্বপুরুষদের কথা যাদের উদ্ভব আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ বছর আগে অথবা আজকের আধুনিক মানুষদের কথা যাদের উদ্ভব প্রায় দেড়/দুই লক্ষ বছর আগে [১,২]।- কোটি কোটি বৎসর থেকে লক্ষ বছরে নেমে আসলাম - তারপরেও কি আমাদের জীবন সেই তুলনায় এতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে?
"বেয়াদব! এত লেখাপড়া শিখে, দেশী বিদেশী ডিগ্রী নিয়ে এই শিখছ! এটা একটা কাজ হলো! অসভ্য বেতমিজ কোথাকার! "
মেয়েটির মাথা নত। চোখ নত। জড়োসড়ো হাতদুটি কোলের উপর নেতিয়ে। অদৃশ্য হাতকড়া দৃঢ় মুষ্ঠিতে চেপে আছে ওর অসাড়, আহত হাতদুটো। পায়ে শেকল পরা ছিল সেই শৈশব থেকেই। মুষলধারে গালিবর্ষন হচ্ছে মেয়েটির ওপর।
ব্লগে সাধারণত ধর্ম আর অধর্ম নিয়ে তর্ক করি না। আমি একটা জিনিস মানি তা হলো প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে কোন কিছু বুঝানো সম্ভব নয় যদি না তিনি সেটা নিজে থেকে বুঝেন। তাই আমি যেটার চেষ্টা করি তা হলো নিজের জাজমেন্ট অন্যের কাছে চাপিয়ে না দিয়ে বরং তথ্য এবং যুক্তি গুলো তুলে ধরি, তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা অন্যের।
অন্যের বিশ্বাসে আমার আপত্তি নেই ততক্ষন, যতক্ষন তার বিশ্বাস আমার জন্যে অস্বস্থিকর না হয়। সমস্যা হলো যে যেকোন বিশ্বাস/ধারণাই হোক (সেটা ধর্ম হোক, গনতন্ত্র হোক, জাতিয়তাবাদী হোক, মানবতাবাদী হোক, বা নাস্তিকতাই হোক) সেটার কাজই হচ্ছে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু যে বিশ্বাস ন্যাচারাল সিলেকশনে উন্নতর সুবিধে প্রদান করবে মানুষকে, সে বিশ্বাসই পরবর্তী প্রজন্মে বেশি করে ছড়িয়ে যাবে এবং টিকে থাকবে। যে বিশ্বাসগুলো টিকে থাকায় বাড়তি সুবিধে প্রদান করবে না তারাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। যেমন হারিয়ে গিয়েছে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু জাতি। ধর্ম গুলো এর বাহিরে নয়।
[The Atheist Bible (Joan Konner edited) এর অনুবাদ এর কাজ শুরু করেছিলাম আরো আগে। কিছু কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন ব্লগে দেয়া হয়েছিল। পাঠকদের আগ্রহ এবং লেখার গুরত্ব বিবেচনায় মডারেটরদের অনুমতি সাপেক্ষে এক থেকে পাঁচ খন্ড সচলায়তনের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো]
পূর্বে প্রকাশিত খন্ড ছয় এখান থেকে পড়তে পারেন।
খন্ড একঃ সূচনালগ্ন
হয়তো পৃথিবীতে আমাদের কাজ ঈশ্বরের উপাসনাই নয়, সৃ ...
ধর্ম সম্পর্কে আমার একটা অনুসন্ধিতসু মন তৈরি হয়েছে, বছর পাঁচেক রাত জেগে রেডিওর খবর তৈরির সময়।দেশে দেশে ধর্ম যুদ্ধ আর লাশের অংক কষতে হতো মাইক্রোফোনের সামনে যাবার আগে।ডয়চেভেলেতে কলকাতার সাংবাদিক সঞ্জীব বর্মন বলতো নিউজরুমতো নয়, লাশকাটা ঘর।তেলাভিভের যুদ্ধ পর্যবেক্ষক বা কাবুল কিংবা পেশওয়ার অথবা রাজশাহি প্রতিনিধির সংগে টেলিসাক্ষাতকার শুনে বলতো যুদ্ধক্ষেত্রের সংলাপ।কলকাতার ট...
*ঈশ্বর ও ধর্মকে যারা যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায় এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য,যারা ইশ্বর ও ঔশ্বরিক ধর্মকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্য নয়।এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।
১।কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অ...
মাত্র গতকাল, বইমেলা থেকে কিনে আনলাম জি এইচ হাবীবের অনুবাদকৃত ইয়স্তেন গার্ডারের লেখা সোফির জগৎ বা SOFIES VERDEN. বইটা হাতে নিয়ে থেকেই আমি খুব বেশী উত্তেজিত! আমার মনের ছন্দটা আসলে সবচেয়ে বেশী উদীপ্ত হয়ে ওঠে মনস্তত্ত্ব আর দর্শনের সমন্বয়ে। আর এই বইটা তেমনি একটি। আমার বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা কতটুকু আমি জানিনা, তবে প্রথম অংশটুকু পড়েই আমি লিখতে বসে গেছি, বিস্ময়ে! গত দশ-এগারো বছর ধরে আমি যে প্রশ্নে...
[justify]
১. ভূমিকাঃ
নিজের মাপের কিছুর বাইরে যেতে গেলেই নাকি শুরুতে নিজের কিছু গুণগান করতে হয়। প্রচুর উদাহরণ ছড়িয়ে আছে আশে-পাশে। টক শো থেকে বিয়ের বায়োডাটা পর্যন্ত সর্বত্র এই সত্য প্রযোজ্য। কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে নামের আগে-পরে অনেক রকম তকমা লাগাতে হয়। ডক্টর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমএস, এমফিল, পিএইচডি, অ্যাডভোকেট, অধ্যক্ষ, মাস্টার, উপাধ্যক্ষ, কী নেই এই ঝুলিতে!
এই লেখ...